পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, টেকসই বন ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণের অংশ হিসেবে বনের অভ্যন্তরে বেআইনিভাবে বসবাসরতদের বনের বাইরে বের হয়ে আসতে হবে। অবৈধ দখল উচ্ছেদের মাধ্যমে বনভ‚মি পুনরুদ্ধার ও তা সংরক্ষণে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
গতকাল বন অধিদফতরে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত ‘টেকসই বন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিাত ছিলেন পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড এ কে এম রফিক আহাম্মদ এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু প্রমুখ। পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার বনাঞ্চল ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং বনায়ন কার্যক্রম জোরদার করেছে। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের উদ্যোগে বাংলাদেশে বনজসম্পদ সৃজন ও উন্নয়নে সূচিত হয়েছে এক নতুন গতিধারা, ফলে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ভরে যাবে সবুজের সমারোহে। সরকারের লক্ষ্য টেকসই পরিবেশ উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, দৃঢ় অর্থনৈতিক ভিত নির্মাণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ মোকাবিলা করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য সুন্দর পৃথিবী নির্মাণ। মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম এবং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে বর্তমানে বাংলাদেশের বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দেশের মোট আয়তনের ২২ দশমিক ৩৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে এই বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ ২৪ শতাংশের বেশি উন্নীত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বননির্ভর জনগোষ্ঠীর বনের ওপর নির্ভরশীলতা হ্রাসে বিকল্প জীবিকায়ন কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে তাদের জীবন-মান উন্নয়নে সহযোগিতামূলক বন ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নিয়মিত অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার কারণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় অপরাধ সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া মাত্রই আমরা দ্রুত সাড়া দিতে সক্ষম হয়েছি। সবার সম্মিলিত প্রয়াসে টেকসই বন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো।
অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে ৫০টি টিয়া ও মুনিয়া পাখি প্রকৃতিতে অবমুক্ত করেন বনমন্ত্রী। এছাড়াও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবেশ ভাবনা নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র, বাংলাদেশের পরিবেশ ও বন সংরক্ষণে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের কর্মকান্ডের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন এবং স্বাধীনতার ৫০ বছরে বন অধিদফতরের অর্জন ও সম্ভাবনা নিয়ে একটি উপস্থাপনা প্রদর্শন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।