মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে অর্ধেকের বেশি ভারতীয় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। অর্থাৎ, ১৩০ কোটির দেশে ৬৫ কোটি নাগরিকের মধ্যে ততদিনে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে যাবে। সেইসঙ্গে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের সংক্রমণের গতিও ক্রমশ কমবে। করোনা নিয়ে কাজ করা ফেডারাল গভর্নমেন্ট কমিটির এক সদস্য গত সোমবার এমনটাই দাবি করেছেন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, এ মুহূর্তে করোনায় আক্রান্ত ৭৫ লাখের উপর ভারতীয়। সংক্রমণের নিরিখে আমেরিকার পরেই রয়েছে ভারত। তবে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে সংক্রমণ শিখর ছোঁয়ার পর ক্রমশ কমছে আক্রান্তের সংখ্যা। গড়ে দৈনিক ৬১,৩৯০ কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট আসছে। তবে গতকাল সংক্রমণ ৫০ হাজারের নিচে নেমে এসেছে। গতকাল পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে শনাক্ত হয়েছে ৪৬ হাজার ৭৯১ জন এবং ৩ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে ৫৮৭ জন।
সরকার নিয়োজিত ১০ সদস্যের কমিটি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে দু-দিন আগেই একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এ কেন্দ্রীয় প্যানেলেরই এক সদস্য মণীন্দ্র আগরওয়ালের কথায়, ‘আমাদের গাণিতিক মডেলের হিসেব বলছে, ভারতের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশ ইতিমধ্যেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন ইংরেজি বছরের ফেব্রæয়ারির মধ্যেই এ ৩০ শতাংশ ৫০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে’। মণীন্দ্রবাবু কানপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট ফর টেকনোলজির প্রফেসর।
কেন্দ্রীয় কমিটির এ সদস্যের দাবি, সরকারের সেরো সমীক্ষায় যা উল্লেখ করা হয়েছে, তার থেকে ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। সেরোলজিক্যাল সমীক্ষা মতে, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় জনসংখ্যার মাত্র ১৪ শতাংশ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। কানপুর ইনস্টিটিউটের এ শিক্ষকের মতে, সেরো সমীক্ষায় সংক্রমণের সঠিক হিসেব তুলে ধরা সম্ভব নয়। গাণিতিক মডেলের ওপর ভিত্তি করেই তারা একটি রিপোর্ট রোববার কেন্দ্রের কাছে জমা দিয়েছে।
কেন্দ্রের নিয়োগ করা ১০ সদস্যের এ কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পাল। ভারতে করোনাভাইরাসের আঙ্কিক অগ্রগতি নিয়ে সমীক্ষার দায়িত্ব ছিল এ কমিটির। ভারতের কোনও কোনও অঞ্চলে যে গোষ্ঠী সংক্রমণ সীমিত সংখ্যায় হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন তা স্বীকার করে নেন।
কেন্দ্র ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কাছে রোববার কমিটি যে রিপোর্ট পেশ করেছে, তাতে দাবি করা হয়, আসন্ন উৎসবের দিনগুলিতে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ না করলে, সামনের একমাসে দেশে তাৎপর্যপূর্ণভাবে বাড়বে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। কমিটির হিসেব, শুধু একমাসে নয়া কোভিড পজিটিভ কেস ২৬ লাখ পর্যন্ত বাড়তে পারে। কেন্দ্রের আশঙ্কা যে অমূলক নয়, কেরালাকে দেখেই তার একটি প্রাথমিক আভাস পাওয়া যায়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের কথায়, উৎসবে গাফলতির মাশুল দিচ্ছে কেরালা।
কমিটির রিপোর্ট বলা হয়েছে, কেরালা, কর্নাটক, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ় ও পশ্চিমবঙ্গে এখনও সংক্রমণের সংখ্যা রোজ বেড়ে চলেছে। এ পাঁচ রাজ্য ছাড়া অন্যত্র ভাইরাসের সংক্রমণ মোটের উপর স্থিতিশীল। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।