গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ, সিলেটের এম সি কলেজসহ সারাদেশে নারীর শ্লীলতাহানি, নির্যাতন ও ধর্ষনের ঘটনার প্রতিবাদে ও ধর্ষণের কঠোর বিচার চেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা। পূর্বপরিকল্পনা ছাড়াই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আজ সোমবার ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদন্ড দাবিসহ নানা দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ মানববন্ধন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে তারা। জল্লাদের এ উল্লাস মঞ্চ আমার দেশ না, ধর্ষণের বিরুদ্ধে জেগে ওঠো বাংলাদেশ, ধর্ষক আর কুকুর পার্থক্য কোথায়?, ক্ষমা নয় ফাঁসি চাই ধর্ষকের, স্টপ রেপ প্রভৃতি শ্লোগান সম্বলিত হাতে লেখা পোস্টার ফেস্টুন এসময় তারা প্রদর্শণ করেন।
সময়ের আলোর নির্বাহী সম্পাদক ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য শাহনেওয়াজ দুলাল বলেন, সারাদেশে নারীদের ওপর যেভাবে নির্যাতন-অত্যাচার ও ধর্ষণ বেড়েছে তার প্রতিবাদে আজ আমরা বাধ্য হয়েছে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নামতে। আমাদের কাজ মানুষের খবর লেখা কিন্তু পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে এই জগণ্য অপরাধের প্রতিবাদ না করলেই নয়। গত এক মাস আগে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে একটি বর্বর-নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। যা আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারলাম। তাহলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কি কাজ? ওই অঞ্চলের প্রশাসন কি করছিলো? আমরা এসব প্রশ্নের জবাব চাই। চাই সব অভিযুক্তদের শাস্তি।
একই কথা বলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক নজরুল কবির। তিনি বলেন, আজ আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাই আমরা এর প্রতিবাদে মাঠে নামতে বাধ্য হয়েছি। আমাদের মা-বোনেরা আজ নিজেদের ইজ্জত রক্ষা করতে ঘরবন্দি হড়ে পড়েছেন। মুক্তভাবে তারা চলাফেরা করার স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলছেন। নারী নির্যাতনকারীরা অপরাধ করেও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকছে। অনেককে আবার আইনের আওতায় আনা হলেও নানাভাবে তারা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। এ কারণে দেশে নারী নির্যাতন বেড়ে চলছে।
একুশে টেলিভিশনের সিনিয়র সাংবাদিক মুশফিকা নাজনীন বলেন, সারাদেশ আজ স্তম্ভিত। এ কেমন বর্ববরতা। জল্লাদের উল্লাস আমাদের বাংলায় এ দল না ওই দল সে প্রশ্নে বা তর্কে না যেয়ে এবার নিজেরা নিজেদের দোষ খুঁজতে হবে। সচেতনতা তৈরি করতে হবে নিজের ঘর থেকেই। তিনি বলেন, নির্যাতনের ভয়ে নারী ঘরবন্দি হলে দেশের সকল খাতে উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হবে। তাই নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্যাতন ও ধর্ষণকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
মানববন্ধনে দল মত নির্বিশেষে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, দৈনিক পত্রিকা, বার্তা সংস্থাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত শতাধিক সাংবাদিক অংশগগ্রহণ করেন। সময়ের আলোর স্বপ্না চক্রবর্তীর উপস্থাপনায় মানববন্ধনে তাৎক্ষনিকভাবে বিভিন্ন সংগঠনের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দও উপস্থিত হন এবং বক্তব্য রাখেন। এসময় সাংবাদিক নেতা শাহনেওয়াজ দুলাল, নজরুল কবীর, শেখ মামুনুর রশীদ, খায়রুল আলম, আক্তার হোসেন, জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না, সমীরণ রায়, মানিক লাল ঘোষ, মশিউর খান, জাহাঙ্গীর আলম বাবু, রুবিনা ইয়াসমিন, লিয়ন মীর, শিমুল পারভেজ, দীপা ঘোষ রীতা, মোশাররফ হোসেন প্রমুখকে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ফেস্টুন হাতে দেখা যায় এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আওয়াজ তুলেন তারা। ধর্ষণ বন্ধে তারা আইনের কঠোর প্রয়োগ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।