Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনাকালে ফিজিওথেরাপি সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে

| প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৫ এএম

করোনা ভাইরাসের ফলে যে সকল লক্ষণ যেমন জ্বর, কাশি, দুর্বলতা এবং ফুসফুসের ওপর গুরুতর আক্রমণের ফলে শ্বাসকষ্ট বা শ্বাস নিতে বাতাসের অভাববোধ তৈরি হয়, তা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার সময় আমাদের যে দুই থেকে তিন সপ্তাহ বেড রেস্ট নিতে হয়েছে, চলাফেরা কম হয়েছে, এবং ফুসফুসের ওপর যে চাপ পড়েছে, এগুলো থেকে দ্রুত শারীরিক সক্ষমতা ফিরে পাওয়ার জন্য এবং ফিজিক্যাল ফিটনেস বৃদ্ধির জন্য ফিজিক্যাল থেরাপি বিশেষভাবে কার্যকরী হতে পারে। ফিজিক্যাল থেরাপি বা ফিজিওথেরাপি, যেমন অসুস্থতা, দুর্বলতা, বিকলঙ্গতা কাটিয়ে উঠতে সহায়ক হতে পারে, তেমনিভাবে যে কোনো স্বাভাবিক সুস্থ মানুষও ফিজিক্যাল থেরাপি ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে তার শারীরিক সক্ষমতাকে আরো বৃদ্ধি করাতে পারেন।”

করোনা কালে ফিজিওথেরাপি’ শিরোনামে সমপ্রতি ঢাকায় আমেরিকান পদ্ধতিতে পরিচালিত ফিজিওথেরাপি সেন্টার ‘ব্যাক ইন মোশন’ আয়োজিত বিশেষ সেমিনারে কথাগুলো বলেন আমেরিকা থেকে আসা ডক্টরেট ইন ফিজিক্যাল থেরাপি ও ব্যাক ইন মোশনের চেয়ারম্যান ড. তাজিয়া সরদার।

তিনি আরো বলেন,“করোনা আমাদের এটা বুঝিয়ে গেছে যে রোগ প্রতিরোধে আমাদের নিজেদের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক সুস্থতার কোনো বিকল্প নেই; নিজেকে ফিট রাখা, মনকে প্রশান্ত রাখা, ইমিউন সিস্টেমকে সদা সক্ষম রাখার কোনো বিকল্প নেই আর ফিজিক্যাল থেরাপি সেই কাজটিই সুন্দর ভাবে করতে আমাদের সহায়তা করে।”

করোনা কালে কীভাবে স্বাস্থ্য ঠিক রাখা যায় এ বিষয়ে পরবর্তীতে তিনি কয়েকজনের প্রশ্নের উত্তর দেন।
ব্যাক ইন মোশন সম্পূর্ণ আমেরিকান পদ্ধতিতে ঢাকায় স্থাপিত ফিজিওথেরাপি ক্লিনিক। আধুনিক চিকিৎসা সামগ্রীতে সাজানো আকর্ষণীয় পরিবেশে ঢাকার গুলশান-১ নাম্বারে ব্যাক ইন মোশন ফিজিওথেরাপি সেন্টারটি অবস্থিত। এখানে প্রতি রোগীর জন্য থাকছে সম্পূর্ণ কাস্টমাইজড বা ব্যক্তিগত চিকিৎসা পদ্ধতি। প্রত্যেক রোগীকে আলাদা ভাবে রোগের ইতিহাস ও সমস্যার বিবরণ শুনে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। দক্ষ ও অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টদের ধারাবাহিক ও সর্বোচ্চ দক্ষতার প্রয়োগ রোগীকে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে সাহায্য করে।

ব্যাক ইন মোশন পরিচালিত হচ্ছে একটি সুদক্ষ ও চৌকস টিমের সাহায্যে যার নেতৃত্বে রয়েছেন ফিজিওথেরাপি সেন্টারের চেয়ারম্যান ড. তাজিয়া সরদার। তিনি নিউ ইয়র্কের স্টোনি ব্রæক ইউনিভার্সিটি থেকে ফিজিক্যাল থেরাপির ওপর ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। এর আগে একই ইউনিভার্সিটির হেলথ সায়েন্স বিভাগ থেকে ব্যা চেলর অফ সায়েন্স ডিগ্রি অর্জন করেন। সেখানে তিনি হেলথ কেয়ার ম্যানেজমেন্ট বা স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থাপনা নিয়ে গভীর অধ্যয়ন করেন।

এখানে রোগ নির্ণয়ের পর আধুনিক আমেরিকান পদ্ধতিতে ম্যানুয়াল থেরাপি প্রয়োগ করে পেশীর স¤প্রসারণ, স্থিতিশীলতা ও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেয়া হয়। রোগ নিরাময়ের জন্য কিনিজিও ট্যাপিং, ইয়োগা, পিলাটিস পদ্ধতিও এই সমন্বিত ব্যবস্থায় প্রয়োজন মতো ব্যবহার করা হয়। ব্যাক ইন মোশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট হলো ম্যানুয়াল থেরাপি। আধুনিক ও সর্বশেষ টেকনোলজির সমন্বয় ঘটানো হয়েছে এখানে। সেবা গ্রহণকারীদের ইলেকট্রো থেরাপি, লেজার থেরাপি, আলট্রাসাউন্ড, ইএমজি এবং শারীরিক অবস্থা ও ওজনের ওপর ভিত্তি করে ট্রেডমিল প্রশিক্ষণ এবং নিওরোলজিকাল বা স্নায়ুরোগে ভোগা রোগীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। স্পোর্টস ইনজুরি, তীব্র ব্যথা , দীর্ঘদিনের পুরানো ব্যথা, কাঁধ ব্যথা, কোমর ব্যথা, হাঁটু ব্যথা, গোড়ালি ব্যথা, পিঠ ব্যথা, কনুই ব্যথা, মেরুদন্ডে আঘাত সহ স্ট্রোক পরবর্তী স্বাস্থ্য সেবা, কার্ডিয়াক বা হৃদরোগ পুর্নবাসন কর্মসূচি, নিউরো বা স্নায়ুরোগ পুনর্বাসন কর্মসূচি, পেইন ম্যানেজমেন্ট, টোটাল জয়েন্ট রিপ্লেসম্যান্ট বা প্রতিস্থাপন ও অপারেশন পরবর্তী সেবা, অর্থপেডিক এবং হাঁড় ও পেশীর সমন্বিত চিকিৎসা এখানে দেয়া হয়।
ব্যাক ইন মোশন
আমেরিকান ফিজিওথেরাপি সেন্টার
হক প্লাজা (৫ তলা), বাড়ি ৭, রোড ১৪
গুলশান ১, ঢাকা ১২১২
মোবাইল: ০১৩১৩-৭১৭২৭২
ইমেইল: [email protected]
ওয়েবসাইট: www.backinmotionbd.com



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাকাল


আরও
আরও পড়ুন