নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চুক্তির ধারা নিয়ে লিওনেল মেসি ও বার্সেলোনার মধ্যে যে বিরোধ চলছে, তাতে কাতালান দলটির পক্ষ নিয়েছে স্প্যানিশ লা লিগা কর্তৃপক্ষ। তাদের মতে, মেসি-বার্সার বর্তমান চুক্তিপত্রটি এখনও বৈধ এবং চুক্তির মেয়াদ পূর্ণ করার শর্ত এখনও কার্যকর আছে।
গতপরশু এক অফিসিয়াল বিবৃতিতে স্পেনের শীর্ষ লিগের পরিচালনা পর্ষদ জানিয়েছে, আগেভাগে দল ছাড়তে চাইলে মেসির রিলিজ ক্লজের (৭০০ মিলিয়ন ইউরো) পুরো অর্থ অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। অর্থাৎ বিনাম‚ল্যে (কোনো ট্রান্সফার ফি ছাড়া) নতুন ঠিকানায় পাড়ি জমাতে পারবেন না তিনি। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, রিলিজ ক্লজ না দিয়ে বার্সা ছাড়ার ব্যাপারে রেকর্ড ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকে কোনো ধরনের সাহায্য করবে না তারা।
বার্সার সঙ্গে মেসি শেষবার চুক্তি নবায়ন করেছিলেন ২০১৭ সালে। চুক্তির মেয়াদ আগামী ২০২১ সাল পর্যন্ত। নতুন চুক্তির সময় তার রিলিজ ক্লজ রাখা হয়েছিল ৭০০ মিলিয়ন ইউরো।
এর আগে স্প্যানিশ রেডিও কাদেনা সার অবশ্য দাবি করেছিল, ইউরোপিয়ান ফুটবলের ২০১৯-২০ মৌসুম শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেসির রিলিজ ক্লজের মেয়াদও ফুরিয়ে গেছে। সেটা কেমন? গণমাধ্যমটি জানিয়েছিল, চুক্তির শেষ মৌসুমটা (২০২০-২১) মেসির জন্য ঐচ্ছিক। অর্থাৎ তিনি চাইলে বার্সায় থাকতে পারেন, আবার না-ও পারেন। আর এ সময়ে কার্যকর হবে না তার রিলিজ ক্লজ।
কিন্তু বার্সার মতে, শেষ মৌসুম মেসির জন্য ঐচ্ছিক হলেও রিলিজ ক্লজ কার্যকর হবে। পুরো ৭০০ মিলিয়ন ইউরো বুঝে না পেলে ৩৩ বছর বয়সী তারকাকে ছাড়বে না তারা। এবার দলটির দাবিতে সমর্থন দিয়েছে লা লিগা।
গেল মঙ্গলবার বার্সার সঙ্গে দীর্ঘ ২০ বছরের সম্পর্কের ইতি টানার ঘোষণা দেন মেসি। এরপর থেকে চলছে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা। তবে তিনি যে আর ন্যু ক্যাম্পে কিছুতেই থাকতে চাচ্ছেন না, কাতালানদের করোনাভাইরাস পরীক্ষায় তার উপস্থিত না হওয়াতে তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। আসন্ন ২০২০-২১ মৌসুমকে সামনে রেখে বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা বাধ্যতাম‚লক কোভিড-১৯ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে রবিবার। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও দেখা যায়নি মেসিকে।
চুক্তির একটি বিশেষ ধারা সক্রিয় করে কোনো ট্রান্সফার ফি ছাড়া বার্সা ছাড়তে চান মেসি। তবে রিলিজ ক্লজের পুরো অর্থ না পেলে তাকে প্রস্থান করতে দেওয়া হবে না বলে শুরু থেকেই জানিয়ে আসছে বার্সা। দুই পক্ষ নিজ নিজ অবস্থানে অটল থাকায় অবিশ্বাস্য এই সমস্যার সমাধান শেষ পর্যন্ত হতে পারে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে।
তবে নানা নাটকের পর অবশেষে নমনীয় হতে যাচ্ছে তাদের সুর। আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন ক্লাব সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ। তবে মেসির সঙ্গে নয়, বাবা হোর্হে মেসি, যিনি মেসির মুখপাত্রও বটে, তার সঙ্গে আলোচনা করবেন বার্সা সভাপতি। এমন সংবাদই প্রকাশ করেছে স্প্যানিশ গণমাধ্যম মুন্দো দিপোর্তিভো ও স্পোর্ত।
সংবাদ অনুযায়ী, মেসির বাবার সঙ্গে আগামীকাল আলোচনা সভায় বসবেন বার্তোমেউ। এ বৈঠক মেসির ইচ্ছায় নয়, হচ্ছে বার্সা সভাপতির ইচ্ছায়। কারণ, মেসির সঙ্গে ক্লাব ছাড়ার বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি নন বার্তোমেউ। সেকারণে এর মধ্যেই রোজারিও ছেড়ে বার্সেলোনার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন মেসির বাবা।
গণমাধ্যমের সংবাদ অনুযায়ী, মেসির বার্সেলোনা ছাড়তে চাওয়ার এ সময়ে জরুরি কাজে আর্জেন্টিনায় ফিরেছিলেন তার বাবা। তবে তার চেয়েও জরুরি ভিত্তিতে এবার স্পেনে ফিরতে হচ্ছে তাকে। সোমবারই বার্সেলোনায় পা রাখার কথা হোর্হে মেসির।
এদিকে, গত কয়েক দিনে স্প্যানিশ গণমাধ্যমের সংবাদ অনুযায়ী, চাইলেই বিনা রিলিজ ক্লজে ক্লাব ছাড়তে পারবেন মেসি। মেসির চুক্তিপত্রে এমনটাই নাকি উল্লেখ করা আছে। শেষ বছরে কার্যকর হবে না তার রিলিজ ক্লজ। অন্যদিকে, শুরু থেকেই বার্সেলোনা কর্তৃপক্ষ বলে আসছে তাকে ক্লাব ছাড়তে হলে রিলিজ ক্লজের পুরো ৭০০ মিলিয়ন ইউরো দিয়েই যেতে হবে। বিষয়টি দিন দিন জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। সে জটিলতা কাটাতেই দুই পক্ষ আলোচনায় বসছে। আলোচনা হবে রিলিজ ক্লজ ইস্যুতে।
বার্সেলোনা থেকে যাতে স্বাভাবিক নিয়মে যেতে পারেন, সেকারণেই ক্লাব সভাপতির সঙ্গে এর আগে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন মেসি। অন্যথায়, মামলা করলে মেসিই জিতবেন বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে স্প্যানিশ গণমাধ্যমগুলো। কিন্তু ২০ বছর যে ক্লাবে খেলেছেন, সে ক্লাবের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে যাওয়ার ইচ্ছে নেই আর্জেন্টাইন তারকার। আশা করছেন, আলোচনা সভাতেই সব কিছু ভালোভাবে মিটে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।