নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সাম্প্রতিক সময়ে যিনি পেস বোলিংয়ে বাংলাদেশের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছেন তাসকিন আহমেদ। অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের পর তার প্রশংসাও করেছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বলেছেন, পেসারদের পথ দেখাচ্ছেন তাসকিন। তবে এই সীমানায় তৃপ্ত থাকার মানসিকতা তার নেই। অনেক দিন থেকেই বলছেন, নিজেকে তিনি দেখতে চান বিশ্বসেরাদের উচ্চতায়। নতুন করে সেই স্বপ্নের পিছু ছুটতে প্রস্তুত তিনি চোট কাটিয়ে পুরো ফিট হয়ে।
চোটের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলতি টেস্ট সিরিজের দলে তিনি নেই। তবে সফরের শেষ দিকে ওয়ানডে সিরিজের দলে তাকে রাখা হয়েছে। ফিটনেস দিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টকে সন্তুষ্ট করতে পারলে ওয়ানডের আগে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও তাকে দেখা যেতে পারে। ফেরার লড়াইয়ে বেশ কিছুদিন ধরে নেটে বোলিং করে চলেছেন তিনি। শুরু করেছিলেন ‘লো ইনটেনসিটি’-তে বোলিং করে। আস্তে আস্তে বাড়ান প্রচেষ্টা। গতকাল বেশ লম্বা সময় পুরো রান আপে ও পুরোদমে বোলিং করলেন নির্বাচকদের সামনে। বোলিং সেশন শেষে মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তাসকিন বললেন, শারীরিকভাবে তিনি পুরোপুরি তৈরি, ‘গত দু’দিন শতভাগ দিয়েই বোলিং করার চেষ্টা করেছি এবং চেষ্টাগুলো ঠিক ছিল। সবধরনের বলই চেষ্টা করেছি এবং এখানে আমাদের নির্বাচকরা, ডাক্তার সবাই ছিলেন। তারা সবাই সন্তুষ্ট, আমিও সন্তুষ্ট। সব মিলিয়ে ভালো আছি।’
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরুর আগেই ৮-৯ বছর পূর্বে বড় ধরনের পিঠের চোটে পড়েছিলেন তাসকিন। সেই থেকে চোট তার নিত্য সঙ্গী। বয়স তাই মোটে ২৭ হলেও বারবার প্রশ্ন উঠে যায়, সংস্করণ বাছাই করে খেলবেন কিনা। তাসকিন অবশ্য বরাবরই বলে আসছেন, সব সংস্করণই তিনি খেলতে চান। আরও একবার তিনি বললেন সেই কথা, পাশাপাশি বললেন পুরনো নেই স্বপ্নের কথাও, ‘আমি সব ফরম্যাট খেলতে চাই... সব ফরম্যাট। যদি কখনও দেখি পারছি না, তখন বলব। কিন্তু এখন আসলে মনে হয় না। এখন ফিট হয়ে ভালো করে খেলার রাইট সময়। আমার স্বপ্ন আসলে, ‘ওয়ার্ল্ড ক্লাস’ হতে চাই। এখনও আসলে ওই সময় আসেনি যে বিশ্রাম নিতে হবে। যদি কখনও মনে হয় ম্যানেজ করতে পারছি না তখন (ভাবা যাবে)... কিন্তু এখনও সময় হয়নি।’
সদ্য চোট থেকে সেরে উঠলেও এবং বারবার চোটে পড়লেও মাঠে নেমে তিনি নিজের সঙ্গে আপোস করতে চান না। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও উজাড় করে দিতে চান নিজের সবটুকু, ‘আমি চাইব সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দিয়ে যেন জয় উপহার দিতে পারি। সবসময় এটাই ইচ্ছা থাকে। শতভাগ দেব। ফাস্ট বোলারদের ইনজুরি টুকটাক হয়। হলে আবার কামব্যাক করতে হবে এটাই চ্যালেঞ্জ এবং এটাতে মজাও আছে। প্রায় আড়াই মাস পর দলের সাথে যুক্ত হতে পারছি, এটা সবচেয়ে বেশি আনন্দের। একজন স্পোর্টসম্যানের জন্য সবচেয়ে শান্তির ব্যাপার দলের সঙ্গে থাকা। প্রত্যেকটি সিরিজই কঠিন, ইনজুরড থাকি আর না থাকি। এটাও চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জ নিতেই হবে। সেভাবেই এগোব। তারপর ইনজুরি হলেও নিজেকে বোঝানো যায় যে নিজের পুরোটা দিয়েছি।’
ঢাকায় থাকলেও সাকিবের প্রশংসা চোখ এড়ায়নি তার। স্বাভাবিকভাবেই অধিনায়কের এমন বাণী অনুপ্রাণিত করছে তাসকিনকেও, ‘কোনো সন্দেহ নেই তিনি (সাকিব) একজন কিংবদন্তি। তিনি যখন বলেছেন, ব্যক্তিগতভাবে খুবই ভালো লেগেছে আমার। আরও অনুপ্রাণিত করেছে আমাকে যে আমি আরও ভালো করতে পারব। খুব ভালো লেগেছে আসলে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে দলে থাকলেও টি-টোয়েন্টি দলে রাখা হয়নি তাসকিনকে। সর্বশেষ গত বছর নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০ ওভারের ক্রিকেট খেলেছিলেন তিনি। সব ঠিকঠাক থাকলে সব ঠিক থাকলে সীমিত ওভারের দলের সঙ্গে আগামীকালই তিনি দেশ ছাড়বেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পথে। ওই দিনই সেন্ট লুসিয়ায় দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে বাংলাদেশের। এরপর ২ জুলাই থেকে শুরু টি-টোয়েন্টি সিরিজ, ১০ জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে সফর শেষ হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।