মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ‘ভগবান’ শ্রীকৃষ্ণের তরফে এবার কৃষ্ণ জন্মভূমির জমির দাবি তুলে মামলা দায়ের করা হয়েছে মথুরার আদালতে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। শাহী ইদগা মসজিদ সরিয়ে প্রায় ১৪ একর জমিতে কৃষ্ণ জন্মভূমির দাবি উঠছে। মসজিদের পাশেই রয়েছে কৃষ্ণ মন্দির কমপ্লেক্স। কিন্তু পুরো জমিই কৃষ্ণ জন্মভূমি বলে দাবি তোলা হয়েছে মামলায়। একইভাবে ১৯৮৯ সালে অযোধ্যায় বিতর্কিত জমির দাবিতে রামলালার তরফে মামলা দায়ের হয়েছিল।
শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমানের হয়ে মামলাকারী হলেন রঞ্জনা অগ্নিহোত্রীসহ শ্রীকৃষ্ণের ছয় ভক্ত এবং আইনজীবী হরিশঙ্কর ও বিষ্ণু জৈন। এ মামলা করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের সুন্নি ওয়াক্ফ বোর্ড ও শাহী ইদগাহ মসজিদের ট্রাস্ট বোর্ডের বিরুদ্ধে। মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, যেহেতু মামলাকারী নাবালক, তাই সেবায়েতদের মাধ্যমে নিজের সম্পত্তির দাবিতে মামলা করেছেন শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমান। নিজের সম্পত্তি রক্ষা ও পুনরুদ্ধারের সবরকম অধিকার রয়েছে মামলাকারীর। সেবায়েত বা তাদের অবর্তমানে বন্ধুবর্গের মাধ্যমে মামলা প্রক্রিয়া চলবে।
মামলায় অভিযোগ, মসজিদ ট্রাস্ট কিছু মুসলিমদের সহযোগিতায় শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান ট্রাস্টের অন্তর্গত কাটরা কেশব দেবের সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশ বা দখলদারি করা হয়েছে। এ জমি দখল করার কোনও অধিকার মসজিদ ট্রাস্টের নেই। ১৯৬৮ সালের ১২ অক্টোবর মসজিদ ট্রাস্টের লোকজন শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান সেবা সংঘের মদতে এ জমি দখল করেছে। ভক্ত এবং বিগ্রহের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে এ কাজ করা হয়েছে। হাজার বছরের হিন্দু আইন অনুযায়ী, বিগ্রহের সম্পত্তিতে কেউ দখলদারি করতে পারে না। কোনও স্থাপত্য নষ্ট করাও যাবে না এবং যে কোনও মুহূর্তে সেই সম্পত্তি পুনরুদ্ধারযোগ্য।
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়েছে, মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে উত্তর ভারতে বহু হিন্দু ধর্মীয় স্থান ধ্বংস করা হয়েছে। কাটরা কেশব দেবে স্থিত শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরও ১৬৬৯-৭০ সালের মধ্যে মুঘল সেনা আংশিক ধ্বংস করে এবং বলপূর্বক সেখানে শাহী ইদগাহ মসজিদ নির্মাণ করে। বস্তুত, এ মামলার জেরে শোরগোল পড়ে গেছে মথুরায়। হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং সাধু-সন্তরা কিছুদিন আগেই অযোধ্যার মথো কাশী-মথুরা পুনরুদ্ধার করার ডাক দিয়েছিলেন। তারই জেরে এ মামলা বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।