মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সরকারের ‘ভ্রান্ত নীতি’ আর করোনার মার। দুইয়ের প্রভাবে ভারতে বিনিয়োগের বাজারে বেনজির মন্দা। গত ১৬ বছরের মধ্যে এবছরই সর্বনিম্ন হতে চলেছে প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ। এমনটাই দাবি করেছে ভারতের অর্থনীতির থিংক ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি(সিএমআইই)। তাঁদের দাবি, চলতি অর্থবর্ষে এখনও অবধি যে পরিমাণ বিনিয়োগ এসেছে, তাতে এ বছর মোট প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের পরিমাণ ৫ ট্রিলিয়ন টাকার নিচেই থাকবে। যা কিনা ২০০৪-০৫ অর্থবর্ষের পর একেবারে সর্বনিম্ন।
সিএমআইই‘র তথ্য বলছে, লকডাউনের আগে আগে প্রতি ত্রৈমাসিকে প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ কোটির নতুন বিনিয়োগের প্রস্তাব আসছিল। অর্থনীতির অবস্থা ভাল হলে, এ পরিমাণটা এর দ্বিগুণ হয়। লকডাউনের পর তা আরও অনেকটা কমেছে। গত ত্রৈমাসিকে সরকারি বিনিয়োগের প্রস্তাব ছিল মাত্র ২৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকার। আর বেসরকারি বিনিয়োগের প্রস্তাব ছিল মাত্র ৩২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার। যা কিনা ২০০৪ সালের জুন মাসের অর্থাৎ বাজপেয়ী সরকারের শেষ বছরের পর সর্বনিম্ন। সিএমআইই’র ধারণা, চলতি অর্থবছরে সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে ভারতে মোট বিনিয়োগের প্রস্তাব আসতে পারে ১.৩ ট্রিলিয়ন টাকার। ২০০৪-০৫ অর্থবর্ষের পর এই সংখ্যাটা কোনওদিন ৫ ট্রিলিয়নের নিচে নামেনি। বিনিয়োগের এ ব্যাপক ঘাটতি ভারতের কাজের বাজারকে আরও সঙ্কুচিত করবে। যা অর্থনীতির জন্য বড়সড় বিপদ বয়ে আনতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত কয়েকবছর ধরেই দাবি করছিলেন, তার আমলে দেশে ব্যবসার পরিবেশ আগের থেকে অনেক বেশি অনুকুল হয়েছে। বস্তুত ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ ক্রমতালিকাতেও উন্নতি হয়েছে ভারতের। কিন্তু সেসবই খাতায় কলমে। বাস্তবের মাটিতে দেখা যাচ্ছে, ভারতে স্থায়ী সরকার থাকা সত্বেও গত কয়েকবছরে লাগাতার কমছে প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ। এবছর করোনার প্রভাবে তা একেবারেই তলানিতে ঠেকেছে। আসলে, করোনা ভারতে প্রকোপ দেখানোর আগেও অর্থনীতি খুব একটা ভাল জায়গায় ছিল না। করোনার প্রভাবে একপ্রকার কোমরই ভেঙে গিয়েছে অর্থনীতির। যার ফলে বেসরকারি সংস্থাগুলি বিনিয়োগে আগ্রহ হারাচ্ছে। আর সেটা ভারতের অর্থনীতির ক্ষেত্রে সমূহ বিপদ ডেকে আনতে পারে। কারণ, বিনিয়োগ কমার অর্থ কাজের সুযোগ এবং উৎপাদন দুটোই কমা। যার সহজ অর্থ হল, বেকারত্ব এবং মূল্যবৃদ্ধি। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।