Inqilab Logo

রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বাংলাদেশে চা শিল্পের বিকাশ এবং অর্থনৈতিক ভূমিকা

মো. আরাফাত রহমান | প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

চা শিল্পের বিকাশ ঘটে উনিশ শতকে সিলেটে এবং আসামে। প্রধানত ব্রিটিশরা সিলেটের টিলাভূমি এবং আসামের উচ্চভূমিতে ব্যাপক এবং বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চা উৎপাদনের সূচনা করে। ১৮৩৯ সালে বেশকিছু ব্রিটিশ পুঁজিপতি এবং ভারতীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ী যেমন হাজী হাশেম ইস্পাহানি, প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর, বাবু মতিলাল শীল এবং অন্যান্যদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয় আসাম টি-কোম্পানি। লন্ডনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কোম্পানির নাম ঘোষণা দেওয়া হয়। এই কোম্পানি গঠনের পরপরই কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত বেঙ্গল টি অ্যাসোসিয়েশন এর সঙ্গে একীভূত হয়।

রবার্ট ব্রুস ১৮৩৪ সালে আসামের উঁচু অঞ্চলে চা গাছের সন্ধান পান। এরপর ১৮৫৫ সালে সিলেটের চাঁদখানি টিলায় দেশীয় জাতের চা গাছের সন্ধান মেলে। একই সময়ে খাসি ও জৈন্তা পাহাড়েও বন্য প্রজাতির চা গাছের সন্ধান পাওয়া যায়। ১৮৪০ সালে চট্টগ্রামেও চা উৎপাদন শুরু হয়। এখানে চা উৎপাদনের জন্য চীন থেকে চারা আমদানি করা হয় এবং কলকাতা বোটানিক্যাল গার্ডেনে উৎপাদিত চীনা প্রজাতির চা গাছ রোপণ করা হয়। ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনিছড়ায় বাংলাদেশের প্রথম চা বাগান প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৬০ সালে লাল চাঁদ ও মাটিরাঙ্গা নামে আরো দুটি চা বাগান প্রতিষ্ঠা করা হয়।

প্রথমদিকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে চা বাগান প্রতিষ্ঠা শুরু হয়। কিন্তু উনিশ শতকের ষাটের দশকে ব্যাপক মন্দায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে চা বাগান প্রতিষ্ঠার তৎপরতা বন্ধ হয়ে গেলে চা শিল্প ধীরে ধীরে বড় বড় কোম্পানির আয়ত্তে চলে আসে। ওই মন্দার পর সিলেটের চা শিল্পে জেমস ফিনলে নিরঙ্কুশ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে। তবে উনিশ শতকের শেষদিক হতে ক্ষুদ্র একটি দেশীয় উদ্যোক্তা শ্রেণি চা শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত হয়। তবে দেশীয় উদ্যোক্তাদের প্রতিদ্ব›িদ্বতার মুখোমুখি হলেও বিদেশি কোম্পনিগুলির আধিপত্য কখনই বিঘ্নিত হয়নি। কারণ প্রযুক্তিগত জ্ঞান এবং চা বিপণনের জন্য দেশীয় চা করগণ ইউরোপীয়দের উপরই নির্ভর করত। তবে এই শিল্পের মাধ্যমেই দেশীয় ও বিদেশি উদ্যোক্তাদের মধ্যে এক ধরনের সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে উঠে।

বাংলাদেশের চা বাগানগুলির মালিকানা প্রধানত তিন ধরনের, ক) স্টারলিং কোম্পানি, খ) বাংলাদেশি কোম্পানি এবং গ) ব্যক্তি মালিকানা। যে সকল চা বাগানের মালিক ইউরোপীয় বিশেষত ব্রিটিশ তাদেরই বলা হয় স্টারলিং কোম্পানি। দেশীয় যে সকল কোম্পানি ১৯১৩ সালের কোম্পানি অ্যাক্ট দ্বারা গঠিত সেগুলো বাংলাদেশি কোম্পানি। স্টারলিং কোম্পানির চা বাগানগুলি আয়তন ও চা উৎপাদনের দিক থেকে বৃহত্তম (গড় আয়তন ১৬৪৮ একর)। এরপর রয়েছে বাংলাদেশি কোম্পানির মালিকানাধীন বাগান (গড় আয়তন ৬৬৯ একর) এবং সবচেয়ে ছোট বাগানগুলি মূলত ব্যক্তি মালিকানাধীন (গড় আয়তন ৩৪৩ একর)।

সিলেটে ১৮৫৬ সালের ৪ জানুয়ারি দেশজ চা গাছ আবিষ্কৃত হয় এবং এতে ইউরোপীয় চা-কর এবং ব্রিটিশ প্রশাসকদের মধ্যে উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়। তারা নিশ্চিত হন যে, শিক্ষা ও সংস্কৃতি এবং যোগাযোগের দিক থেকে সিলেটের মতো একটি অগ্রসর এলাকায় চা উৎপাদন বাণিজ্যিক দিক থেকে লাভজনক হবে। সিলেটের তৎকালীন ম্যাজিট্রেট টি.পি লারকিন্স বঙ্গদেশের লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে লেখা এক রিপোর্টে উল্লেখ করেন যে, চাঁদখানি টিলায় প্রাকৃতিকভাবেই প্রচুর চা গাছ জন্মায় এবং এগুলির গুণাগুণ বিচারের জন্য নমুনা হিসেবে কিছু চা গাছ কলকাতাস্থ ভারতীয় কৃষি সমিতির কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। লারকিন্স বঙ্গদেশের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিকে অনুরোধ করেন যে, তিনি যেন দেশজ প্রজাতির চা গাছ আবিষ্কারক মোহাম্মদ ওয়ারিসকে ৫০ টাকা পুরস্কার প্রদান করেন। এভাবে একজন দেশীয় ব্যক্তিকে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের চা শিল্পের বিকাশে জেমস্ ফিনলে একটি উল্লেখযোগ্য নাম। ১৭৪৫ সালে গ্লাসগোতে তিনি এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৬১ সালে জন ম্যুর এই কোম্পানির অধিকাংশ শেয়ার কিনে নতুন মালিক হন এবং কোম্পানিটির নতুন নামকরণ হয় ফিনলে অ্যান্ড মুর। কিন্তু এটি জেমস ফিনলে হিসেবেই পরিচিতি লাভ করে। ১৮৮২ সালে জন মুর নর্থ সিলেট টি কোম্পানি এবং সাউথ সিলেট টি কোম্পানি নামে দুটি চা বাগান প্রতিষ্ঠা করেন। ফিনলে কোম্পানির চা বাগানের সিংহভাগই বর্তমানে বাংলাদেশের সিলেটে অবস্থিত। ১৯১০ সালে প্রকাশিত টেইলর ম্যাপ অনুযায়ী সিলেটে ফিনলেসহ ইউরোপীয় কোম্পানিগুলির চা বাগানের বিস্তৃত বিবরণ পাওয়া যায়। জেমস ফিনলে প্রথমত সরকার থেকে পতিত ভূমির ইজারা নেয়; দ্বিতীয়ত, ত্রিপুরার মহারাজার ভূমি অধিগ্রহণ করে এবং তৃতীয়ত, সাধারণ মানুষের জমি ক্রয় করে দক্ষিণ সিলেটের চা শিল্পে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে।
উনিশ শতকের শেষে সিলেট চা শিল্পে অন্যতম প্রধান স্থান দখল করে নেয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, সিলেটে ১৮৯৩ সালে ২০৬,২৭,০০০ পাউন্ড চা উৎপাদিত হয়। ১৯০০ সাল পর্যন্ত উৎপাদনের এই ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকে। ১৯০৪-০৫ সালে সিলেটে মোট ১২৩টি চা বাগান ছিল। ১৯১০ সালের পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, ৯৫ শতাংশ চা বাগানের মালিক ছিল বিদেশি। ১৯২০ সালে স্থানীয়দের মালিকানা প্রায় ১০ শতাংশে উন্নীত হয়। চা উৎপাদনের জন্য প্রথমদিকে একটি প্রধান সংকট ছিল জ্বালানি সমস্যা, যা মূলত বনজ কাঠ থেকে তৈরি চেরাকলের উপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে কয়লা ও তেল জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। জ্বালানি সমস্যার নিরসনের ফলে চা-এর উৎপাদন ও গুণগতমান বৃদ্ধি পায়।

১৮৭৬ সালে কাছাড় নেটিভ স্টক কোম্পানি গঠিত হয় শুধু সিলেটের পুঁজিপতিদের নিয়ে। এই কোম্পানি হচ্ছে আসাম এবং বঙ্গদেশের প্রথম দেশীয় চা কোম্পানি যার মালিক ছিলেন স্থানীয় উদ্যোক্তাগণ। সিলেটের একজন বিখ্যাত আইনজীবী মোশাররফ আলী তাঁর কতিপয় হিন্দু বন্ধুদের নিয়ে এই কোম্পানি গঠন করেন এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু আসাম সরকারের উচ্চপদস্থ আমলা যোগেশ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রয়োজনীয় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করেন। মোশাররফ আলীর পুত্র মনোয়ার আলী আসাম আইনসভার সদস্য ও আসাম সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পূর্বপর্যন্ত এই কোম্পানির লভ্যাংশ মোশাররফ আলীর উত্তরাধিকারীগণ গ্রহণ করেছেন।
সিলেটের জনৈক জমিদার নবাব আলী আমজাদ খান রঙ্গির ছড়া নামে একটি চা বাগান প্রতিষ্ঠা করেন। এটি দেশিয় মালিকানাধীন চা বাগানের মধ্যে সর্ববৃহৎ। অনেক উচ্চ উপাধিধারী ও সম্ভ্রান্তবংশীয় মুসলমান তখন চা শিল্পে আগ্রহ দেখিয়েছেন। ১৯০৪ সালে মুহম্মদ বখত মজুমদার, করিম বখ্শ, গোলাম রাববানী, আব্দুল মজিদ কাপ্তান মিয়া যৌথভাবে ব্রাহ্মণছড়া চা বাগানের মালিক ছিলেন। জমিদার ও রাজনৈতিক এবং কেন্দ্রীয় আইনসভার সদস্য আব্দুর রশিদ চৌধুরী এবং তাঁর পুত্র আমিনুর রশিদ চৌধুরী সিলেটে চা বাগান প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনায় সুনাম অর্জন করেছেন এবং তাদের প্রতিষ্ঠিত চা বাগানগুলি এখনও চালু আছে।

চা শিল্প ১৯৪৭ সালের পর এক নতুন যুগে প্রবেশ করে। এর পর থেকে ক্রমান্বয়ে মালিকানায় এক উল্লেখযোগ্য অংশ পশ্চিম পাকিস্তানি পুঁজিপতি শ্রেণির হাতে চলে যায়। এর অন্যতম প্রধান কারণ, ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর পূর্ববাংলা এবং সিলেটের অনেক হিন্দু জমিদার ও পেশাজীবী সিলেট পরিত্যাগ করে ভারতে অভিবাসন নেন। তাঁদের অনেকেই পুঁজি বিনিয়োগ করেছিলেন চা শিল্পে। তাঁদের প্রস্থান এক ধরনের সংকট সৃষ্টি করে। এই শূন্যতা পূরণে যারা এগিয়ে আসেন তাঁদের অনেকেই ছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানি পুঁজিপতি। এ প্রক্রিয়ায় তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করে। ১৯৬৬ সালের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, ১১৪টি চা বাগানের মধ্যে ৫৬টির মালিক পশ্চিম পাকিস্তানি পুঁজিপতি, ৪৭টির মালিক ইউরোপীয় এবং মাত্র ১১টির মালিক বাঙালি উদ্যোক্তা। ১৯৭০ সালের পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, ১৬২টি চা বাগানের মধ্যে ৭৪টির মালিক পশ্চিম পাকিস্তানি উদ্যোক্তা।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় চা শিল্পের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। এ শিল্পকে পূর্বের অবস্থায় পুনঃস্থাপিত করার জন্য ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার একটি কমিটি গঠন করে। কমিটির প্রধান সুপারিশ ছিল চা শিল্পে উৎপাদন বাড়ানোর পদক্ষেপ গ্রহণ, উৎপাদন খরচ কমানো এবং বিপণন প্রক্রিয়া আরো শক্তিশালী করা। চা শিল্পে পাকিস্তান আমলের ন্যায় বাংলাদেশ আমলের প্রথম তিন দশক অর্থাৎ ১৯৭০, ১৯৮০ ও ১৯৯০-এর দশকে ব্রিটিশ এবং স্কটিশ কোম্পানিগুলির আধিপত্য অব্যাহত ছিল। কারণ বিদেশি স্টারলিং কোম্পানির বাগানগুলো আয়তনের দিক থেকে ছিল দেশীয় বাগানের তিনগুণ এবং এসব বাগানে একর প্রতি উৎপাদন তুলনামূলকভাবে বেশি। বর্তমানে বাংলাদেশে চা বাগানের সংখ্যা ১৬২টি। এর মধ্যে ১৩৫টি সিলেট বিভাগে, ২৩টি চট্টগ্রামে এবং ৪টি নবগঠিত রংপুর বিভাগে।

২০০৮ সালের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ বাৎসরিক ৫৯ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন করে। ২০০০ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের ৩০টি চা উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে ৯ম চা উৎপাদনকারী দেশ ছিল, কিন্তু ২০০৮ সালে বাংলাদেশ ১১তম স্থানে নেমে আসে। তবে ২০১০ সালে চা উৎপাদন কিছুটা বৃদ্ধি পায়। চা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি পণ্য, যা দীর্ঘকাল থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে দেশে একটি বড় অভ্যন্তরীণ বাজার তৈরি হয়েছে। ফলে রপ্তানির পরিমাণ ক্রমান্বয়ে কমছে। ২০০৯ সালে চা রপ্তানি প্রায় ৬৮% কমে ২.৫৩ মিলিয়ন কেজিতে নেমে আসে। অর্থাৎ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রতিবছর প্রয়োজন ৫৭ লক্ষ কেজি চা। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ ৪০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন করে এবং রপ্তানি করে ৩১ মিলিয়ন কেজি। বর্তমানে উৎপাদন করে প্রায় ৬০ মিলিয়ন কেজি এবং রপ্তানি করে মাত্র ৩ মিলিয়ন কেজি।

চা শিল্পে কর্মসংস্থান চা শিল্পে প্রায় দেড় লক্ষ লোক কর্মরত আছে। এটি একটি শ্রমঘন ও কৃষিভিত্তিক শিল্প বিধায় চা উৎপাদনের জন্য বিপুল শ্রমিকের প্রয়োজন। বিশ শতকের সত্তরের দশকের শুরুতে চা শিল্পে ১ লক্ষ ২০ হাজার পুরুষ ও নারী শ্রমিক নিয়োজিত ছিল এবং তাদের উপর নির্ভরশীল ছিল ৩ লক্ষ ৫০ হাজার পোষ্য। বাংলাদেশের চা শ্রমিকদের অধিকাংশই ভারত থেকে আগত, কিন্তু বর্তমানে তারা বাংলাদেশের নাগরিক। মধ্য উনিশ শতকে এদের পূর্বপুরুষ মূলত ভারতের ছোট নাগপুর-ঝাড়খন্ড অঞ্চল থেকে এদেশে আগমন করে। চা-শ্রমিকদের পূর্বপুরুষদের অনেকে এসেছে বিহার, ঊড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্রিশগড় অঞ্চল থেকে। কুলি নামে পরিচিত চা-শ্রমিকরা স্থায়ীভাবে নির্মিত চা-কুলি লাইনের অপরিসর গৃহে বসবাস করছে। বংশানুক্রমিক চা-শ্রমিক সমাজেও এখন কিছুটা বেকার সমস্যা দেখা দিয়েছে।
লেখক: সহকারী কর্মকর্তা, ক্যারিয়ার এন্ড প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট সার্ভিসেস বিভাগ, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চা শিল্প
আরও পড়ুন