নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বার্সেলোনার হয়ে চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ খেলেছেন, আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে দুটি। কিন্তু পর্যন্ত মাত্র দুটি গোল করতে সমর্থ হয়েছেন। সে দুটিও এসেছে আবার স্পটকিক থেকে। গোল করার ক্ষেত্রে আগের মতো মরিয়া হয়ে খেলতে দেখা যায়নি লিওনেল মেসিকে। অথচ মাঠে তার পারফরম্যান্স ছিল অনন্য। কেন? তার কারণ নিজেই জানিয়েছেন এ আর্জেন্টাইন তারকা।
দলীয় লক্ষ্যের চেয়ে ব্যক্তিগত চাওয়াকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার দুর্নাম লিওনেল মেসির কখনোই ছিল না। তারপরও, সাম্প্রতিক সময়ে নিজেকে আরও কিছুটা বদলেছেন বলে দাবি বার্সেলোনা অধিনায়কের। জানালেন, ব্যক্তিগতর চেয়ে দলীয় লক্ষ্যকে এখন আরও প্রাধান্য দিচ্ছেন তিনি। বিশেষ করে নিজে গোল করার যে একটা নেশা, তা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছেন তিনি। বার্সেলোনা বা জাতীয় দল, সব ক্ষেত্রেই এখন একই চাওয়া নিয়ে মাঠে নামেন বলে জানালেন আর্জেন্টাইন তারকা। নিজের ভূমিকা অনেকটাই বদলে ফেলেছেন রেকর্ড ছয় বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী ফুটবল জাদুকর।
মূলত গত মৌসুম থেকেই নিজেকে বদলে ফেলেছেন মেসি। গোল করার চেয়ে গোল তৈরি করে দেওয়ার মনোযোগী সময়ের সেরা তারকা। বর্তমানে ব্যক্তিগত লক্ষ্যের চেয়ে এখন দলীয় লক্ষ্য পূরণের জন্য চেষ্টা করেন বলে জানান মেসি। বার্সেলোনার ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা ৭৩৪ ম্যাচে এখন পর্যন্ত গোল করেছেন ৬৩৫টি। ১৬ বছরের বার্সেলোনা ক্যারিয়ারের গোল তৈরি করে দেওয়ায় ভূমিকা রেখেছেন ২৫৬ বার। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১৩৯ ম্যাচে ৭১ গোল করেছেন এই ফরোয়ার্ড। গত সপ্তাহে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচে দেশের হয়ে সবশেষ গোল করেন তিনি। গত মৌসুমে বার্সার হয়ে ২১টি গোলে সহায়তা করে জাভির রেকর্ড ছুঁয়েছেন। এবারও সেই আদলেই খেলছেন তিনি। সম্প্রতি আর্জেন্টাইন ম্যাগাজিন লা গাজেত্তা পদেরোজাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেছেন, ‘এখন আমি গোল করার ক্ষেত্রে কম মনোযোগী। আমি আমার দলের জন্য সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি।’
এদিকে অতিমারি করোনাভাইরাসের এ সময়ে নিজেকে সাধারণ মানুষদের সহযোগিতায় ব্যস্ত রেখেছেন মেসি। নিজের পক্ষ থেকে অনেকবারই সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। মহামারীর এই সময়ে মেসি আগেই দান করেছেন ১০ লাখ ইউরো। এই অর্থ বার্সেলোনা ও আর্জেন্টিনায় বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিকে ব্যয় করা হয়েছে। এছাড়া অন্য যারা এগিয়ে এসেছেন তাদের অবদানেও দারুণ গর্বিত এ তারকা, ‘আর্জেন্টিনায় এখন ডাইনিং রুম এবং পিকনিক অঞ্চলে লোকেরা যেভাবে জড়িত হচ্ছে এবং সহযোগিতা করছে তা দেখে আমাদের প্রচুর গর্ব হয়, বিশেষত আমরা যখন কঠিন সময় কাটিয়ে যাচ্ছি।’ সংকট কাটিয়ে না ওঠা পর্যন্ত সবাইকে একত্রিত হয়ে সবসময় সব ধরণের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহবান জানান মেসি, ‘এই মহামারিতে আমাদের অবশ্যই পানি, খাদ্য এবং বিদ্যুতের মতো সমস্ত মৌলিক প্রয়োজনীয়তা বজায় রাখতে হবে... বৈষম্য আমাদের সমাজের বৃহত্তম একটি সমস্যা এবং এটি সমাধানের জন্য আমাদের সকলকে একত্রিত হয়ে কাজ করা উচিত।’
গত মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে কোনো শিরোপা জিততে পারেননি মেসি। তবে এবার সাধারণ মানুষদের জন্য শিরোপা জিততে মরিয়া তিনি, ‘এই বছর যে শিরোপাগুলো তুলে ধরতে পারব সেগুলো সেই সমস্ত লোকদের জন্য যারা নানাভাবে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে এসেছে।’ সে লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক বিরতি শেষে আজ রাতেই স্প্যানিশ লা লিগায় গেতাফের বিপক্ষে মাঠে নামবে বার্সেলোনা। ভ্রমণ ক্লান্তি সারিয়ে মেসিও তৈরি হচ্ছেন নিজের সেরাটা দিয়ে দলকে জেতাতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।