Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রে কার্যক্রম বন্ধ করে দিচ্ছে টিকটক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০২০, ১২:০৭ পিএম

যুক্তরাষ্ট্র থেকে জনপ্রিয় সামাজিক ভিডিওমাধ্যমটি নিজেদের গুটিয়ে নেয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে বলে শুক্রবার (২৮ আগস্ট) জানিয়েছে রয়টার্স। টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্স ইঞ্জিনিয়ারদের নির্দেশনা দিয়েছেন এ বিষয়ে। টিকটক-এর মার্কিন শাখাটিকে কেনার প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছে রিটেইল জায়ান্ট ওয়ালমার্ট। খবর রয়টার্স ও আলজাজিরার

যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ১০ কোটি সক্রীয় ব্যবহারকারী রয়েছে। তবে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে অভিহিত করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটিতে টিকটক নিষিদ্ধের হুমকি দেন। বিকল্প হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কোম্পানির কাছে টিকটক বিক্রি করে দেওয়ারও কথা বলেন তিনি। এ নিয়ে একটি নির্বাহী আদেশেও সই করেন ট্রাম্প। ওই নির্বাহী আদেশে টিকটক বা বাইটড্যান্সের সঙ্গে আমেরিকানদের সব ধরনের লেনদেন বন্ধ করা হবে মধ্য সেপ্টেম্বর থেকে।
ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে আদালতের দ্বারস্থ হয় টিকটক। এ নিয়ে টানাপোড়েনের এক পর্যায়ে গত বুধবার পদত্যাগ করেন টিকটকের প্রধান নির্বাহী (সিইও) কেভিন মাইয়ার। তার পদত্যাগের দুইদিনের মাথায় শুক্রবার টিকটক সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে কার্যক্রম বন্ধ করার পথে এগোচ্ছে টিকটক।
সূত্র আরও জানিয়েছে, মাইক্রোসফট করপোরেশন কিংবা ওরাকলের কাছে হস্তান্তর নিয়েও আলোচনায় যেতে পারে বাইটড্যান্স। আলোচনার মাধ্যমে কোনো একটি কোম্পানির হাতে টিকটক তুলে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরে পড়বে বাইটড্যান্স।
টিকটকের বিশ্বব্যাপী ব্যবসার সূচনা ২০১৮ সালে। তারপর থেকে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত হারে বেড়েছে। যাদের বয়স ২৫-বছরের নিচে তাদের মধ্যে টিকটক-এর বিপুল জনপ্রিয়তা রয়েছে। মার্কিন সরকার বলছে, টিকটক-এর মালিক চীনা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটা বড় হুমকি। অভিযোগ, টিকটক ৮০ কোটি মার্কিন ব্যবহারকারীর কাছ থেকে নানা ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক-র গ্রাহক রয়েছে ১০ কোটি। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, চীন সরকার এসব তথ্য হীন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে ঘণিষ্ঠ বনে যাওয়া ভারতও টিকটক নিয়ে নিরাপত্তাহীনতার কথা বলছে। চীন-ভারত উত্তেজনার মধ্যে দেশটিতে মোদি সরকার নিষিদ্ধ করে টিকটক।
তবে তা অস্বীকার করে আসছে চীন ও টিকটক। বেইজিং সরকার সব অভিযোগ অস্বীকার করে এবং বলে যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণ রাজনৈতিক বলেও অভিহিত করে। অন্যদিকে মার্কিন কোম্পানির কাছে ব্যবসার একাংশ বিক্রির প্রশ্নে বাইটড্যান্সের প্রতিষ্ঠাতা ঝাং ইমিন নিজেও সমালোচনার শিকার হয়েছেন। কোম্পানির চীনা স্টাফদের কাছে এক চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক-এর ব্যবসা ধরে রাখতে হলে এছাড়া আর কোন উপায় ছিল না।
মার্কিন সরকার টিকটিক-এর যুক্তরাষ্ট্র শাখাটিকে আমেরিকান-মালিকানায় থাকা কোন প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করার জন্য ৯০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। এরই মধ্যে মাইক্রোসফট এবং ওয়ালমার্ট এক হয়ে টিকটক কেনার জন্য আরেকটি প্রযুক্তি কোম্পানি ওরাকলের সাথে প্রতিযোগিতা করছে। ওয়ালমার্টের কর্মকর্তারা বলছেন, টিকটক-এর সাথে যুক্ত হতে পারলে তাদের ব্যবসা বাড়বে। ওদিকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল পত্রিকা খবর দিয়েছে যে সোশাল মিডিয়া জায়ান্ট টুইটারও টিকটক কেনার চিন্তাভাবনা করছে। যতদূর জানা যাচ্ছে, টিকটকের মার্কিন শাখার দাম তিন হাজার কোটি ডলার উঠতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টিকটক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ