নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ভালো শুরু পাওয়া সেন্ট লুসিয়া জুকসের সংগ্রহ খুব একটা বড় হতে দিলেন না কাইরন পোলার্ড। দারুণ ব্যাটিংয়ে বাকিটুকু সারলেন লেন্ডল সিমন্স ও ডোয়াইন ব্রাভো। অবিচ্ছিন্ন শতরানের জুটিতে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সকে এনে দিলেন সিপিএল শিরোপা। গতপরশু রাতে অষ্টম আসরের ফাইনালে ৮ উইকেটে জিতেছে কাইরন পোলার্ডের দল। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের সফলতম দল ত্রিনবাগোর এটি চতুর্থ শিরোপা।
টপ অর্ডারের ব্যাটে বড় সংগ্রহের আশা জাগিয়েছিল সেন্ট লুসিয়া। ৩০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে তাদের ১৫৪ রানে গুটিয়ে দেন অধিনায়ক পোলার্ড। রান তাড়ায় দ্রুত ২ উইকেট হারানো দলকে ১৩৮ রানের জুটিতে পথ দেখান সিমন্স ও ব্রাভো। তাদের দুই ফিফটিতে ১১ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ত্রিনবাগো।
ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই রাকিম কর্নওয়ালকে হারায় সেন্ট লুসিয়া। আরেক ওপেনার মার্ক ডিয়ালের সঙ্গে আন্দ্রে ফ্লেচারের জুটিতে এগিয়ে যায় দলটি। ২৭ বলে ২৯ রান করা ডিয়ালকে ফিরিয়ে ৬৭ রানের জুটি ভাঙেন ফাওয়াদ আহমেদ। দুই ছক্কা ও চারটি চারে ২৭ বলে ৩৯ রান করা ফ্লেচারকে বিদায় করা পোলার্ড ছোবল দেন মিডল অর্ডারে। রোস্টন চেইস ও নাজিবউল্লাহ জাদরান ডানা মেলতে শুরু করেছিলেন। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তাদের থামিয়ে দেন পোলার্ড। সেন্ট লুসিয়ার শেষ ছয় ব্যাটসম্যানের কেউ দুই অঙ্কে যেতে পারেননি। স্যামি, মোহাম্মদ নবিরা পারেননি সময়ের দাবি মেটাতে। ১৭ রানে শেষ ৫ উইকেট হারানো দলটি গুটিয়ে যায় ৫ বল বাকি থাকতেই।
রান তাড়ায় ১৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ত্রিনবাগো। সময়ের দাবি মেটাতে নিজেদের একরকম গুটিয়ে রাখেন সিমন্স ও ব্রাভো। একদমই ঝুঁকি নেননি এই দুই ব্যাটসম্যান। জুটি জমে যাওয়ার পর রানের গতিতে দম দেওয়ার কাজটা করেন সিমন্স। ৩১ বলে তুলে নেন ফিফটি। পরে বড় শট খেলতে শুরু করেন ব্রাভোও। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের ফিফটি আসে ৪৫ বলে।
ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় সিমন্সের ৪৯ বলে খেলা ৮৪ রানের ইনিংসটি গড়া আট চার ও চার ছক্কায়। বাউন্ডারিতে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেওয়া ব্রাভো ৪৭ বলে ছয় ছক্কা ও দুই চারে করেন ৫৮ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
সেন্ট লুসিয়া : ১৯.১ ওভারে ১৫৪ (কর্নওয়াল ৮, ডিয়াল ২৯, ফ্লেচার ৩৯, চেইস ২২, নাজিবউল্লাহ ২৪, নবি ২, স্যামি ৮; আকিল ১/২৬, আলি ২/২৫, পোলার্ড ৪/৩০, ফাওয়াদ ২/২২)।
ত্রিনবাগো : ১৮.১ ওভারে ১৫৭/২ (সিমন্স ৮৪*, ওয়েবস্টার ৫, সাইফার্ট ৪, ড্যারেন ব্রাভো ৫৮*; কুগেলেইন ১/৩০, নবি ০/১৬, চেইস ১/১৩, জহির ০/২৮, স্যামি ০/৯, গেøন ০/১৫)।
ফল : ত্রিনবাগো ৮ উইকেটে জয়ী।
ফাইনাল সেরা : লেন্ডল সিমন্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।