মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কংগ্রেস আস্থা পোষণ করল গান্ধী পরিবারেই! একসঙ্গে ২৩ জন শীর্ষনেতার ‘পত্রবোমা’র অভিঘাতে নতুন সভাপতির সন্ধানে গতকাল জরুরি বৈঠকে বসেছিল কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। বৈঠক দলের অভ্যন্তরীণ ফাটল আরও প্রকট হয়ে উঠলেও শেষ অবধি গান্ধী পরিবারেই আস্থা রাখল কংগ্রেসের কর্ণধাররা। দলের বর্ষীয়ান নেতা কেইএচ মুনিয়াপ্পা জানিয়েছেন, আপাতত সোনিয়া গান্ধীই আরও কয়েক মাসের জন্য কংগ্রেস সভানেত্রী পদে থাকবেন। তবে তাকে দৈনন্দিন কাজে সহায়তার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে। যত শিগগির সম্ভব নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সভাপতি বেছে নেয়া হবে বলে এদিনের বৈঠকে স্থির হয়েছে।
দলের অভ্যন্তরে নেতৃত্ব নিয়ে কোনও বিরোধ নেই বলেও দাবি করেছেন কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির আরও এক সদস্য পিএল পুনিয়া। তিনি বলেন, ‘কমিটির নেতারা সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেছেন। এদিন বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে সোনিয়াকে আরও কিছুদিন সভানেত্রীর দায়িত্ব সামলানোর জন্য অনুরোধ করা হয় এবং তিনি তা স্বীকার করেছেন। সম্ভবত আগামী ৬ মাসের মধ্যে পরবর্তী বৈঠক ডাকা হবে। সেখানেই নতুন সভাপতি নির্বাচন করা হবে। ততদিন সোনিয়া অন্তর্বর্তী সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন’। অভ্যন্তরীণ সঙ্কটের মধ্যে গতকাল পরবর্তী দলীয় সভাপতি বেছে নিতে বৈঠকে বসেছিল ওয়ার্কিং কমিটি। সোনিয়া গান্ধী অন্তর্বর্তী সভাপতির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চাওয়ার জেরে পরবর্তী সভাপতি মনোনয়নই মূল আলোচ্য বিষয় ছিল। তবে সু-নেতৃত্বের অভাব এবং দলের সাংগঠনিক সমস্যা তুলে ধরে চিঠি পাঠানো দলের ২৩ জন শীর্ষ নবীন-প্রবীণ নেতাকে তীব্র আক্রমণ করেন প্রাক্তন সভাপতি ও সোনিয়া-পুত্র রাহুল গান্ধী। তার মন্তব্য, ‘ওঁদের অনেকের সঙ্গেই বিজেপি’র যোগ রয়েছে’। চিঠি লেখা নেতাদের উদ্দেশে প্রাক্তন সভাপতির আরও তোপ ছিল, সোনিয়া গান্ধী ‘অসুস্থ থাকার সময়’ ওই ‘চিঠি’ পাঠানো হয়েছিল। রাহুলের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন গুলাম নবি আজাদ এবং কপিল সিব্বল।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রাহুলের মন্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করে ‘বিজেপি’-যোগ প্রমাণিত’ হলে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন রাজ্যসভায় কংগ্রেসের নেতা গুলাম নবি আজাদ। টুইট করে হতাশা ব্যক্ত করেন আরও এক বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা ও আইনজীবী কপিল সিব্বল। যদিও বিতর্ক বাড়ার পর সিব্বলের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেন রাহুল গান্ধী। এরপরই নিজের আগের টুইট ‘প্রত্যাহার’ করছেন বলে ফের টুইট করেন সিব্বল। লেখেন, ‘রাহুল গান্ধী ব্যক্তিগতভাবে জানিয়েছেন, ওই মন্তব্য তিনি করেননি। তাই আগের টুইট প্রত্যাহার করছি’।
এদিকে, এদিন সিডবিøউসি’র বৈঠকের শুরুতেই সোনিয়ার নেতৃত্বের প্রতি দলের পূর্ণ আস্থা রয়েছে বলে জানান প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি। দিনের শেষেও সোনিয়ার নেতৃত্বের উপরে আস্থা প্রকাশ করেছেন তারা।
এদিতে ২৩ সিনিয়র নেতার চিঠির পাল্টা চিঠি লিখে গান্ধী পরিবারের প্রতি তাদের আস্থা ব্যক্ত করেছেন বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী, ৫০ জনের বেশি সংসদ সদস্য এবং ৫শ’রও বেশি বিধায়ক। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া, নিউজ১৮ ও সংবাদ প্রতিদিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।