মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এ মুহূর্তে বিশ্বের প্রয়োজন ভ্যাকসিন। করোনাভাইরাস এখনও যে হারে দাপট দেখাচ্ছে, সেখানে যে দেশই ভ্যাকসিন উৎপাদন করুক না কেন তা বিশ্বে সবার কাছে সঠিকভাবে পৌঁছনোর দায়িত্বে এগিয়ে এল ইউনিসেফ। তারা জানিয়েছে, যে মুহূর্তে ভ্যাকসিন মিলবে তখন সব দেশ যেন এ ভ্যাকসিন পায় তা সুনিশ্চিত করবে ইউনিসেফ।
দ্য ইউনাইটেড নেশনস চিলড্রেনস ফান্ড (ইউনিসেফ) পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ভ্যাকসিন ক্রেতা। যারা বছরে কয়েক লাখ ভ্যাকসিন কিনে একশোটিরও বেশি দেশে তা রোগ প্রতিরোধ তৈরির বিষয়ে কাজ করে যায়। যেসব দেশ প্রাথমিকভাবে ভ্যাকসিন কিনতে অপারক থাকবে তাদের ইউএন এজেন্সি, প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশন (পাহো)-এর তহবিলের সহযোগিতায় কোভাক্স গ্লোবাল ভ্যাকসিনস ৯২টির জন্য ভ্যাকসিন সরবরাহ ও সরবরাহের জন্য নেতৃত্ব দেবে।
ইতিমধ্যেই ইউনিসেফের পাশে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের অনেক ধনকুবের। ইউনিসেফের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হেনরিয়েটা ফোরে বলেন, ‘করোনা মহামারির লড়াইয়ে সকলের সঙ্গে সম্মিলিতভাবেই এ কাজ করা হবে। ইউনিসেফের তরফে চেষ্টা করা হবে যেন বিশ্বের প্রতিটি দেশ সুরক্ষিত থাকে। অন্তত প্রাথমিক ডোজ যেন পায়’।
এদিকে, এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ছ’টি তাবড় ওষুধ প্রস্তুত সংস্থার সঙ্গে কয়েক কোটি বিলিয়ন ডলারের ভ্যাকসিন চুক্তি সেরে ফেলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ব্রিটেনের তরফেও একাধিক ওষুধ প্রস্তুত সংস্থার সঙ্গে ৩৪০ মিলিয়ন ডোজের ভ্যাকসিন চুক্তি সম্পন্ন করেছে। ইউরোপের অনেক দেশই এমন চুক্তি করেছে। এখন প্রথম বিশ্বের দেশগুলো যদি অর্থের ক্ষমতায় ভ্যাকসিন নিতে শুরু করে আগে তাহলে বাকি দেশগুলির কী হবে? ‘ভ্যাকসিন ন্যাশনালিজম’-এর এ ভাবনা থেকে বেরিয়েই এবার এ নয়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে ইউনিসেফ।
ভারতকে স্পুটনিক-৫ এর তথ্য দিল রাশিয়া
করোনা ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে আশার আলো রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক ৫। সুরক্ষিত রাশিয়ার তৈরি ভ্যাকসিন ‘স্পুটনিক ৫’। গত শুক্রবার ল্যানসেট জার্নালের রিপোর্ট অনুসারে, প্রথম দফার পরীক্ষায় কোনও স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই অ্যান্টিবডি গঠনে সফল‘স্পুটনিক ৫,’। দ্বিতীয় দফার ট্রায়ালও সফল। করোনা ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে রাশিয়ার তৈরি এই ভ্যাকসিনই এখন আশার আলো। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানতে পেরেছে, রাশিয়ার গবেষণা সংস্থা স্পুটনিক-৫ এর সুরক্ষা ও কার্যকারিতা সংক্রান্ত বিস্তৃত তথ্য ভারতকে দিয়েছে।
মস্কোর গামালিয়া গবেষণা ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি থেকে করোনার ভ্যকসিনের তথ্য চেয়েছিল ভারত। রাশিয়ার দুই হাসপাতাল আয়োজিত স্পুটনিক ৫ ভ্যাকসিন ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করেছিলেন ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়েসি ৭৬ জন স্বেচ্ছাসেবী।
সূত্র জানিয়েছে, ‘ভ্যাকসিন সংক্রান্ত বিষয়ে ভারত রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছে।’ এক্ষেত্রে সমন্বয় রক্ষা করছে বায়োটেকনলজি বিভাগের সচিব প্রধান রেণু স্বরূপ ও রাশিয়ায় নিয়োজিত ভারতীয় রাষ্ট্রদ‚ত ডি বি ভেঙ্কটেশ ভর্মা। রাশিয়ার ভ্যাকসিনের বিস্তৃত তথ্য পর্যালোচনা করবেন ভারতের বিশেষজ্ঞরা। নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের থেকে ছাড়পত্র পেলে বিকল্প হিসাবে ভারতে পৃথকভাবে এর তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করা যেতে পারে। স্পুটনিক ৫ এর সরকারি ওয়েবসাইট অনুসারে, রাশিয়া একাধিক দেশে এই ভ্যকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের পরিকল্পনা করেছে। এসব দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সউদী আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ব্রাজিল ও ফিলিপিন্স।
চলতি মাসেই স্পুটনিক-৫ ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু হতে পারে। উল্লেখ্য, সউদী আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ব্রাজিল, ফিলিপিন্স, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকোসহ কুড়িটি দেশের মতো ভারতও করোনা প্রতিরোধকারী রাশিয়ার তৈরি এ ভ্যাকসিন পাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
যদিও স্পুটনিক-৫ নিয়ে গামালিয়া গবেষণা ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজির দ্রুততা ও গোপনীয়তা নিয়ে রাশিয়ার দাবি সম্পর্কে পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। ল্যানসেট জার্নাল অনুসারে, স্পুটনিক-৫ এর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বয়সের ও ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর চল্লিশ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে যুক্ত করা হবে। অনলাইন আবেদনের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবকদের ‘নিরবচ্ছিন্ন পর্যবেক্ষণে’র অন্তর্ভুক্ত করা হবে, ভ্যাকসিনের প্রতিটি ডোজের নিজস্ব কিউআর কোড স্বেচ্ছাসেবকদের দেয়া হবে।
গত ৪ সেপ্টেম্বর ল্যানসেট জার্নালের রিপোর্ট জানায়, রাশিয়ার তৈরি ভ্যাকসিন ‘স্পুটনিক ৫’ সুরক্ষিত। শুক্রবার , প্রথম দফার পরীক্ষায় কোনও স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই অ্যান্টিবডি গঠনে সফল ‘স্পুটনিক ৫,’। এমনকি ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় দফার ট্রায়ালও সফল হয়েছে। এছাড়াও প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগের ২৮ দিনের মধ্যে টি-সেল সাড়া দিয়েছে। সূত্র : ইউনিসেফ, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।