পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দাখিল ও আলিম মাদরাসায় সহকারী লাইব্রেরিয়ান/ক্যাটালগার এবং ফাজিল ও কামিল মাদরাসায় লাইব্রেরিয়ান পদ প্রবর্তন করা মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নের জন্য বহুদিনের দাবি। সরকারের পক্ষ থেকে জনবল কাঠামোতে এ দুটি পদ প্রবর্তন ও বরাদ্দ দেয়ায় আমরা কৃতজ্ঞ। গতকাল এক বিবৃতিতে এ সব কথা বলেছেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীন ও মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী। তারা বলেন, মাদরাসা শিক্ষা নিয়ে সরকারের আন্তরিকতায় নতুন শিক্ষানীতির আলোকে কারিকুলাম ও সিলেবাসে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে আরবি বিষয়সমূহে আরবি মাধ্যম বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
যুক্ত বিবৃতিতে ইসলামী চিন্তাবিদদ্বয় বলেন, কুরআন-হাদিস, ফিকহ-উসূল, বালাগাত-মানতেক-ফারায়েজ, উসূলে তাফসীর, উসূলে হাদিস, আরবি সাহিত্য বিভাগের রেফারেন্স গ্রন্থসমূহ আরবি-ফারসি ভাষায় রচিত। মাদরাসার ফাজিল অনার্স-মাস্টার্স, দাখিল-আলেম স্তরের পাঠ্য বিষয়সমূহ ও ধর্মীয় বিষয়ের উচ্চতর গবেষণামূলক গ্রন্থসমূহও আরবি ভাষায় রচিত। এসব বিষয়ের মূল ও রেফারেন্স কিতাবসমূহ ক্রয়, যথাযথ সংরক্ষণ ও সরবরাহের জন্য একজন লাইব্রেরিয়ানের আরবি ভাষা জানা জরুরি। তাই বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ প্রণয়নকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সকলে মাদরাসার সহকারী লাইব্রেরিয়ান/ক্যাটালগার পদে নিয়োগ প্রাপ্তির যোগ্যতা হিসেবে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড/ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়/ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত মাদরাসা থেকে ফাযিল ও গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা অথবা স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি ও গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা করা থাকতে হবে। যা অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত ও বাস্তবসম্মত। শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষাসচিবসহ শিক্ষা পরিবারের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিশেষজ্ঞরা পর্যালোচনা করেই বিষয়টি অনুমোদন করেছেন।
তারা আরো বলেন, সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিতরা কোরআন, হাদিস, ফিকহ্ ও আদিবসহ অন্যান্য ধর্মীয় গ্রন্থসমূহে অভিজ্ঞ নন। মাদরাসার সহকারী লাইব্রেরিয়ান/ক্যাটালগার পদে তাদের নিয়োগ দেয়া হলে মাদরাসা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীগণ ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হবেন। বর্তমানে সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিতদের মধ্যে একটি মহল অযৌক্তিক ও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বাস্তবসম্মত এ বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যা এ দেশের মাদরাসা শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট পীর-মাশায়েখ, ওলামায়ে কেরাম কোন অবস্থাতেই মেনে নিতে পারেন না। প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সচিবসহ শিক্ষা পরিবারের সকল স্তরের দায়িত্বশীলরা বিষয়টি বিশেষ বিবেচনায় রেখে অনুমোদিত শিক্ষাগত যোগ্যতা বহাল রাখবেন এটাই প্রত্যাশা। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।