পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে
সম্প্রতি চাল, ডাল, পিয়াজ, আলুর দাম বেড়েছে। নিত্যপণ্যের দাম বাড়া নতুন কিছু নয়। কারণ থাক বা না থাক আমাদের দেশে প্রায়শই পণ্যের দাম বাড়ে। অল্প নয়, বেশি করে বাড়ে এবং বাড়তেই থাকে। কোনো পণ্যের দাম সপ্তাহ ভেদে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ে। এমন অবিশ্বাস্য মূল্য বৃদ্ধি কেন হয়। কারা করে, কী তাদের পরিচয়, সেটা কম বেশি সকলের জানা। দেশে এর আগে আলুর দাম এত বাড়েনি। পর্যাপ্ত মজুদ আছে। তারপরেও এই রকম মূল্য বৃদ্ধি মেনে নেয়া যায় না। এটা পরিষ্কার, একটা সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে এখানে, যারা অত্যন্ত ক্ষমতাবান। তারা এই মূল্য বৃদ্ধি করেছে। এদের ক্ষমতা এত বেশি, যে সরকারের বেঁধে দেয়া মূল্যও তারা মানে না। শুধু আলু নয়, সব পণ্যই সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে। যতদিন এই সিন্ডিকেট ভাঙ্গা যাবে না, ততদিন কোনো পদক্ষেপ কাজে আসবে না। অযথা পণ্যের দাম বাড়ছে। মধ্যবিত্ত কম খাবে। নিম্নবিত্ত খাবে না। আলু, ভাত খেয়ে নিম্ন আয়ের মানুষেরা বেঁচে থাকতো। বলা হতো ভাতের উপর চাপ কমান। বেশি করে আলু খান। এখন আর নিম্নবিত্ত, খেটে খাওয়া শ্রমিকদের আলু, ভাত খাবার সুযোগ নেই। এই অবস্থা একটা গণতান্ত্রিক দেশে চলতে পারে না। তাই আর মুখরোচক কথা নয়। সরকারকে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দু চারটা বাজারে অভিযান। সামান্য জরিমানায় আসলে কিছু হয় না। প্রয়োজনে আইন সংশোধন করে হলেও কঠিন বিচার করতে হবে।
মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
বনানী, ঢাকা।
সেলফিতে সতর্কতা প্রয়োজন
আজকাল স্মার্টফোনে ‘সেলফি’ তোলা অনেকের নেশা হয়ে গেছে। রাস্তাঘাটে, বাস-ট্রেনে, স্কুল-কলেজে বন্ধুদের আড্ডায়, কোথাও ঘুরতে গেলে, মজার কিছু খেতে গেলেও সেলফি তুলে ফেলছেন। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা আপলোডও করা হচ্ছে। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট ইত্যাদি ভরে যাচ্ছে এসব সেলফিতে। সেলফি তোলার নেশাটা কমবেশি সবারই রয়েছে। লাইক আর কমেন্টের পেছনে ছুটতে গিয়ে অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়েও সেলফি তুলছেন। শুধু অল্প বয়সীরাই নয়, বয়স্ক মানুষও সেলফি-সংস্কৃতির শিকার! অনেকে ঝুঁকি নিয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে নিহতও হন। এমন ভয়ঙ্কর শখের অবশ্যই লাগাম টানা জরুরি। জীবন এক মহামূল্যবান সম্পদ। প্রত্যেকের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে পরিবার ও সমাজ। অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যুতে পুরো পরিবারে দুর্ভোগ নেমে আসে। তাই, সেলফির নেশা কাটাতে সচেতন হতে হবে। এর লাগাম টানতে গণমাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের যথাযথ উদ্যোগ নেয়ার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আল-আমিন আহমেদ
শিক্ষার্থী, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।