নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা: ২০১৪ সালে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (সিপিএল) খেলতে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা থেকে রওয়ানা দিয়েও লাভ হয়নি, লন্ডন থেকে ফিরে আসতে হয়েছে সাকিবকে। বিসিবি থেকে লিখিত অনাপত্তিপত্র সঙ্গে না নিয়ে এমনিতেই করেছিলেন অন্যায়। তার উপর বারবাডোজ যাত্রাপথে টেলিফোনে বাংলাদেশ দলের হেড কোচ হাতুরুসিংহের সঙ্গে তর্ক করে ক্ষুব্ধ করে তুলেছিলেন সাকিব বিসিবিকে। ফলে সেবার ১ লাখ ডলারে সিপিএলে বিক্রি হয়েও খেলতে পারেননি। বিসিবি’র জরুরী ডাকে সাড়া দিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে ঢাকায়, নিজের কৃত অপরাধে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েও সিপিএলে খেলার অনুমতি পাননি। উল্টো আন্তর্জাতিক, ঘরোয়া এবং বিদেশী ক্রিকেট লীগে খেলার উপর নিষেধাজ্ঞা পেতে হয়েছে সাকিবকে। সিপিএলে ২০১৩ সালে বারবাডোজ ট্রাইডেন্টের হয়ে ৮ ম্যাচে ১৩ উইকেট, রেড স্টিলের বিপক্ষে ৪-১-৬-৬ এমন বোলিংয়ে সিপিএল সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েও সিপিএলের সর্বশেষ ২ আসরে খেলা হয়নি সাকিবের। ২০১৪ সালে কোচ হাতুরুসিংহের সঙ্গে বাদানুবাদের কারনে,২০১৫ সালে হোমে ভারত ও দ.আফ্রিকার সঙ্গে সিরিজের ব্যস্ততার কারণে মিস করেছেন ওই দু’টি আসর।
তবে গত ফেব্রæয়ারীতে জ্যামাইকা তালওয়ালসে ১ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলারে বিক্রি হওয়া এই বাঁ হাতি অল রাউন্ডার এবার সিপিএলে খেলতে প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন। আগামী ২০ জুন থেকে অনুষ্ঠেয় সিপিএলে খেলতে রীতিমতো উদগ্রীব এই বাঁ হাতি। ৬ মাসের শিশুকন্যা অব্রি আর স্ত্রী শিশিরকে সঙ্গে নিয়ে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জগুলো ঘুরে দেখার সুযোগ এর চেয়ে ভাল আর কিইবা হতে পারে? সাকিবকে সিপিএলে খেলতে আগ্রহী করে তুলেছে তার স্ত্রী শিশির। দু’টি অনলাইন বিডি ক্রিকেট এব ক্রিকেট মান্থলিকে এই আগ্রহের কথাই জানিয়েছেনÑ ‘আমার স্ত্রীও চায় আমি সিপিএলে খেলি। দ্বীপগুলো দেখতে দারুণ, ক্যারিবিয়ার সুন্দর সব দ্বীপগুলো দেখতে পারব। তাই সিপিএলে খেলার দিকে তাকিয়ে আছি।’
সিপিএলে দারুণ একটি দল পেয়েছেন সাকিব। জ্যামাইকা তালওয়াহসে ক্রিস গেইল, সাঙ্গাকারা, আন্দ্রে রাসেল, লাসিথ মালিঙ্গার মতো টি-২০ স্পেশালিস্ট ক্রিকেটারদের টীমমেট হিসেবে পাবেন সাকিব। ক্রিস গেইল (১ লাখ ৬০ হাজার ডলার), সাঙ্গাকারার (১ লাখ ৩০ হাজার ডলার) পর তৃতীয় সর্বোচচ দরে (১ লাখ ১০ হাজার ডলার) বিক্রি হওয়া সাকিব এমন একটি দলের হয়ে পারফর্ম করতে মুখিয়ে আছেনÑ ‘আমাদের দলটি খুব ভালো। আমাদের এক সঙ্গে পারফর্ম করতে হবে, দল হিসেবে খেলতে হবে এবং ম্যাচ জিততে হবে।’
কিন্তু সাকিবের সিপিএলে খেলার পথে বড় বাধা ঢাকার প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগ। আইকন ক্যাটাগরীতে প্লেয়ার্স ড্রাফটে ৩০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছেন তিনি আবাহনীতে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (আইপিল) খেলে ঢাকায় ফিরে বিশ্রামের ফুরসত পাচ্ছেন না সাকিব। প্রিমিয়ার ডিভিশনের নবম রাউন্ড থেকেই আবাহনীর হয়ে দেখা যাবে তাকে। আবাহনী সুপার লীগে উঠলে সিপিএলের শুরুতে খেলার সম্ভাবনাও নেই সাকিবের। আগামী ৭ জুন শেষ হওয়ার কথা প্রিমিয়ার ডিভিশনের প্রথম পর্ব। অবস্থাদৃষ্টে ২৫ জুনের আগে আসরটি সম্পন্ন কররা সম্ভব নয় সিসিডিএম’র। আবাহনী সুপার লীগে উঠলে তো সিপিএলে জিম্বাবুয়ে তালওয়াহসের হয়ে প্রথম ২ ম্যাচ খেলার সুযোগই নেই সাকিবের। ২০১৪ সালে সিপিএলে খেলতে বিসিবি’র পক্ষ থেকে লিখিত অনাপত্তিপত্র (এনওসি) পায়নি সাকিব। আবাহনীর হয়ে লীগ শেষ না করে এবারো যে বিসিবি’র পক্ষ থেকে এনওসি পাবেন না সাকিব। এমন অবস্থানের কথাই জানিয়েছেন আবাহনী ক্রিকেট কমিটির সেক্রেটারী এবং বিসিবি’র পরিচালক এম এ আউয়াল চৌধুরী বুলুÑ ‘আমরা অনেক আগ্রহ করে সাকিবকে দলে নিয়েছি। সুপার লীগে তার খেলার সম্ভাবনা আছে বলেই সাকিবকে নেয়া হয়েছে। তাই ঢাকার প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে আবাহনীর হয়ে খেলাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে,তারপর না হয় অন্য কোন দেশের লীগে খেলুক সে। আবাহনী সুপার লীগে উঠলে সুপার লীগের সব ক’টি ম্যাচই সাকিবকে চাইব আমরা।’
স্ত্রীর আগ্রহে যতোই আগ্রহী হয়ে উঠুক না কেন সাকিব, বিসিবি’র তরফ থেকে এনওসি’র কথাও যে রাখতে হচ্ছে তাকে মাথায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।