বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জে সংরক্ষিত বনাঞ্চল দখল করে প্লট বিক্রির রমরমা বাণিজ্য চলছে। বনকর্মীরা দিনে উচ্ছেদ করে ফিরলে রাতে ফের দখল ও ঘর তৈরি করছে প্রভাবশালীরা।
জানা যায়, বনবিভাগ স্থানীয় কিছু ব্যক্তিকে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সামাজিক বনায়নের প্লট প্রদান করলেও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বনায়ন জবরদখল করেছে। ওই পাহাড় থেকে মাটি-বালু বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তারা। কক্সবাজার পরিবেশ অধিদফতর স¤প্রতি অভিযান চালিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম এবং শরীফ নামের দুইজনকে জরিমানা করেছে।
বর্তমানেও ৪টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বনবিভাগের পাহাড় কেটে বালি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্লট কেড়ে নেয়ার বিষয়টি কাউকে প্রকাশ না করতে সামাজিক বনায়নের অংশীদার আবদুল খালেক ও মাস্টার আবদুচ্ছালামকে জিম্মি করে তিন লাখ টাকা হারে ধরিয়ে দেয়া হয়। শরীফ ও তার বাহিনী বেপরোয়া হওয়ায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. ওসমান গণি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সূত্র জানায়, শরীফের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পাহাড় কাটা, বনজসম্পদ দখল, মাটি-বালু বিক্রি, বনাঞ্চলে ঘর নির্মাণ ও সংরক্ষিত বনের জায়গা জবরদখল করে প্লট হিসেবে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে। তিনি স্থানীয় বাজারে স’মিল স্থাপন করে সংরক্ষিত বনের কাঠ চেরাই করছেন দিনরাত্রি। এসব অবৈধ অপকর্মে আওয়ামী লীগের দুর্নাম হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল করিম মাদু বলেন, মো. শরীফ ইতোপূর্বে বিএনপি কমিটিতে ছিলেন কি না আমার জানা নেই। নব্য আওয়ামী লীগ এবং দলে অনুপ্রবেশকারীদের কর্মকাÐে দলের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে। কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক সোহেল রানা জানান, সেই বাগানে সত্যিকার অর্থে সরকারের সব স্বার্থ রক্ষা হয়েছে। বর্তমানে সেই বাগানে ৯ এবং ১০ অক্টোবর দুই বার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তবে উচ্ছেদ করে ফিরে আসলে রাতে আবার দখল করে নেয় বনজ সম্পদ। এখন আবারও উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো হবে। আগে বনায়নের জন্য জন প্রতি ১ হেক্টর জমি দেয়া হত। এখন ১ একর করে দেয়া হবে। সে জন্য আগে ১০ জনকে দেয়া হয়েছিল এবং সেই জায়গায় ২৫ জনকে দেয়া সম্ভব হবে। তবে সন্ত্রাসীদের কারণে এখন কেউ সরকারি বাগান নিতে রাজি হয়না। পূর্বের লিজ গ্রহণকারীরা অগ্রাধিকার পাবেন।
এদিকে, উত্তর ও দক্ষিণ বনবিভাগের জায়গা জবরদখল করে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ঘর, মার্কেট নির্মাণ করছে, চাইন্দা বিট কর্মকর্তা আশরাফ হোসেনের নেতৃত্বে বনকর্মীরা অভিযান চালিয়ে নির্মিতব্য দালান গুঁড়িয়ে দিয়েছে। উত্তর বনবিভাগের ইসলামপুর এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দলখলকৃত বনভ‚মিতে অসংখ্য ঘর নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া টেকনাফে রোহিঙ্গা আগমনের সূত্র ধরে প্রভাবশালীরা বনভ‚মি দখল করে অসংখ্য মার্কেট নির্মাণের পর ভাড়া দিয়েছে রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।