Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কঠিন সিদ্ধান্ত ছেড়ে বাস্তবতায় মেসি

অস্বস্তির ১০ দিন

ইমরান মাহমুদ | প্রকাশের সময় : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০২ এএম | আপডেট : ৭:৪৪ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০

বার্সেলোনার সঙ্গে তার দুই যুগের সম্পর্ক। মধুর সেই যুগলে বিচ্ছেদের সুর তুলেছিলেন লিওনেল মেসি নিজেই। তবে সেটি যে রূপ পাবে বিউগলের করুণতায় তা বোধহয় কল্পনা করেননি সময়ের সেরা ফুটবলার নিজেও। যখন বুঝলেন ততক্ষণে পানি গড়িয়েছে অনেকদূর। যাচ্ছিল আদালত অব্দি। প্রিয় ক্লাবকে সেই লজ্জা থেকে বাঁচিয়ে নিজের ইচ্ছেকে জলাঞ্জলী দিয়েই কাতালুনিয়া দলটিতে থেকে গেলেন আরেকটি মৌসুম। গতকাল স্প্যানিশ সময় বিকেল ৬টায় মেসির মুখ থেকে সেই ঘোষণাই এসেছে ফুটবল বিষয়ক ওয়েবসাইট গোলডটকমকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে। রেকর্ড ছয় বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকার ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই দশ দিন ধরে ফুটবল আকাশে উড়তে থাকা কালো মেঘ উবে গিয়ে উঠেছে জ্বলজ্বলে সূর্য্য।
গত ২৫ আগস্ট বার্সেলোনা ছাড়তে চাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেন মেসি। এর পর প্রতিদিন রীতিমতো ঝড় উঠেছে সংবাদমাধ্যমে। ক্লাব ও খেলোয়াড়ের পক্ষ থেকে নতুন সব খবর এসে চমকে দিয়েছে সবাইকে। কেমন ছিল অস্বস্তি মেশানো সেই দিনগুলো? কিভাবেই-বা কেটেছে মেসির সময়? এমন সব প্রশ্নের উত্তর দিতে দৈনিক ইনকিলাবের পাঠকদের জন্য ধারাবাহিকভাবে তারই বিবরণী তুলে ধরেছেন ইমরান মাহমুদ-

ঝড়ের পূর্বাভাস
১৪ আগস্ট
বার্সেলোনাকে ৮-২ গোলে উড়িয়ে দিল বায়ার্ন মিউনিখ। এ ম্যাচের পর জেরার্ড পিকেই প্রথম মুখ খুলেছেন। বলেছেন, ‘তলানিতে চলে এসেছি। ক্লাবে পরিবর্তন দরকার। দরকার হলে আমিই যাব।’
১৬ আগস্ট
কোচ কিকে সেতিয়েনকে ছাঁটাই করল বার্সেলোনা। ক্লাবের এমন সিদ্ধান্ত সম্পর্কে মেসির মন্তব্য পাওয়া যায়নি। কারণ, শিরোপাহীন এক মৌসুম কাটানোর হতাশা ভুলতে পরিবার নিয়ে ছুটি কাটাচ্ছিলেন তখন।
২০ আগস্ট
নতুন দায়িত্ব পাওয়া কোচ রোনাল্ড কোম্যানের সঙ্গে দেখা করতে ছুটি থেকে ফিরে এলেন মেসি। সেদিনই গুঞ্জন ছড়াল, মেসি বার্সেলোনা ছাড়ার কথা ভাবছেন।

সেই ১০ দিন
২৫ আগস্ট
বোমা ফাটল এদিন। বার্সেলোনাকে বুরোফ্যাক্স পাঠিয়ে মেসি জানিয়ে দিলেন ক্লাব ছাড়তে চান। প্রতি মৌসুম শেষে ক্লাব ছাড়তে পারার শর্তের কথা উল্লেখ করে মেসি জানালেন, এবার বিদায় নিতে চান।
২৭ আগস্ট
ক্লাব সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ জানালেন, মেসি যদি প্রকাশ্যে তার পদত্যাগ দাবি করেন, তাহলে তিনি তাই করবেন।
২৯ আগস্ট
আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস দাবি করল, মেসি প্রাক মৌসুম অনুশীলনে যোগ দেবেন না। এমনকি করোনা পরীক্ষাও করবেন না ক্লাবে এসে।
৩০ আগস্ট
লা লিগা জানিয়ে দিল, মেসি ক্লাব ছাড়তে চাইলে ৭০ কোটি ইউরোর বাই আউট ক্লজ দিয়েই যেতে হবে। ওদিকে মেসিও করোনা পরীক্ষা (পিসিআর) দিতে যাননি ক্লাবে।
৩১ আগস্ট
প্রাক মৌসুম অনুশীলন শুরু হয় বার্সেলোনার। কিন্তু মেসি অনুশীলনে যোগ দেননি। তার ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জন ভারী হয় আরও।
২ সেপ্টেম্বর
আর্জেন্টিনা থেকে বার্সেলোনায় হাজির হলেন মেসির বাবা ও এজেন্ট হোর্হে মেসি। ক্লাব ও বার্সেলোনার মধ্যে সমঝোতার পথ খুলল এতে।
৩ সেপ্টেম্বর
বার্সেলোনার সঙ্গে আলোচনা হোর্হে মেসির। কিন্তু দুই পক্ষই নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকল। ফলে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো না।
৪ সেপ্টেম্বর
লা লিগা চুক্তির শর্ত বুঝতে ভুল করেছে জানিয়ে বিবৃতি মেসির। চাইলে বিনা ট্রান্সফার ফিতেই যেতে পারেন বলে দাবি করেছেন বার্সেলোনা অধিনায়ক। বাংলাদেশ সময় রাত দশটায় জানালেন বার্সেলোনাতেই থাকবেন মেসি। এবং সেটা ইচ্ছার বিরুদ্ধে। চাইলে আইনি সহায়তা নিয়ে ক্লাব ছাড়তে পারতেন কিন্তু বর্তমান বোর্ডের সঙ্গে এমন দ্ব›েদ্ব জড়িয়ে ভালোবাসার বার্সেলোনার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করতে রাজি নন বলেই থেকে গেলেন মেসি।

ব্যুরোফ্যাক্সে শুরু সাক্ষাৎকারে শেষ। তবে যত সহজে শেষ হলো সব নাটকের, এত সহজ কি ছিল? সাক্ষাৎকারেই মেসিই জানালেন ভয়াল সব অভিজ্ঞতার কথা-

বার্সা ছাড়ার কঠিনতম সিদ্ধান্ত
দুই দশক বার্সেলোনাতে কাটালেও মেসির জন্ম আর্জেন্টিনার রোজারিওতে। শৈশবের পুরোটাই কেটেছে সেখানে। কিন্তু তার তিন সন্তানের জন্ম এই বার্সেলোনাতেই। শহরটির সঙ্গে তার সন্তানদের সম্পর্কটা যে আরও নীবির। এ শহরকে ছেড়ে যাওয়া তাই তার পরিবারের জন্য ছিল আরও কঠিন। তাই মেসির বার্সা ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা শুনেই হাউমাউ করে কেঁদেছিল তার স্ত্রী-সন্তানরা। সাক্ষাৎকারে মেসি বলেছেন, ‘আমি যখন আমার স্ত্রী এবং বাচ্চাদের কাছে (বার্সা) ছাড়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলাম, তখন নির্মম এক নাটকের অবতারণা হয়েছিল। পুরো পরিবার কাঁদতে শুরু করেছিল। আমার বাচ্চারা বার্সেলোনা ছেড়ে যেতে চায় না। তারা স্কুলও পরিবর্তন করতে চায় না।’
শুধু যে সন্তানরাই কষ্ট পাচ্ছিলেন তাও নয়, মেসি নিজেও কষ্ট পাচ্ছিলেন বলে জানান, ‘এটা বোধগম্য ছিল। এটা আমার সঙ্গেও ঘটেছিল। এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব কঠিন। আমি বার্সেলোনাকে ভালোবাসি এবং আমি কোথাও এর চেয়ে ভাল জায়গা খুঁজে পাচ্ছি না। তবুও সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আমার আছে। আমি নতুন লক্ষ্য এবং নতুন চ্যালেঞ্জের সন্ধান করতে যাচ্ছিলাম। আমার ছেলে, আমার পরিবার এখানে বড় হয়েছে এবং তারা এখানকার। চলে যেতে চাওয়ার ইচ্ছার ব্যাপারে কোনো ভুল ছিল না। আমার এটা দরকার ছিল, ক্লাবের এটা প্রয়োজন ছিল এবং এটা সবার জন্য ভালো হতো।’
কষ্ট পেয়েছেন মেসির স্ত্রীও, তারপরও তাকে সমর্থন দিয়েছেন বলে জানালেন এ আর্জেন্টাইন, ‘আমার স্ত্রী, আত্মায় ব্যথা অনুভব করা সত্তে¡ও আমাকে সমর্থন করেছেন এবং পাশে থেকেছেন।’

প্রাণের ক্লাব আদালতে, ভাবতেই পারেননি
সম্পর্কটা শুধু পেশাদারিত্বের নয়। হৃদয়েরও। দীর্ঘ ২০ বছর বার্সেলোনায় আছেন মেসি। রীতিমতো ঘরের ছেলে বনে গেছেন। এ ক্লাবই এখন তার বাড়ি। আর সেই ক্লাবকে কীভাবে আদালতে তুলবেন মেসি? পারেনও নি। চুক্তির শর্ত বারবার তুলে ধরার পরও যখন উপায় পাচ্ছিলেন না, তখন ক্লাব ছাড়ার একটাই উপায় ছিল তার। সেটা আদালতে যাওয়া! তবে চুক্তিতে তার যাওয়ার সুযোগ থাকলেও কেন আদালতে গেলেন না মেসি? এমন প্রশ্নের উত্তরে আবেগ ঘন জবাব দিলেন মেসি, ‘একটি উপায় ছিল এবং তা ছিল বিচারের দিকে যাওয়া। আমি কখনোই বার্সার বিরুদ্ধে আদালতে যেতে পারব না। কারণ, এটা আমার ভালোবাসার ক্লাব। যারা আমাকে এখানে আসার পর থেকে সবকিছু দিয়েছে। এটি আমার আজীবনের ক্লাব। আমি এখানে আমার জীবনকে তৈরি করেছি।’
কিন্তু তারপরও নিজের ক্যারিয়ারের জন্য কঠিন এ সিদ্ধান্তটি নিতে চেয়েছিলেন তিনি, ‘আমি আরও দ‚রে দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছিলাম এবং আমি সর্বোচ্চ স্তরে প্রতিযোগিতা করতে, শিরোপা জিততে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লড়াই করতে চাই। আপনি এখানে জিততে বা হারতে পারেন। কারণ এটা খুব কঠিন। তবে আপনাকে প্রতিযোগিতা তো করতে হবে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের জন্য অন্তত আমরা প্রতিযোগিতা করি এবং রোম, লিভারপুল ও লিসবনের মতো যেন ধসে না পড়ি। যে সিদ্ধান্তটি (বার্সা ছাড়ার) নিতে চেয়েছিলাম, তার ভাবনার পেছনে এই বিষয়গুলো ছিল।’
কিন্তু একমাত্র যে পথে পার পেতে পারতেন সে পথ আটকে দিয়েছে মেসির ভালোবাসা ও আবেগ। তাই ক্লাবকে আদালতে নেওয়ার কথা একবারও ভাবতে পারেননি তিনি, ‘বার্সা আমাকে সব দিয়েছে এবং আমি বার্সাকে সব দিয়েছি। আমি জানি যে বার্সাকে আদালতে নেওয়ার কথা কখনো আমার মনেও আসেনি।’

দুঃসময়ে মানুষ চেনা যায়
কথায় বলে, বিপদেই বন্ধুর পরিচয়। এ সময়ে যে পাশে থাকে এবং যে এড়িয়ে চলে যায়, তাদের না-কি কখনোই ভোলা যায় না। বার্সেলোনা ছাড়তে চাওয়ার সময়টায় জীবনের অন্যতম বাজে সময়ই কেটেছে লিওনেল মেসির। আর এ সময়ে নকল মানুষদের চিনতে পেরেছেন এ আর্জেন্টাইন। দুঃসময়ে এমন উপলব্ধিই হয়েছে রেকর্ড ছয় বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এ তারকার।
ক্লাব সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ। আগে তাকে কথা দিয়েছিলেন মৌসুম শেষে মেসিকে সিদ্ধান্ত নিতে। কিন্তু পরে নিজের কথায় অটল থাকেননি। তাই বাধ্য হয়েই তাকে থেকে যেতে হচ্ছে বার্সেলোনায়। আর শুধু যে ক্লাব সভাপতিই কথা রাখেননি তাও নয়, অনেকেই তার সমালোচনায় মেতে উঠেছিলেন। ক্লাবটির প্রতি তার ভালোবাসা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তাকে কষ্ট পেয়েছেন মেসি, ‘বার্সেলোনার প্রতি আমার প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন করা লোকদের কাছ থেকে এবং সাংবাদিকদের কাছ থেকে এমন জিনিস বলতে শুনেছি যার প্রাপ্য আমি ছিলাম না। আমি কষ্ট পেয়েছি। তবে এটি আমাকে মানুষ চিনতেও সহায়তা করেছে।’ দুঃসময়ে আশেপাশের মেকি মানুষদেরও চিনতে পেরেছেন বার্সা অধিনায়ক, ‘এই ফুটবল বিশ্ব খুবই কঠিন এবং এখানে অনেক নকল মানুষ আছে। এই ঘটনাটি আমাকে অনেক ভুয়া মানুষকে চিনতে সহায়তা করেছে। এই ক্লাবটির প্রতি আমার ভালবাসা যখন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল তখন তা আমাকে আঘাত করেছে। আমি যতই যাই বা থাকি না কেন, বার্সার প্রতি আমার ভালোবাসা কখনোই বদলাবে না।’

তবুও সেরাটাই দেবেন মেসি
বুরোফ্যাক্সে শুরু। এরপর করোনাভাইরাসের পিসিআর পরীক্ষায় অনুপস্থিত। এমনকি অনুশীলনেও না যোগ দেওয়া। বার্সেলোনা ছাড়তে যে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন লিওনেল মেসি তা স্পষ্ট। কিন্তু তারপরও ছাড়তে পারেননি। অসন্তুষ্টি নিয়েই কাতালান ক্লাবটিতেই থাকতে হচ্ছে তাকে। তাতে অনেকেরই মনে শঙ্কা জেগেছে খেলায় মনোযোগ থাকবে তো এ আর্জেন্টাইন তারকার?
সবার প্রশ্নের উত্তরটা যেন আগেই দিয়ে দিয়েছেন মেসি। যতই ক্লাব ছেড়ে যেতে চান না কেন, নিজের জন্যই সেরাটা দিয়ে খেলবেন বলেই অঙ্গীকার করেছেন এ তারকা, ‘আমি বার্সেলোনায় চালিয়ে যাব এবং আমার মনোভাব কখনোই বদলাবে না, যতই না আমি ক্লাব ছেড়ে চলে যেতে চাই। আমি সবসময় জিততে চাই, আমি প্রতিযোগী এবং আমি কিছু হারতে পছন্দ করি না। আমি সবসময় ক্লাবের, ড্রেসিংরুমের এবং নিজের ভালো চাই।’
নতুন কোচ রোনাল্ড কোম্যানের সঙ্গে প্রথম আলোচনাটাই মেসির পক্ষে যায়নি। তাকে সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে কোনো সুবিধা দেওয়া হবে না বলেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন এ ডাচ কোচ। কিন্তু তারপরও নিজের খেলায় কোনো প্রভাব পড়বে না বলেই জানান এ আর্জেন্টাইন তারকা, ‘আমি একসময় বলেছিলাম যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার জন্য আমাদের সমর্থন দেওয়া হয়নি। আসলে, এখন আমি জানি না কী হবে। একজন নতুন কোচ এবং নতুন ধারণা। এটা ভালো, তবে আমাদের দেখতে হবে যে দল কেমন প্রতিক্রিয়া জানায় এবং শীর্ষ পর্যায়ে আমাদের দল কেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। আমি যা বলতে পারি তা হচ্ছে আমি থাকছি এবং বার্সেলোনার হয়ে আমি আমার সেরাটা দিতে যাচ্ছি।’

সমর্থকদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস
ক্যাম্প ন্যু ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানানোর পরই তোলপাড় পড়ে যায় ফুটবল বিশ্বে। রাস্তায় নেমে আসে বার্সেলোনর সমর্থকরা। অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন বার্সেলোনা সমর্থকরা। ১০ দিনের টানাপোড়েনের সমাপ্তি ঘটে শুক্রবার। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে দলের সেরা তারকার থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানানোর পর দারুণ উচ্ছ্বসিত তারা। এমন সিদ্ধান্তে ৩১ বছর বছর বয়সী বার্সেলোনা সমর্থক ওরিওল ভিভেসের কণ্ঠে তাই খুশির ছোঁয়া, ‘যদি তিনি আরও এক বছর থাকেন, তাহলে আমরা তার সর্বোচ্চটা কাজে লাগাতে পারব, স্টেডিয়ামে তার খেলা দেখতে যেতে পারব। আমার জন্য এটা দারুণ ইতিবাচক।’ ৩৯ বছর বয়সী জোর্জে সোসের মতে, বার্সেলোনার জন্য এটি স্বস্তির খবর, ‘আমি মনে করি, বার্সেলোনার জন্য এটি ভালো খবর। কারণ তিনি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়।’
ভিন্ন মতও আছে। ২৪ বছর বয়সী সের্গি রোদা যেমন তুলে ধরলেন দুই পক্ষের তিক্ত সম্পর্কের কথা, ‘মেসি চলে যাচ্ছেন না, ভালো খবর। কিন্তু তিনি যে অবস্থার সৃষ্টি করেছেন, সত্যি বলতে, বার্সেলোনার জন্য তা ভালো নয়। কারণ এই দলের হয়ে খেলতে চান, এমন মনোভাব কিন্তু দেখাননি তিনি।’
অনিচ্ছায় থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানানোর সময় ক্লাব প্রেসিডেন্ট জোজেপ মারিয়া বার্তোমেউয়ের কড়া সমালোচনা করেন মেসি। বার্তোমেউয়ের নেতৃত্বাধীন ক্লাব ম্যানেজমেন্ট ‘জঘন্য’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। ছয়বারের রেকর্ড বর্ষসেরা ফুটবলারের সঙ্গে সুর মেলালেন এক সমর্থকও, ‘পুরো পরিস্থিতি খুব অপ্রীতিকর রূপ নিয়েছে। আমি মনে করি, বেশিরভাগ দোষ ম্যানেজমেন্টের।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মেসি

১০ জুন, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ