নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আগের চার ম্যাচে মোটে ৫ উইকেট, তাও এক ম্যাচে ছিলেন উইকেটশূন্য। উইকেটের জন্য তাসকিন আহমেদের ক্ষুধা বুঝি মাথাচাড়া দিয়ে উঠল তামিমদের শেষ ম্যাচেই। সত্যিকার অর্থেই ম্যাচটিকে তামিম একাদশের শেষ ম্যাচ বানিয়ে নাজমুল একাদশকে দারুণ জয় এনে দেওয়া তাসকিন ফাইনালে তুলেছেন মাহমুদউল্লাহ একাদশকেও। অথচ গতপরশু দিনটি হতে পারত মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনেরও! তাসকিনের চেয়েও বেশি ক্ষুরধার ছিল তার বোলিং। উইকেটও শিকার করেছেন তাসকিনের চেয়ে একটি বেশি- পাঁচটি। তবুও দলের জয়ের সুতো ধরে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় তাসকিন। সাফউদ্দনকে সন্তুষ্ট থাকতে হল সেরা বোলারের খেতাব নিয়েই, অর্থের অঙ্কে যা তাসকিনের অর্ধেক। ম্যাচ শেষে তাসকিন জানান, নিজের স্বভাবজাত বোলিং দিয়েই এমন বিধ্বংসী হয়ে উঠেছিলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, অনেক ভালো লাগছে। অনেক দিন পরে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হতে পেরেছি। আমি আমার সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছি। বেসিক ঠিক রাখার চেষ্টা করেছি। আল্লাহর রহমতে তাতেই ভালো হয়েছে।’
পরিসংখ্যান ঘাঁটলে সাইফউদ্দিনের জন্য মায়াই জাগবে। ব্যাটিংয়ে বেহাল দশা থাকলেও টুর্নামেন্ট জুড়ে তামিম একাদশের বোলিং ছিল প্রশংসনীয়। বল হাতে দলের ম‚ল কাজটা করেছেন সাইফউদ্দিনই। আসরের একমাত্র পাঁচ উইকেট সমৃদ্ধ বোলিং ফিগারটির পর আছে রুবেলের চার উইকেট প্রাপ্তির বোলিং, তারপরই সেরা বোলিং ফিগার তাসকিনের এই ইনিংসের অগ্নিঝরা বোলিংয়ে। বোলারদের এই ঔজ্জ্বলতার বীপরিতে ব্যাটসম্যানদের ম্লানতাকেই দায়ী করলেন তামিম ইকবাল। ম্যাচ শেষে নিজের পাশাপাশি দলের সকল ব্যাটসম্যানকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন অধিনায়ক, ‘পুরো টুর্নামেন্টে আমরা যেভাবে ব্যাটিং করেছি, আমার মনে হয় আমরা ফাইনালে খেলার যোগ্যতা রাখি না। তবে সব ম্যাচেই বোলিং ইউনিট চমৎকার করেছে। সাইফউদ্দিন, শরিফুল, মেহেদী... বোলারদের পারফরম্যান্স সত্যিই ভালো ছিল। তবে আমিসহ সব ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স যতটা ভালো হওয়া দরকার ছিল তার ধারে কাছেও যাইনি।’
ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হলেও সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের দিক থেকে সবার উপরে সাইফউদ্দিন। সেই ম্যাচে ৭ উইকেট নেওয়া তাসকিন ১২ উইকেটধারী সাইফউদ্দিনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে সুযোগ থাকবে মাহমুদউল্লাহ একাদশের পেসার রুবেল হোসেনের। রুবেল বর্তমানে ১০ উইকেট শিকার করে সাইফউদ্দিনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন।
এদিকে, সব কিছুই চূড়ান্তই ছিল। দুই দলের অধিনায়ক ফাইনাল নিয়ে আনুষ্ঠানিক কথাও বলে ফেলেছেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বদলে ফেলা হয়েছে তারিখ। আজ দুপুর ২টায় মাহমুদউল্লাহ একাদশ ও শান্ত একাদশের বিসিবি প্রেসিডেন্ট’স কাপের ফাইনালের সময় নির্ধারিত ছিল। তবে গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানায়, আগামী ৭২ ঘণ্টায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বৃষ্টি ও আলোকস্বল্পতা থাকায় এই সময়ে ম্যাচটি মাঠে গড়াবে রোববার। দিনের সঙ্গে সময়েও এনছে পরিবর্তন। দুপুর দুইটার পরিবর্তে আগের সময় দেড়টায় মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে শিরোপা লড়াই। কোনো কারণে সেদিনও বৃষ্টি হলে সোমবার রিজার্ভ ডেতে যাবে খেলা।
একই সঙ্গে আরেকটি সুসংবাদও দিয়েছে বিসিবি। এই পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সবগুলো ম্যাচই ফেসবুক ও ইউটিউব লাইভে দেখাচ্ছিল বিসিবি। তবে ফাইনাল ম্যাচটি আরও বেশি দর্শকদের দেখার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে দেশের সর্বোচ্চ ক্রিকেট সংস্থা। ফেসবুকের পাশাপাশি ফাইনাল খেলা সরাসরি সম্প্রচারিত হবে বাংলাদেশ টেলিভিশনেও।
১১ অক্টোবর থেকে তিন দলকে নিয়ে শুরু হয়েছিল ৫০ ওভারের এই টুর্নামেন্ট। করোনাভাইরাসের কারণে তা দিয়েই সাত মাসের বিরতি পার করে ফিরেছিল মাঠের ক্রিকেট। অংশ নেওয়া তিন দল তামিম একাদশ, শান্ত একাদশ ও মাহমুদউল্লাহ একাদশ রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে একে অন্যের সঙ্গে দুবার করে খেলেছে। চার ম্যাচের তিনটা জিতে শীর্ষে থেকে ফাইনাল নিশ্চিত করে শান্ত একাদশ। দুই জয়ে তাদের প্রতিপক্ষ হয় মাহমুদউল্লাহর দল। আর চার ম্যাচে মাত্র এক জয় নিয়ে বিদায় নেয় তামিম একাদশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।