মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে গত এক বছরে গম ছাড়া গড় খুচরা ম‚ল্য বেড়েছে প্রায় সবধরনের খাদ্যপণ্যের। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে আলুর দাম, প্রায় ৯২ শতাংশ। এছাড়া পেঁয়াজের দাম বেড়েছে গড়ে ৪৪ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের ক্রমাগত ম‚ল্যবৃদ্ধিতে প্রশ্ন উঠছে সরকারের নীতিনির্ধারণী দক্ষতা নিয়ে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সংকট সাময়িক। সরবরাহ বাড়লেই ম‚ল্য নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে আশা করছেন তারা। রোববার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারতের ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তুলনাম‚লক বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত এক বছরে দেশটিতে আলুর দাম সর্বোচ্চ ১০৮ শতাংশ বেড়ে প্রতি কুইন্টাল (১০০০ কেজি) বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৬৩৩ রুপি। এক বছর আগেও এর দাম ছিল ১ হাজার ৭৩৯ রুপি। আর শনিবার সেখানে প্রতি কুইন্টাল পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার ৬৪৫ রুপিতে, যা গত বছর ছিল ১ হাজার ৭৩৯ রুপি। অর্থাৎ, এই সময়ে ভারতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় ৪৭ শতাংশ। আলু-পেঁয়াজের পাশাপাশি দেশটিতে ডালের দামও বাড়ছে হু হু করে। গত কয়েক মাস ধরে সেখানে খাদ্যপণ্যের ম‚ল্যবৃদ্ধি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত পাঁচ বছরের হিসাব তুলনা করলে দেখা যায়, এই সময়ে ভারতে আলুর দাম বেড়েছে প্রায় ১৫৮ শতাংশ। বছর পাঁচেক আগেও দেশটিতে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হতো ১৬ দশমিক ৭ রুপিতে। এখন তার দাম এসে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৪৩ রুপিতে। ভারতের এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, আলু ও পেঁয়াজের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে যে, পেঁয়াজের সহজলভ্যতা বেশি এবং এর দাম কৃত্রিমভাবে বাড়ানো হচ্ছে। তবে আলুর ক্ষেত্রে উৎপাদন কমে গেছে এবং লকডাউনের সময় এর মজুত ও ব্যবহার বেড়েছে।
ভারতে প্রকৃতপক্ষেই চলতি বছর আলুর উৎপাদন কমে গেছে ব্যাপকভাবে। দেশটির সর্বোচ্চ আলু উৎপাদনকারী রাজ্য উত্তর প্রদেশে এ বছর আলু চাষ হয়েছে ১ কোটি ২৪ লাখ টন, যেখানে ২০১৯ সালে উৎপাদিত হয়েছিল ১ কোটি ৫৫ লাখ টন। একইভাবে, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উৎপাদক পশ্চিমবঙ্গে গতবছর ১ কোটি ১০ লাখ টন আলু উৎপাদিত হলেও এ বছর হয়েছে মাত্র ৮৫ থেকে ৯০ লাখ টন।
সংকট কাটাতে ইতোমধ্যেই ভুটান থেকে বিনা লাইসেন্সে আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছে ভারত সরকার। শুল্কহার কোটা প্রকল্পের আওতায় ১০ লাখ টন আলু আমদানির অনুমতি পেয়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। সেক্ষেত্রে আমদানির চালান অবশ্যই আগামী ৩১ জানুয়ারির আগে ভারতের বন্দরে পৌঁছাতে হবে। এছাড়া, ভারতের বেসরকারি আমদানিকারকরা ইতোমধ্যেই সাত হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করেছেন এবং আরও অন্তত ২৫ হাজার টন ১৬ নভেম্বরের আগেই পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছে সরকার। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।