Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতে আইনের শাসনের অবনতি ও অ্যামনেস্টির ঘটনায় ইইউর উদ্বেগ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৪ এএম

ভারতে আইনের শাসনের অবনতি ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো কর্তৃপক্ষের লক্ষ্যবস্তু হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের মানবাধিকার বিষয়ক প্যানেলের প্রধান। তিনি এক বিবৃতিতে, বিশেষ করে ভারতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের (এআই) কার্যক্রম বন্ধের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। ভারত সরকারের প্রতিশোধম‚লক আচরণের কারণে সেখানে কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার কথা জানায় এআই। ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের মানবাধিকার বিষয়ক সাবকমিটির চেয়ারম্যান মারিয়া আরিনা সোমবার ওই বিবৃতিতে বলেন, ভারতে আমাদের বিশেষ সম্পর্কের একেবারে ভিত্তিম‚ল আইনের শাসনের অবনতি ঘটতে দেখা খুবই উদ্বেগের বিষয়। গত সপ্তাহে ইইউ’র পররাষ্ট্রবিষয়ক মুখপাত্র বলেন, ভারতে কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে এআই এবং ইইউ বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক সংস্থাটির কার্যক্রমকে অত্যন্ত ম‚ল্য দেয়। এআই যাতে কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারে সেজন্য বিষয়টির সুরাহা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সরকারও ইইউ’র এই উদ্বেগের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র দফতর বলছে যে তারা কোন স্বেচ্ছাসেবী গ্রæপের আইন লঙ্ঘনকে সহ্য করবে না। ১ অক্টোবর দফতরের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রিবাস্তভা বলেন, এনজিওগুলো যুক্তরাষ্ট্র, ইইউসহ অন্যান্য দেশের মতো বিদেশী তহবিল গ্রহণসংশ্লিষ্টসহ আমাদের সব আইন মান্য করবে বলে আশা করি। কোন সত্ত্বা ভারতীয় আইন লঙ্ঘন করলে তা ক্ষমা করতে কোন সরকার বলবে না বলে আমরা আশা করছি। কিন্তু মুখপাত্রের বিবৃতির পাঁচ দিনের মাথায় ইইউ’র মানবাধিকার কমিটি বলে যে এআইকে ‘খুবই উদ্বেগজনকভাবে’ কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য করা হয়েছে। বিষয়টি মানবাধিকার সংলাপে উত্থাপন করার জন্য ইইউকে সুপারিশ করে কমিটি। ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের বেলজিয়ান সদস্য আরিনা বলেন, মানবাধিকার কাউন্সিলের বর্তমান সদস্য হিসেবে ভারত মানবাধিকারের উন্নয়ন ও সুরক্ষায় সুশীল সমাজের সত্যিকারের অংশগ্রহণ ও কার্যকর অন্তর্ভুক্তি অব্যাহতভাবে বিকশিত করবে বলে অঙ্গীকার করেছে। তাই আমি ভারত সরকারের প্রতি এই অঙ্গীকার এমনভাবে রক্ষার আহ্বান জানাই যাতে তা বৈশ্বিক দৃষ্টান্ত হতে পারে এবং অন্যকে অনুপ্রাণিত করে। কথাকে কাজে পরিণত করতে ভারতের জন্য এটাই উৎকৃষ্ট সময়। এরই প্রেক্ষাপটে আমি ইইউ’র প্রতি আহ্বান জানাবো যেন এসব উদ্বেগ ইইউ-ভারত মানবাধিকার সংলাপে তুলে ধরা হয়। তিনি আরো উল্লেখ করেন, বিভিন্ন স¤প্রদায়, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, বিশেষ করে মুসলমানরা, সরব ও অনুরণনশীল সুশীল সমাজ ও সরকারি নীতির সমালোচকরা অনেক দিন ধরেই ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে রয়েছেন। বিবৃতিতে আরিনা বলেন, প্রস্তাবিত নাগরিকত্ব যাচাই প্রক্রিয়া ও বৈষম্যম‚লক নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভের জের ধরে নির্বিচার গ্রেফতার ও অপ্রয়োজনীয় জীবনহানীর ঘটনা ঘটেছে। দানবীয় সন্ত্রাসদমন ও রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে সাংবাদিক ও অন্যান্য শান্তিপূর্ণ সমালোচনাকারীদের গ্রেফতার চলছে। অন্যদিকে মানবাধিকার রক্ষাকারীরা অব্যাহত ও গুরুতরভাবে কর্তৃপক্ষের টার্গেট হচ্ছে। তিনি আরো উল্লেখ করেন, কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার আগে এআই ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লী দাঙ্গার সময় পুলিশের আইন লঙ্ঘন বিষয়ে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলো। ভারতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর দ্বারা সকল মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটনার দ্রæত, পুঙ্খানুপুঙ্খ, স্বাধীন ও পক্ষপাতহীনভাবে তদন্তের দাবি জানান ইইউ মানবাধিকার কমিটির প্রধান। দি ওয়্যার, এসএএম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ