নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
রেকর্ড হারালে ভালো লাগার কথা নয় কারও। তবে প্রেক্ষাপটে যখন মহেন্দ্র সিং ধোনি, পেছনে থাকাটাও যেন তৃপ্তির ব্যাপার। আইপিএলে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডে ধোনির পেছনে পড়ে গিয়েও যেমন দারুণ খুশি সুরেশ রায়না। রায়নাকে ছাড়িয়ে আইপিএলে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড এখন ধোনির। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে গতপরশু সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল এই টুর্নামেন্টে ধোনির ১৯৪তম ম্যাচ। চেন্নাইয়ে ধোনির দীর্ঘদিনের সঙ্গী রায়না খেলেছেন ১৯৩ ম্যাচ। রেকর্ড গড়া ম্যাচটিতে চেন্নাইকে জেতাতে পারেননি ধোনি। অধিনায়ক যদিও ক্রিজে আসেন কঠিন সময়ে। সেসময় জয়ের জন্য শেষ ৮৪ বলে ১২৯ রান প্রায়োজন ছিল চেন্নাইয়ে। শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকেও দলকে জেতাতে পারেননি তিনি, ৭ রানে হেরে যায় দল। ৩৬ বলে অপরাজিত ছিলেন ৪৭ রানে।
এবারের আসর থেকে নিজেকে সরিয়ে না নিলে রেকর্ডটি হয়তো থাকত রায়নারই। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান আপাতত কেবল দর্শক। ভারত থেকে টুইটারে তিনি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ধোনিকে, ‘আইপিএলে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়ায় মাহি ভাইকে অভিনন্দন। আমি সবচেয়ে বেশি খুশি যে আমার রেকর্ড ভেঙেছেন আপনি। আজকের ম্যাচের জন্য শুভকামনা। আমি নিশ্চিত, চেন্নাই এবার আইপিএল জিতবে।’
আইপিএলে বরাবরই দারুণ ধারাবাহিক চেন্নাইয়ের শুরুটা অবশ্য এবার খুব বাজে হয়েছে। চার ম্যাচের একটি জিতে তারা এখন পয়েন্ট তালিকার তলানিতে। ধোনি নিজেও ব্যাট হাতে এখনও পর্যন্ত নিজের ছায়া হয়ে আছেন। এই সময়েই এলো রেকর্ডটি। টুর্নামেন্টে ধোনির দীর্ঘ পথচলার স্বাক্ষী এই কীর্তি। এবার সময় পক্ষে না থাকলেও আইপিএলের কিংবদন্তিদের একজন তিনি। পারফরম্যান্সেই আছে সেটির প্রমাণ। আইপিএলে সবচেয়ে বেশি রানের তালিকায় তিনি আছেন সাত নম্বরে, সবচেয়ে বেশি ছক্কার তালিকায় তিনে। অধিনায়ক হিসেবে তো তার ধারেকাছে কেউ নেই। দলনেতা হিসেবে খেলেছেন ১৭৮ ম্যাচ, জয় ১০৫টিতে। ১২৯ ম্যাচে ৭১ জয় নিয়ে এই দুটি রেকর্ডেই ধোনির পরে গৌতম গম্ভির। ধোনির এই গৌরবময় পথচলা প্রায় পুরোটাই চেন্নাইয়ের হয়ে। দুই মৌসুম ছাড়া আর সব আসরেই ধোনি খেলেছেন এই দলের হয়ে। ১৯৪ ম্যাচের ১৬৪টি খেলেছেন চেন্নাইয়ের হয়ে। স্পট ফিক্সিং বিতর্কে চেন্নাই দুই বছর নিষিদ্ধ থাকার সময় ধোনি খেলেছেন রাইজিং পুনে সুপার জায়ান্টসে।
এদিকে শুধু ১০টা বল ঠিকভাবে খেলার অপেক্ষা, তাহলেই নাকি ফিরবেন বিরাট কোহলি। সাবেক ভারতীয় স্পিনার প্রজ্ঞান ওঝা এমন আশাই দেখিয়েছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু সমর্থকদের। সে কথা এত দ্রুত সত্যি হয়ে যাবে, সেটা মনে হয় না ওঝা নিজেও আশা করেননি। দুর্দান্ত এক অপরাজিত ইনিংসে গতকাল দল জিতিয়েই সব সমালোচনার জবাব দিয়েছেন কোহলি। আবুধাবির উইকেটের ১৫৫ রানের লক্ষ্য পেয়েছিল বেঙ্গালুরু। রাজস্থান রয়্যালসের বোলিং লাইনআপ এ উইকেটে কঠিন পরীক্ষা নিতে পারত কোহলিদের। কিন্তু টানা তিন ম্যাচ ব্যর্থ কোহলি যে ফর্মে ফেরার দিন হিসেবে এ ম্যাচকেই বেছে নিয়েছেন। ৫৩ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৭২ রানের অপরাজিত ইনিংসে ৫ বল বাকি থাকতে এনে দিয়েছেন ৮ উইকেটের জয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।