নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচনে পরাজিত সভাপতি প্রার্থী, সাবেক তারকা ফুটবল ও কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক বলেছেন, ‘আরো সুন্দর হতে পারতো বাফুফে নির্বাচন।’ গতকাল বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচন করেছি, কিন্তু আমাকে সব সুযোগ দেয়া হয়নি। এজিএম শেষে সবকিছু নির্বাচন কমিশনারের অধীনে যায়। আমিও একজন প্রার্থী। লেভেল প্লয়িং ফিল্ড ছিল না। আমি বাইরে, অন্য প্রার্থীরা ভেতরে- এটা ঠিক হলো না। আমার তো সমঅধিকার থাকবে। ভোটিংয়ের সময় তারা ছিলেন। গননার সময় গিয়েছিলাম ভেতরে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাকে বের করে দেয়া হয়েছে নানা অযুহাত দেখিয়ে।’ মানিক যোগ করেন, ‘বাফুফের নির্বাচনী বিধিমালার ১০ (৩) ধারায় রয়েছে, ভোট গণনার সময় প্রার্থীগন উপস্থিত থাকতে পারবেন নির্বাচন কমিশনারের অনুমতি সাপেক্ষে। তাহলে প্রতিপক্ষরা যখন ভোট দেয়া থেকে শুরু করে গণনা পর্যন্ত ভেতরে থাকতে পেরেছেন, আমাকে কেন বের করে দেয়া হল? আমি এর প্রতিবাদ জানাই। এটা অনৈতিক। ভবিষ্যতের প্রার্থীরা যাতে এমন দুর্ব্যবহার না পান, সে জন্য আমি এই ধারা ও প্রয়োগের বিষয়ে আইনের আশ্রয় নেয়ার কথা ভাবছি। এ বিষয়ে আমার এক আইনজীবি বন্ধুর সঙ্গেও কথা হচ্ছে। কারণ এই বিধিমালায় কিছু বিষয় সংযোজন ও বিয়োজন প্রয়োজন রয়েছে। নইলে যে শুভংকরেই ফাঁকি থেকে যাবে।’
গত ৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়েছে বাফুফের বহুল আলোচিত নির্বাচন। এই নির্বাচনে ১৩৫ জন ভোটার নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। যেখানে মানিক পেয়েছেন মাত্র ১ ভোট! এটা মানতে পারছেন না জাতীয় দলের সাবেক এই কোচ। মানিকের কথায়, ‘আমার অনেক ছাত্র ছিল এবার কাউন্সিলর। যারা আমাকে ভোট দেয়ার ব্যাপারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন। তাদের ভোট গেল কোথায়? আর যারা কাজী সালাউদ্দিন ভাইয়ের বিরোধী ছিল, পরিবর্তনের কথা বলে আমাকে উৎসাহিত করেছেন নির্বাচন করতে। তাদের ভোট কোথায়? তাহলে কি ভোটারদের নীতি নৈতিকতা নেই? তাই আমি কোচিং পেশাতেই ফিরে যেতে চাই।’ আরেক সভাপতি প্রার্থী বাদল রায় সম্পর্কে মানিক বলেন, ‘নির্বাচনের আগে বাদল ভাই একেক সময় একেক কথা বলেছেন। উনার অবস্থান ঠিক রাখেননি তিনি। এটা ঠিক নয়।’
এদিকে মানিকের সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি নজরে এসেছে বাফুফে নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচনে ‘লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড’ না থাকার অভিযোগ উত্থাপন করেছেন মানিক। এ বিষয়ে কাল সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন নিজেদের বক্তব্য দিয়েছে। বক্তব্যে কমিশন বলেছে- ‘ফিফা নিয়ম অনুসারে ভোট পর্বের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ডেলিগেট, নির্বাহী কমিটির সদস্য, ও নির্বাচনী কর্মকর্তা না হলে কেউ ভোট পর্বে উপস্থিত থাকতে পারেন না। তথাপি বাফুফের নির্বাচনী বিধিমালায় ভোট গণনার সময় ‘নির্বাচন কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে’ প্রার্থীদের উপস্থিত থাকার সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে সে রকম অনুমতি চেয়ে ৩ অক্টোবর ভোট গণনার সময় কোন প্রার্থীর কাছ থেকে কমিশন লিখিত, মৌখিক বা ক্ষুদে বার্তা আকারে কোন প্রকার আবেদন বা অনুরোধ পায়নি। কেউ কোন বাধার সম্মুখীন হলে অনায়াসে নির্বাচন কমিশনের যে কোন কমিশনারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বা লিখিত বার্তা দিয়ে যোগাযোগ করতে পারতেন। সেরকম যোগাযোগও কমিশনের সঙ্গে কেউ করেননি। কমিশন এ রকম কোন পরিস্থিতির সম্পর্কে অবহিত নয়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।