নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
করোনাভাইরাসের মধ্যে এমনিতেই হাজারো নিয়মনীতির বেড়াজালে চলছে ক্রিকেট। সিরিজ খেলতে গিয়ে খেলোয়াড়দের জৈব সুরক্ষিত বলয়ের মধ্যে থাকার বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হচ্ছে। নিশ্চিত করতে হচ্ছে, খেলতে গিয়ে কোনোভাবেই যেন করোনা সংক্রমণ না ঘটে। খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করাটাই যেখানে বিশাল ঝক্কির কাজ, সেখানে তাঁদের পরিবারদের আমন্ত্রণ জানানোটাও বাড়তি যন্ত্রণা যেন। অস্ট্রেলিয়া কী কোহলিদের জন্য সেই যন্ত্রণা নিতে রাজি হবে? বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী কিন্তু বেশ আশাবাদী।
মরুরাজ্য আরব আমিরাতে বাজছে আইপিএলের দামামা। ভারতের সব ক্রিকেটার ফ্র্যাঞ্চাইজি এই টুর্নামেন্ট জয়ের লক্ষ্যে লড়ছেন প্রায় দেড় মাস ধরে। তবে শুধু ক্রিকেটই যে তাঁদের মাথায় আছে, তা কিন্তু নয়। করোনাভাইরাস যেন স্পর্শ না করে, সে লক্ষ্যে বেদবাক্যের মতো প্রোটোকল মেনে চলছেন প্রত্যেকে। জৈব-সুরক্ষিত বলয়ের মধ্যে থাকছেন সব সময়। এখানে অবশ্য পরিবার নিয়ে অত বেশি কড়াকড়ি করছে না বিসিসিআই। যে যে পরিবার নিয়ে আসতে চেয়েছেন, এসেছেন। বিরাট কোহলির কথাই ধরুন। ক্রিজে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে ব্যাট করছেন বিরাট কোহলি, ওপরে ভিআইপি গ্যালারি থেকে স্ত্রী বলিউড তারকা আনুশকা শর্মা স্বামীকে প্রেরণা জোগাচ্ছেন, উদ্বুদ্ধ করছেন ভালো করার জন্য। এবার আইপিএলের মোটামুটি পরিচিত দৃশ্যই বলা চলে এটিকে। তবে আইপিএল শেষ হলেই অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ খেলতে যাওয়া ভারত দলের সঙ্গে পরিবার যাবে কি না, এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গাঙ্গুলীর মতে, কোহলিদের সঙ্গে পরিবার যাওয়া উচিত, ‘খেলোয়াড়েরা এমনিতেই জৈব সুরক্ষিত বলয়ে গত ৮০ দিন ধরে আছে। তাঁদের সঙ্গে পরিবার না আসার কোনো কারণ দেখি না আমি। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড চেষ্টা করছে যাতে আমাদের খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাঁদের পরিবারকেও আনা যায়। দেখা যাক কি হয়। হয়তো পরিবারও যাবে খেলোয়াড়দের সঙ্গে।’ অস্ট্রেলিয়ার সংবাদপত্র নিউ এইজ কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অস্ট্রেলিয়ায় করোনাভাইরাস প্রোটোকল কেমন হতে পারে তারও একটা ধারণা পাওয়া গিয়েছে গাঙ্গুলির কথা থেকে, ‘আপাতত যা বুঝতে পারছি, সফরের প্রথম অংশ সিডনিতে হবে। আমরা এখনো আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি জৈব সুরক্ষা বলয় ও মেডিকেল সংক্রান্ত ব্যাপারে, কারণ এটা একটা দীর্ঘ সফর হতে যাচ্ছে। আমাকে বলে হয়েছে অস্ট্রেলিয়া এখন কোভিড মুক্ত, খুব বেশি করোনাভাইরাস আক্রান্ত নেই সেখানে। সবকিছু যেন ঠিকঠাক হয় সেটা নিশ্চিত করার জন্য আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’
কিছুদিন আগে ভারতীয় সংবাদপত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছিল, করোনার ঝুঁকি নিয়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাঁদের পরিবার পাঠানোর কোনো যুক্তি খুঁজে পাচ্ছে না বিসিসিআই। ফলে আরব আমিরাত থেকে কোহলিরা সোজা অস্ট্রেলিয়ায় উড়াল দিলেও, আনুশকাদের ফিরতে হবে ভারতে।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে সফর শুরু করবে ভারত। এরপর শুরু হবে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এর মধ্যে অ্যাডিলেডে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া প্রথম টেস্টটাই হবে দিনরাতের, খেলা হবে গোলাপি বলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।