পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
বাসাবাড়ির রান্না ও হোটেল-রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। দেশের বার্ষিক মোট চাহিদার ১০ লাখ টনের মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) সরবরাহ করে মাত্র ১৬ হাজার টন। অবশিষ্ট গ্যাসের যোগানদাতা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর এলপিজির মূল্য নির্ধারণ না করা এবং সিলিন্ডারের গায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য লেখা না থাকার সুযোগে স্থানীয় বিক্রেতারা গ্রাহকদের কাছ থেকে ইচ্ছা মতো দাম আদায় করছে। এছাড়া নানা কারণ দেখিয়ে সময়ে সময়ে দামও বাড়ানো হয়। মূলতঃ এসংক্রান্ত সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা না থাকায় সরবরাহকারীদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে ক্রেতাসাধারণ। বিপিসি কর্তৃক সরকারের নিজস্ব উৎপাদিত সাড়ে বারো কেজির এলপিজির সর্বশেষ নির্ধারিত মূল্য ৬০০ টাকা হলেও বাজারে অন্যান্য কোম্পানির এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায়। আবার এলাকাভেদেও দামের তারতম্য রয়েছে! সিলিন্ডারের গায়ে মূল্য লেখা না থাকায় গ্রাহকরা মাত্রাতিরিক্ত দাম দিতে বাধ্য হচ্ছেন। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম কম হওয়ার পরও বেসরকারি কোম্পানির এলপিজির এমন অতিরিক্ত দাম এবং সিলিন্ডারে মূল্য না লেখা ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী। এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত গ্যাসের দাম এবং অন্য কোম্পানিগুলোর মূল্যের এমন আকাশ পাতাল পার্থক্যে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষসহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি ক্রমশ বাড়ছে। তাই, ভোক্তাস্বার্থ বিবেচনায় এলপিজির ন্যায্য দাম নির্ধারণ এবং সিলিন্ডারে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য লেখা নিশ্চিতে সরকারের আশু কার্যকর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছি।
আবু ফারুক
বনরুপা পাড়া, বান্দরবান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।