Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

কলাপাড়ায় জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট’র বন্ধু পরিচয়দানকারী এক প্রতারক আটক

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি | প্রকাশের সময় : ৪ নভেম্বর, ২০২০, ৫:৩৭ পিএম

কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট’র বন্ধু পরিচয়ে এক হাজতী আসামীর পরিবারের সাথে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মো: কামরুজ্জামান পলাশ (৪২) নামের এক প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আদালতের গেটের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত পলাশ পটুয়াখালী সদর উপজেলার চর জৈনকাঠি গ্রামের ইদ্রিস মোল্লার ছেলে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের ষ্টেনো কাম টাইপিষ্ট মো: কাইউম আকন্দ বাদী হয়ে কলাপাড়া থানায় প্রতারনা, আত্মসাত ও টাউট আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

এজাহারকারীর বিবরনে জানা যায়, আদালতের কর্মচারীরা অফিস শেষে আদালত ভবন থেকে বের হওয়ার সময় লক্ষ্য করেন কামরুজ্জামান পলাশ নামের ওই প্রতারক মাদক মামলায় গ্রেফতারকৃত হাজতী আসামী উজ্জ্বল’র পিতা শাহজাহান কাজীর সাথে বাকবিতন্ডা করছে। এসময় প্রকাশ হয়ে পড়ে প্রতারক পলাশ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট’র বন্ধু পরিচয়ে জামিন করিয়ে দেয়ার কথা বলে ২৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় এবং আরও ২৫হাজার টাকার জন্য বাকবিতন্ডা করছে। বিষয়টি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শোভন শাহরিয়ার’র নজরে এলে তিনি ওই প্রতারককে গ্রেফতারের নির্দেশ প্রদান করেন।

কলাপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো: আসাদুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আদালতের ষ্টেনো কাম টাইপিষ্ট মো: কাইউম আকন্দ মঙ্গলবার রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বুধবার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।

এর আগে কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর সদর ইউনিয়নের জনৈক হারুন গাজী নামের এক দালালকে পুলিশ আটক করে মহিপুর থানায় টাউট আইনে মামলা দায়ের করে। দীর্ঘ হাজত বাসের পর হারুন জামিনে মুক্তি পেলেও মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

এদিকে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শোভন শাহরিয়ার আদালতে কর্মরত আইনজীবী সহকারীদের পরিচয় পত্র ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দিয়েছেন। সম্প্রতি আদালতের সামনে নিজের ঔরসজাত শিশু পুত্রকে কোলে নেয়ার অপরাধে এক বিচারপ্রার্থীকে মারধর করার অভিযোগে দায়েরকৃত স্বপ্রনোদিত মামলায় অভিযুক্ত দুই আইনজীবী সহকারীকে শর্ত সাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করার সময় তিনি এ আদেশ জারী করেন। আগামী ৮নভেম্বর থেকে এ আদেশ কার্যকর করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।



 

Show all comments
  • জিয়াউল হাসান আজহারী ৪ নভেম্বর, ২০২০, ১১:২২ পিএম says : 0
    #প্রতারকের_প্রতারণা_থেকে_কোন_রকম_বেঁচে_যায_খইরুল_উম্মাহ_মাদ্রাসা। কে এই প্রতারক? কি ছিল তার প্রতারণা? বিস্তৃত আছে ভিডিওতে। #প্রতারণা_কিভাবে_করেছেঃ নাম মোঃ কামরুজ্জামান পলাশ পিতা মোঃ ইদ্রিস মোল্লা জৈনকাঠী ইউনিয়ন পটুয়াখালী। ১। জৈনকাঠী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান। ২। পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক। ৩।একাধিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক। ৪। শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পেয়েছেন স্বর্ণপদক। কিন্তু সবকিছুই ছিল তার মিথ্যা ও বানোয়াট। তবে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়। তিনি জৈনকাঠী ইউনিয়নের অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে গ্রামের ভিটা বাড়ি বিক্রি করে পালিয়েছেন রাতের আঁধারে। এলাকার সবাই জানেন তিনি ঢাকার কোথাও। কিন্তু নির্মম হলেও সত্য প্রতারক মোঃ কামরুজ্জামান এসে পৌঁছেছেন মহিপুর মৎস্য বন্দর এলাকায়। হাতিয়ে নিতে চেয়েছিলেন এখানকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সহজ সরল মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা। কিন্তু তা রুখে দিয়েছেন খইরুল উম্মাহ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও সহকারী পরিচালক জনাব জিয়াউল হাসান আজহারী সহ এলাকার সাধারন জনগন। #কি_হয়েছিল_খইরুল_উম্মাহ_মাদরাসার_সাথে ? মাদ্রাসার পাশে জনাব মোঃ তোফায়েল মিয়ার ভাষায় ভাড়া নেন এবং তাকে ভুয়া চেয়ারম্যান ও ভুয়া আওয়ামী লীগের জেলা দপ্তর সম্পাদক পরিচয় সহ প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে স্বর্ণ পদক পাওয়া সহ আরও একাধিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক পরিচয় দিয়েছেন। তিনি তোফায়েল কে বলেন আমি হাজারো মাদ্রাসা সরকারি করে দিয়েছি। তোফায়েল সাহেব তার কথায় বিশ্বাস করে মাদ্রাসার পরিচালক ও সহকারী পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করেন। যাতে করে এলাকার মাদ্রাসাটি সরকারি হয় দূরত্ব। পরে তিনি কামরুজ্জামান পলাশ কে নিয়ে মাদ্রাসার পরিচালক ও সহকারি পরিচালকের সাথে সাক্ষাত করেন এবং তিনি একইভাবে মাদ্রাসার পরিচালক ও সহকারি পরিচালক কে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন বিষয় আশ্বস্ত করেন। এবং পরের দিন মাদ্রাসায় তার মেয়েকে ভর্তি করতে এসে মাদ্রাসার সকল শিক্ষকসহ ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে ভাষণ দেন। এখানেও তিনি মিথ্যা পরিচয় দেন। যার ভিডিও আপনারা ফেসবুকে পেয়েছেন। সেখানে তিনি বলেন এক সপ্তার ভিতরে মাদ্রাসাটিঃ ১। এমপিওভুক্ত করে দেবেন। ২। অনুমোদন করিয়ে দেবেন। ৩। পাঁচতলা ভবন পাস করিয়ে দিবেন। ৪। মাদ্রাসার মাঠ ভরাট করে দেবেন। ৫। ১৫ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন-ভাতার ব্যবস্থা করে দেবেন। ৬।২০২০ সালে মধ্যে ২ লক্ষ টাকা জেলা ও উপজেলা থেকে অনুদান পাস করিয়ে দিবেন। ৭। উপরের উল্লেখিত সকল কাজ করার জন্য তাকে ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে। ৮। ২ লক্ষ টাকা নগদ বাকি ৩ লক্ষ টাকা তিন দিন পরে। কিন্তু তার এই মিথ্যা আশ্বাস শুনে মাদ্রাসার পরিচালক ও সহকারি পরিচালক বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারক ও ভুয়া। কারণ কোনদিনই কোন প্রতিষ্ঠান এক সপ্তার ভিতরে সরকারিকরণ সহ সকল কাজ করা সম্ভব নয়। পরে তারা জৈনকাঠী ইউনিয়ন ও পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে খোঁজ খবর নিয়ে দেখেন সে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট পরিচয় দিয়েছেন সে একজন বড় মাপের প্রতারক। মাদ্রাসার পরিচালক ও সহকারী পরিচালক টাকা পয়সা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মোঃ কামরুজ্জামান পলাশ মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক জিয়াউল হাসান আজহারী সাবকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছেন। অত্র প্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষক ও ছাত্রদের কাছে। তাই তিনি মহিপুর থানায় অভিযোগ করেছেন। মহিপুর থানার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান স্যার তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। সকলের কাছে দোয়া চাই যাতে করে এরকম প্রতারকদের হাত থেকে প্রতিষ্ঠানসহ সকল ছাত্র-শিক্ষক ও একার সাধারণ জনগণ নিরাপদে থাকতে পারে ও প্রতারকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়। আমিন গতকালকে একাধিক চ্যানেলের সাংবাদিক ভাইয়েরা এসে ছিলেন তারাও তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সেখানে সে যে প্রতারক এবং ভুয়া পরিচয় দিয়েছে তার প্রমাণ মিলেছে। পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগ অফিসে সাংবাদিক ভাইয়েরা যোগাযোগ করে তাদের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছেন যে কামরুজ্জামান পলাশ নামে কোন দপ্তর সম্পাদক নেই বা কখনো ছিল না সে আওয়ামী লীগের কেহ না সে একজন প্রতারক তাকে আইনের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আটক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ