Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মেসির জন্য ২ হাজার কোটি নিয়ে প্রস্তুত ছিল!

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

লিওনেল মেসি বার্সেলোনা ছাড়াও গুঞ্জন ওঠার পর থেকেই দৃশ্যপটে একটি নাম- ম্যানচেস্টার সিটি। বার্সা প্রশাসনের ওপর মেসির ক্ষোভ। চুক্তিতে করোনার প্যাঁচ দেখিয়ে ক্লাব ছাড়তে চাওয়া। বার্সাও চুক্তির শর্ত দেখিয়ে তাকে ধরে রাখতে চায়। শেষ পর্যন্ত থেকে গিয়ে হারটা মেসির- এই তো সাধারণ্যে ধারণা। মেসি-বার্সার এই ঝড়ের মাঝে সিটিও কিন্তু একটা পদক্ষেপ নিয়েছিল। তখন সংবাদমাধ্যমই জানিয়েছিল, মেসিকে কেনার চেষ্টা করছে সিটি। মেসি থেকে যাওয়ায় দৃশ্যপট থেকে হারিয়ে যায় ইংলিশ ক্লাবটি। কিন্তু এই প্রশ্ন কি জাগে, মেসিকে কিনতে ঠিক কত টাকার প্রস্তাব দিয়েছিল পেট্রো ডলারে সমৃদ্ধ ক্লাবটি?
মেসির বার্সায় থাকা-না থাকার নাটক শেষ দৃশ্যে আসার আগে একটা খবর বেরিয়েছিল দলবদলের বাজারে। বার্সাকে না করে দেওয়ার আগে মেসি নাকি সিটি কোচ পেপ গার্দিওলার সঙ্গে কথা বলে নিয়েছিলেন। এতেই সিটির নামটা চাউর হয় বেশি। প্রথমে খবর বের হলো, নগদ ১০ কোটি বা ১০০ মিলিয়ন ইউরোর সঙ্গে বার্সাকে তিন খেলোয়াড় দিয়ে মেসিকে উড়িয়ে আনতে চায় সিটি। পরে জানা যায় এটি গুঞ্জন ছাড়া আর কিছু না। এরপর বের হলো, মেসির বাই আউট ক্লজ পরিশোধ করে কেনার চেষ্টার খবর- নগদ ৭০০ মিলিয়ন ইউরোর ও পাঁচ বছরের চুক্তি। কিন্তু এ খবরের ভিত্তি নিয়েও কিছু জানা যায়নি। পরে তো বার্সাতেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন মেসি, আর তাতে দৃশ্যপট থেকে সরে যায় সিটি। নতুন খবর জানিয়েছে ইএসপিএন। সুইস সাময়িকী লিলিস্ত্রে-র বরাত দিয়ে তারা জানিয়েছে, মেসিকে কিনতে বার্সাকে ২০০ মিলিয়ন ইউরোর বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার (১৯৯৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা) কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়েছিল সিটি।
টাকা তারা বার্সাকে দিতে চেয়েছিল ১০০ মিলিয়ন ইউরো করে ১২ মাসের ব্যবধানে দুই কিস্তিতে। পাশাপাশি বোনাস হিসেবে আরও ২০ মিলিয়ন ইউরো তারা দিতে চেয়েছিল বার্সাকে- যদি মেসিকে নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে পারে সিটি। এ নিয়ে একটি চিঠি প্রকাশ করেছে ‘লিলিস্ত্রে’- এই চিঠি বার্সাকে গত ২৬ আগস্ট পাঠিয়েছেন সিটির পরিচালক টিকি বেগেরিস্তিন, যেখানে মেসিকে কেনার জন্য বার্সাকে ২০০ মিলিয়ন ইউরো দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘আমরা ১২ মাসের মধ্যে দুই কিস্তিতে ২০০ মিলিয়ন ইউরো দিতে পারব। ১০০ মিলিয়ন ইউরো এখন, ২০২০ সালের আগস্টে আর বাকি ১০০ মিলিয়ন ২০২১ সালের আগস্টে।’ এরপর বলা হয়, ‘এই দামটা নিশ্চিত, এর বাইরে বোনাস ও অন্যান্য বিষয়াদি আলোচনাসাপেক্ষে ঠিক হবে, যার মধ্যে রয়েছে ২০ মিলিয়ন ইউরো বোনাস যদি সিটিকে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতাতে পারেন খেলোয়াড়।’
মেসিকে বার্সা বলে দিয়েছিল, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী তিনি এখনো কাতালান ক্লাবটির খেলোয়াড়। যেতে হলে বাই আউট ক্লজের টাকাটা দিয়ে যেতে হবে। কিন্তু মেসি নতুন মৌসুমের আগে ক্লাব ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে দাবি করেছিলেন, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে যেহেতু এ মৌসুম স্বাভাবিক সময়ে শেষ হয়নি, আরও পিছিয়েছে, আর পেছানো সময় ধরেই বার্সার শর্তের মধ্যে থেকে সিদ্ধান্তটা নিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ নিজেকে তিনি এখন আর বার্সার খেলোয়াড় মনে করছেন না। বিষয়টি সমাধান করতে মেসির বাবা স্পেনে উড়ে এসেছিলেন আর্জেন্টিনা থেকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেসির থেকে যাওয়ার মধ্য দিয়ে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটে।
সিটির অঙ্কটা তাই কেউ মনে রাখেনি। নেইমারের বিশ্বরেকর্ড গড়া ট্রান্সফারের অঙ্কটা টপকে গেলে হয়তো রাখতো!

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মেসি

৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ