Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

খেলনা নিয়ে মোদির স্বপ্ন পূরণে সাধ্য নেই ভারতীয় নির্মাতাদের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রেডিওতে তার ‘মান কি বাত’ অনুষ্ঠানে দেশের খেলনা শিল্পের প্রতি আলোকপাত করার পরের দিন গত ৩১ আগষ্ট ছিল ৩ বছর বয়সী তেজাসের জন্মদিন। জন্মদিনের উপহার হিসাবে সে যে সমস্ত খেলনা পেয়েছিল, তার সবগুলোই ছিল চীনে তৈরি।
মোদি স্থানীয়ভাবে খেলনা উৎপাদন এবং ৭ লাখ কোটি রুপির বৈশ্বিক খেলনা বাজারে ভারতের অংশীদারিত্ব বাড়ানোর জন্য জোর দিয়েছিলেন। কিন্তু তেজাসের পাওয়া উপহার ভারতের খেলনা শিল্পের বাস্তবতা প্রতিফলিত করে। ভারতের খেলনা উৎপাদনের পরিমাণ আনুমানিক ৫ থেকে ৬ হাজার কোটি রুপি যা বিশ্ববাজারের ১ শতাংশেরও কম। এটি ভারতে খেলনার চাহিদার প্রায় ২৫ শতাংশ পূরণ করতে পারে, বাকি অংশ চীনের দখলে। ভারতের বাজার থেকে চীনা খেলনা সরিয়ে স্থানীয় উৎপাদনকারীদের মাধ্যমে ঘরোয়া চাহিদা মেটাতে গেলে বাজারে খেলনার আকাল দেখা যাবে, যেমনটা এখন হচ্ছে।

লকডাউন এবং আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির কারণে ভারতে চীনা খেলনা সরবরাহ কমেছে বলে নির্মাতারা জানিয়েছেন। তবে একই সময়ে, গত তিন থেকে চার মাস ধরে খেলনার চাহিদা বেড়েছে। কারণ, বাচ্চারা ঘরে আটকে আছে এবং আরও খেলনা দাবি করছে। তবে চাহিদা বাড়লেও উৎপাদন বাড়ছে না। ভারতের প্রায় সাড়ে তিন হাজার খেলনা তৈরির প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশই অসংগঠিতভাবে ছোট ছোট ইউনিটে কাজ করে। অনেক ক্ষেত্রে কর্মচারী রয়েছেন পাঁচজনেরও কম। হঠাৎ করে উৎপাদন বাড়ানোর মূলধন তাদের কাছে নেই।

চীনের তৈরি বিশেষ করে ইলেকট্রনিক খেলনাগুলোর সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে গত ৩০ বছরে ভারতের অনেক খেলনা কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। নির্মাতারা জানান, ইলেকট্রনিক খেলনা তৈরিতে সরঞ্জামের অভাব রয়েছে। এর জন্য প্রয়োজনীয় মেশিনের উপর ৩৪ শতাংশ আমদানি শুল্ক থাকায় সেগুলো খুবই ব্যয়বহুল।
দক্ষিণ দিল্লির আমার কলোনিতে খেলনার দোকান ‘কিডি ল্যান্ডে’ শেলফের ৭০ শতাংশ জায়গাই চীনা খেলনা এবং ২৫ শতাংশ ডেনমার্কের তৈরি লেগো দখল করে রেখেছে। নির্মাতারা অভিযোগ করেন যে, খুচরা বিক্রেতারা ভারতীয় খেলনাগুলোর জন্য পর্যাপ্ত জায়গা দেয় না। অল ইন্ডিয়া টয় ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনিষ কুক্রেজা বলেছিলেন, ‘চাইনিজ খেলনা বিক্রি করলে তাদের লাভ বেশি হয়। তাই তারা সেগুলোই মজুদ করতে পছন্দ করে।’ তার মতে, খুচরা বিক্রেতারা যদি ভারতে তৈরির খেলনাগুলোর জন্য ২৫ শতাংশ জায়গা সংরক্ষণ করে রাখে, তবে স্থানীয় উৎপাদন আরও বাড়বে। সূত্র : টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ