মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারো ছড়িয়েছে পরেছে পুরো ইউরোপজুড়ে। গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহের তুলনায় দৈনিক সংক্রমণ বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। সংস্থাটির মুখপাত্র ড. মার্গারেট হ্যারিস ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এই তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিবিসির।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র ডা. মার্গারেট হ্যারিস বলেন, ইউরোপে সংক্রমণের অধিকাংশই ফ্রান্স, স্পেন, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস এবং রাশিয়ায়। হাসপাতালগুলোতে রোগীর ভিড় বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।
ডব্লিউএইচও মুখপাত্র জানান, ফ্রান্স, স্পেন, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, রাশিয়াতে নতুন সংক্রমণ বেশি হচ্ছে। এই দেশগুলোতে নতুন আক্রান্তদের এক-তৃতীয়াংশের বাস। তিনি বলেন, উদ্বেগের বিষয় হলো হাসপাতালগুলোর আইসিইউ গুরুতর অসুস্থ রোগীতে ভরে যাচ্ছে।
রাশিয়াতে দৈনিক মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২০ জনের মৃত্যুর ফলে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ৫৮৯ জনে। ইতালিতে মৃত্যু হয়েছে ২২১ জনের ও আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২২ হাজার। অস্ট্রিয়া মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। বেলজিয়ামে করোনা আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মী ও ডাক্তারদের রোগীর সেবাপ্রদান অব্যাহত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ড. মার্গারেট হ্যারিস বলেন, পুরো ইউরোপজুড়ে উদ্বেগজনক সংখ্যায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। ভালো ব্যবস্থাপনার হাসপাতাল ব্যবস্থা থাকলেও অনেক দেশে তা রোগীদের পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে।
সংক্রমণ বাড়ায় দেশজুড়ে নতুন করে বিধি-নিষেধ আরোপ করতে বাধ্য হয়েছে ইতালি সরকার। এদিকে সোমবার সন্ধ্যা থেকে নতুন বিধি-নিষেধের বিপক্ষে ইতালির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ-প্রতিবাদে অংশ নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ।
মঙ্গলবার ফ্রান্সে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৩৩ হাজার ৪১৭ জন এবং মারা গেছে ৫২৩ জন। দেশটিতে গত এপ্রিলের পর এটাই একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা।
এদিকে, বেলজিয়ামেও নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। ফলে হাসপাতালগুলোতেও এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে। দেশটির এক চতুর্থাংশ মেডিকেল স্টাফ বর্তমানে কোভিড-১৯ সংক্রমণে ভুগছেন। দেশটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার ৬৮৭ এবং ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৮৯ জন।
বেলজিয়ামের ১০টি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ তাদের স্টাফদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। করোনায় আক্রান্ত যেসব স্টাফের দেহে করোনার লক্ষণ দেখা যায়নি তাদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
পুরো ইউরোপজুড়েই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। ফলে অনেক দেশই এখন আবার নতুন করে কড়াকড়ি ও বিধি-নিষেধ জারি করতে বাধ্য হয়েছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রেস্টুরেন্ট-বার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারফিউ ও জরুরি অবস্থাও জারি করেছে বেশ কিছু দেশ। সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।