পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতি বছরের এইচএসসি, আলিম ও সমমান পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত করবে শিক্ষা বোর্ডগুলো। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পরীক্ষা শুরুর সিদ্ধান্ত হলে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে প্রস্তুতি শুরু করতে চান শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা। গতকাল বৃহস্পতিবার আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ডের সভায় উপস্থিত হয়ে বোর্ড চেয়ারম্যানরা এমন সিদ্ধান্ত নেন।
সভা শেষে যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. আব্দুল আলীম বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে কী কী পদ্ধতিতে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেয়া যেতে পারে সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পরীক্ষা নেয়ার জন্য প্রশ্ন ও উত্তরপত্র প্রস্তুত রয়েছে। কবে পরীক্ষা নেয়া হবে সরকার সিদ্ধান্ত ঘোষণা দিলে আমরা পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, এখন পাবলিক পরীক্ষা আগের মতো নেয়া সম্ভব নয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক বেঞ্চে একজন বা দুজন করে পরীক্ষার্থী বসানো হবে। পরীক্ষা কেন্দ্র স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে এ পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। সব শিক্ষা বোর্ডগুলোকে পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
এদিকে সভা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মু. জিয়াউক হক বলেন, জেএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হলেও পরবর্তী ক্লাসে কীভাবে উত্তীর্ণ করা হবে সে বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। শিক্ষার্থীদের নিজস্ব প্রক্রিয়ায় পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করবে। এটি করতে যাতে কোনো সমস্যা না হয় এ জন্য একটি গাইডলাইন তৈরি করা হবে। সেটি অনুসরণ করে পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করা হবে।
তিনি বলেন, স্কুলগুলোতে গত মার্চ মাস পর্যন্ত ক্লাস হয়েছে। সংসদ টিভিতে পড়ালেখা করছে, অনলাইন ক্লাস হচ্ছে। তার ওপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করা হবে। নভেম্বরে স্কুল খোলা সম্ভব হলে একভাবে, আর ক্লাস করানো সম্ভব না হলে সেখানে ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করা হবে। এজন্য কিছু সময় লাগবে। যতটুকু পড়ানো হবে তার ওপর মূল্যায়ন করা হবে।
ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, যদি নভেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব না হয়, তাহলে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে তোলা হলেও পরবর্তী ক্লাসের সিলেবাসের সঙ্গে বাদ পড়া অতি প্রয়োজনীয় নবম শ্রেণির জন্য কিছু বিষয় যুক্ত করা হবে। তবে সেটি বাড়তি চাপ তৈরি করা হবে না।
মূল্যায়ন কেমন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মূল্যায়ন যদি ‘ফেস টু ফেস’ করা সম্ভব হয় তবে সেটা এক রকম হবে, তা সম্ভব না হলে যতটুকু ক্লাস করা হয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে হবে। এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো পদ্ধতি আমরা নিশ্চিত করতে পারছি না, পরিস্থিতি ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। অটো প্রমোশন বলে কিছু নেই, সবকিছু হবে মূল্যায়নের ভিত্তিতে।
নি¤œ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ৬ষ্ঠ, ৭ম স্তরের শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে উন্নীতের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর ও জাতীয় পাঠ্যক্রম এবং পাঠ্যপুস্তক বোর্ড থেকে নির্দেশনা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।