Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কালীগঞ্জে চেয়ারম্যানের ইশারায় জামায়াত সদস্য সাঁজাতে গভীর রাতে বাড়িতে হামলা ভাংচুর

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ অক্টোবর, ২০২০, ৪:৪২ পিএম

জমি নিয়ে চলছে বিরোধ। আদালতে মামলাও চলমান। আর মামলার বাদীকে জামায়াত সদস্য বানাতে পুলিশের নাম ভাঙিয়ে গভীর রাতে বাড়িতে অভিযানের নামে হামলা চালানো হয়েছে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে। ঘটনাটি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার দুলাল মুন্দিয়া গ্রামে। তবে পুলিশ বলছে, দুলাল মুন্দিয়া গ্রামে পুলিশের কোন টিম দুলাল মুন্দিয়ায় অভিযানে যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে হঠাৎ শব্দ। ৬/৭ জনের একটি দল খলিলুর রহমান ও মহিদুলের বাড়িতে আসে। এরপর চিৎকার শুনতে পাই। কিছুক্ষণ থাকার পর তারা চলে যায়।

দুলাল মুন্দিয়া গ্রামের খলিলুর রহমান জানান, আমার একটি জমি নিয়ে ঝিনাইদহ আদালতে মামলা চলছে। মামলায় ৭নং রায়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপুকে বিবাদী করা হয়েছে। আদালত উক্ত জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। তিনি আমার জমি দখল করে সেখানে একটি বাড়ি নির্মাণ করেছে। এই নিয়ে চেয়ারম্যানের সাথে বিরোধ। চেয়ারম্যানের ভয়ে আমরা রাতে বাড়িতে ঘুমাতে পারছি না।

তিনি আরো জানান, সোমবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে হঠাৎ আমার দুই ভাইয়ের বাড়িতে ৬/৭ জনের একটি দল হামলা চালায়। এসময় আমরা বাড়িতে ছিলাম না। ঘরের মধ্যে ঢুকে আসবাবপত্র ভাংচুর করে। জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় তিনি এখন আমাদের জামায়াত সদস্য বানানোর চেষ্টা করছে। এছাড়াও ওই জমিতে গেলে আমার পা কেটে ফেলবে বলেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

খলিলুর রহমানের স্ত্রী রহিমা বেগম জানান, ছোট দুইটা সন্তান নিয়ে রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ বাড়ির জানালা ও দরজায় লাঠির শব্দ। এরপর দরজা খোলার পর ৬/৭ জন আমাকে ঘর থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। এরমধ্যে দুইজন গ্রাম পুলিশ ও আলী হোসেন অপু চেয়ারম্যানের ছেলে ছিল। ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র এলোমেলো ও ভাংচুর করে। কিছু না পেয়ে বাইরে বের হয়ে আসে। এরপর অন্য একজনের হাত থেকে একটি বই নিয়ে বলে এই বই তোমাদের ঘরে পাওয়া গেছে। এ সময় বাড়ির একপাশে চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু দাঁড়িয়ে ছিলেন।

মহিদুল ইসলামের স্ত্রী চামেলী বেগম জানান, আমার ঘরে ২/৩ জন প্রবেশ করে। এরপর আমার স্বাবালিকা মেয়ে কাঁথা গায়ে দিয়ে শুয়ে থাকে এবং তারা কাঁথা ধরে টান দেন। এরপর আমি তাদেরকে ঘর থেকে বের করে দিই।

এ ব্যাপারে ৭ নং রায়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু বলেন, দুলাল মুন্দিয়া গ্রামে জামায়াত সদস্যদের গোপন মিটিং চলছিল। এমন খবর পেয়ে পুলিশের সহযোগিতায় গতকাল রাতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। একটি জিহাদী বই ও উদ্ধার করা হয়।

তবে দুলাল মুন্দিয়া গ্রামে সোমবার রাতে কোন পুলিশ সদস্য অভিযানে যায়নি উল্লেখ করে কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহা: মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। পুলিশের কোন সদস্য সোমবার রাতে দুলাল মুন্দিয়া গ্রামে অভিযানে যায়নি। আর চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু ও খলিলুর রহমানের জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হামলা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ