নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
লিওনেল মেসির ক্লাব ছাড়া নিয়ে কথা! তর্কসাপেক্ষে সময়ে সেরা খেলোয়াড়ের দলবদল নিয়ে একটু নাটক না হলে কী আর চলে! এ কারণেই বিষয়টি রূপ বদলাচ্ছে ক্ষণে ক্ষণে। এই শোনা যাচ্ছে মেসি বার্সেলোনাতেই থেকে যাবেন আরও একটা মৌসুম। পরক্ষণেই আবার কানে আসছে অন্য কথা- মেসিকে হয়তো এ মৌসুমেই পাচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটি। তাও আবার কোনো ট্রান্সফার ফি ছাড়াই। এই আলোচনার ক্ষেত্রে বারবারই চলে আসছে একটি বিষয়- মেসির বিশাল অঙ্কের বাই আউট ক্লজ। মেসি ক্লাব ছাড়তে চেয়ে বার্সেলোনাকে বুরোফ্যাক্স পাঠানোর পর থেকেই বার্সেলোনা বলে আসছে তাঁকে পেতে চাইলে ক্লজের ৭০ কোটি ইউরো দিয়েই পেতে হবে।
আলোচনায় বসবে না বসবে না করেও বার্সা অবশেষে মেসির বাবা হোর্হে মেসির সঙ্গে গত বুধবার বৈঠকে বসেছে। হোর্হে মেসি বার্সেলোনার সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে আসার পর স্পেনের সংবাদমাধ্যম খবর ছেপেছে, মেসি হয়তো ন্যু ক্যাম্পেই থেকে যাচ্ছেন। ওই সময়ে মেসির বাবা ও এজেন্ট হোর্হে মেসি তেমন কিছু বলেননি। কিন্তু গতকাল একটি বিবৃতি দিয়েছেন তিনি। দাবি করেছেন বক্তব্যটি আর্জেন্টাইন তারকার নিজের। যাতে বলা হয়েছে, বার্সেলোনা আর লা লিগা মেসির রিলিজ ক্লজ নিয়ে ভুল করছে, ‘আমরা জানি না কোন চুক্তিটি বিশ্লেষণ করেছে লা লিগা। জানি না কীসের ভিত্তিতে তারা সিদ্ধান্তে এসেছে যে এটা চুক্তি বাতিলের শর্ত হবে। কোনো খেলোয়াড় যদি নিজে থেকেই ক্লাব ছেড়ে চলে যেতে চায় সে ক্ষেত্রেও কি চুক্তি বাতিলের শর্তটা একই থাকবে?’
মেসিকে পাওয়ার দৌড়ে শুরুর দিকে শুধু ম্যানচেস্টার সিটির কথাই শোনা যাচ্ছিল। বিশ্বজোড়া ফুটবল অনুসারীরাও বলে আসছিলেন মেসি ম্যান সিটিতেই যাবেন। ক্লাবটিতে কোচ হিসেবে আছেন পেপ গার্দিওলা। বার্সেলোনায় মেসির এক সময়ের কোচ ছিলেন তিনি। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের সঙ্গে তার সম্পর্কটাও বেশ ভালো ছিল। দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে মেসির সিটিতে যাওয়ার সম্ভাবনাই দেখেছেন বেশির ভাগ মানুষ।
কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে মেসিকে পাওয়ার দৌড়ে উঠে এসেছে আরও অনেক ক্লাবের নাম। যাদের মধ্যে এগিয়ে আছে পিএসজি, জুভেন্টাস ও ইন্টার মিলান। মাঝে তো এটাও শোনা গিয়েছিল যে পিএসজিতে মেসিকে চাইছেন বার্সেলোনায় তার সাবেক সতীর্থ নেইমার। বিষয়টি নিয়ে নাকি পিএসজির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাও বলেছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা।
তবে যে ক্লাবই দৌড়ে থাকুক, মেসিকে পাওয়া এত সহজ হওয়ার কথা নয়। কারণ একটাই- মেসির ৭০ কোটি ইউরোর রিলিজ ক্লজ। করোনাভাইরাস মহামারিতে বিপর্যস্ত ইউরোপের অর্থনীতি। এর প্রভাব ফুটবলে কমবেশি পড়েছে। এমন সময়ে এত অর্থ ব্যয়ে মেসিকে সিটি বা পিএসজির মতো ধনী ক্লাবও কিনতে পারবে না বলেই মনে করেন অনেকে।
মেসির বাবা তার বিবৃতিতে অবশ্য রিলিজ ক্লজের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন, ‘৭০০ মিলিয়ন ইউরোর রিলিজ ক্লজের বিষয়টি ভুল হয়ে থাকবে। এটা পরিষ্কার আগের চুক্তিতে থাকা ৭০০ মিলিয়ন ইউরোর শর্তটি এখন আর কার্যকর নয়।’ স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে মেসি আর তার বাবা বাই আউট ক্লজের বিষয়টি পাত্তাই দিচ্ছেন না। এটিকে বার্সেলোনা ও লা লিগার ভুল বলছেন তারা। শেষ পর্যন্ত যদি সেটাই প্রমাণিত হয়, মেসিকে তাহলে বিনা ট্রান্সফার ফিতেই পাবে সিটি, পিএসজি বা অন্য কোনো ক্লাব! কিন্তু লা লিগা সেটা মানলে তো! মেসির বাবার দেওয়া বিবৃতির কিছুক্ষণের মধ্যেই জবাব দিয়েছে লা লিগা কর্তৃপক্ষ। তাদের একটাই কথা, ‘৭০০ মিলিয়ন ইউরোর শর্তটা এখনো কার্যকর।’
স্প্যানিশ সাংবাদিকদের দাবি, বার্সেলোনাও মেসিকে মুফতে ছাড়তে রাজি নয় বলে আবারও সতর্ক করে দিয়েছে সংশ্লিষ্টদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।