মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের প্রথম সারির ওয়াইল্ডলাইফ ফোটোগ্রাফারদের মধ্যে অন্যতম ঐশ্বর্য শ্রীধর। সম্প্রতি তিনি ‘ওয়াইল্ডলাইফ ফোটোগ্রাফার অব দ্য ইয়ার ২০২০’ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। প্রথম ভারতীয় নারী হিসাবে এই আন্তর্জাতিক সম্মান অর্জন করেন ২৩ বছর বয়সি ঐশ্বর্য।
ঐশ্বর্যর পরিবার আদতে তামিল। দীর্ঘ দিন ধরে তারা মুম্বইবাসী। সেখানেই ১৯৯৭-এর ১২ জানুয়ারি জন্ম তিনি। ডক্টর পিল্লাই গ্লোবাল অ্যাকাডেমির সাবেক ছাত্রী ঐশ্বর্য বরাবরই মেধাবী। ২০১৩ সালে কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল পরীক্ষায় বিজনেস স্টাডিজ পেপারে তিনি সারা বিশ্বের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিলেন মেধা তালিকার শীর্ষে। পরে মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস মিডিয়ায় স্নাতক হন। পড়াশোনার পাশাপাশি ক্যামেরায় হাতেখড়ি ১৩ বছর বয়সে। বাবার সঙ্গে মহারাষ্ট্রের রত্মগিরিতে পশ্চিমঘাট পর্বতের জঙ্গলে যেতেন ট্রেকিংয়ে। যত দিন এগিয়েছে, লেন্স আর বন্যজীবন, দুটোকেই আরও বেশি করে জড়িয়ে ধরেছেন ঐশ্বর্য। ২০১৮ সালে ঐশ্বর্যার তৈরি তথ্যচিত্র ‘পঞ্জে: দ্য লাস্ট ওয়েটল্যান্ড’ দেখানো হয়েছিল দূরদর্শনে। জলাভ‚মি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে এই তথ্যচিত্র ছিল প্রতিবাদের অন্যতম হাতিয়ার। সুন্দরবনের বাঘিনি মায়াকে নিয়ে ঐশ্বর্যর তথ্যচিত্র ‘দ্য কুইন অব তরু’ পুরস্কৃত হয়েছিল বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ চলচ্চিত্র উৎসব-এও। মহারাষ্ট্রের তাড়োবা অভয়ারণ্যে ৬ বছর ধরে মায়াকে লেন্সবন্দি করেছেন ঐশ্বর্য। সেই ছবি ও ভিডিও সম্পাদনা করেই তৈরি হয়েছে এই তথ্যচিত্র।
তবে অতীতের সব কৃতিত্বকে ছাপিয়ে গিয়েছে সাম্প্রতিক পুরস্কার। ঐশ্বর্যা পেয়েছেন ‘ওয়াইল্ডলাইফ ফোটোগ্রাফার অব দ্য ইয়ার ২০২০’ সম্মান। ইংল্যান্ডের ন্যাচরাল হিস্ট্রি মিউজিয়ম আয়োজিত এই প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষিত হয়েছে চলতি মাসেই। পৃথিবীর ৮০টি দেশের আলোকচিত্রীদের মোট ৫০ হাজার ছবির মধ্যে বেছে নেয়া হয়েছে ১০০টি ছবি। তার মধ্যে আছে ঐশ্বর্যার তোলা ছবিটিও। প্রথম মহিলা ভারতীয় আলোকচিত্রী এবং কনিষ্ঠতম প্রতিযোগিনী হিসেবে এই সম্মান পেলেন তিনি। তার লেন্সবন্দি ছবিতে ছিল রাতের অন্ধকারে জঙ্গল ঘিরে জোনাকিদের ছায়াপথ। কিংবা জোনাকিদের নক্ষত্রপুঞ্জও বলা যায়। জোনাকিদের আলো সেভাবেই ধরা পড়েছিল ঐশ্বর্যার লেন্সে। সেই মায়াময় আরণ্যক সৌন্দর্যভরা ছবির নাম তিনি দিয়েছেন ‘লাইটস অব প্যাশন।’ সূত্র : দ্য ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।