Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতে সংখ্যালঘুরা নিপীড়নের শিকার

ডয়েচে ভেলেকে অমর্ত্য সেন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ আগস্ট, ২০২০, ১২:০০ এএম

ভারতকে প্রতিনিয়ত পেছনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। দেশটির গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপের দিকে যাচ্ছে উল্লেখ করে সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। তিনি বলেন, ভারতে সংখ্যালঘুরা প্রতিনিয়ত মোদি সরকারের নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। এ বিষয়ে সরকারের সমালোচনা করলে, হয়রানি ও জেলে যেতে হয়।

জার্মানির সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলের সাথে এক সাক্ষাৎকারে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে এমন কঠোর সমালোচনা করেন অমর্ত্য সেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসন ব্যবস্থায় নীতি ও ন্যায়ের কতটা প্রয়োগ হচ্ছে, বিশেষ করে সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যবশত একদমই হচ্ছে না। আপনি যদি ভারতের সংখ্যালঘুদের দিকে তাকান, তবে দেখবেন গত কয়েক বছরে তারা খুবই কঠিন সময় পার করছেন। দেশ এখন সংখ্যাগরিষ্ঠদের সরকার দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু তাতে তো কোনো পার্থক্য হওয়ার কথা না। দেশে অন্য ধর্মের মানুষদের তুলনায় হিন্দু বেশি। এটা যদি সংখ্যালঘুদের দমনে ব্যবহার করা হয়, তাদের মত প্রকাশ করতে না দেয়া হয়, সব জায়গায় তাদের বঞ্চিত করা হয়, সেটা ঠিক হবে না। কিন্তু সেটাই হচ্ছে, যেমনটা স¤প্রতি বাবরি মসজিদের ক্ষেত্রে হয়েছে বা কাশ্মীরসহ আরো অন্যান্য বিষয়ে হয়েছে।

অমর্ত্য সেন বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতে জীবনযাত্রার মান বদলেছে, সেটা কেউই অস্বীকার করতে পারবে না। এটা ঠিক, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফলে সমাজে সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে। কিন্তু দারিদ্র্য দূরীকরণে সেই সম্পদের ব্যবহার সঠিকভাবে হয়নি।

মৌলিক শিক্ষা ও মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা খাতে ভারত এখন বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে পড়েছে বলে মনে করেন এ অর্থনীতিবীদ। তিনি বলেন, এক সময় নানা খাতে বাংলাদেশ ভারতের চেয়ে পিছিয়ে ছিল। এখন তারা ভারতের চেয়ে অনেক ক্ষেত্রে ভালো করছে। অমর্ত্য সেন বলেন, এখন আমরা খুবই দুর্ভাগা রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছি। ভারতে বুদ্ধিজীবীদের একটি বড় অংশ রাষ্ট্রের ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাদের সেটা করতে দেয়া হচ্ছে না। সরকারের বিরোধিতা করলে বিভিন্ন অজুহাতে জেলে ঢোকানো হচ্ছে।

অমর্ত্য সেন তার লেখা বই ‘দ্য আইডিয়া অব জাস্টিস’ এ নীতি ও ন্যায় ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলেছেন। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বাংলাদেশের পোশাক খাত সঙ্কটে পড়েছে। এক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে শ্রমিকদের রক্ষায় সরকারের কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত ছিল-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে ইউরোপ বা দক্ষিণ এশিয়ার দেশ সবার জন্য সমাধানের পথ একটাই। প্রচুর পরীক্ষা, ব্যাপকভাবে কন্টাক্ট ট্রেসিং করা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। বাংলাদেশের পোশাক খাতেও এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত ছিল। তারা হার্ড ইমিউনিটি গড়ে ওঠার মতো ব্যবস্থার দিকে গেছে। বাস্তবে যেটা কাজে আসেনি। সূত্র : ডয়েচে ভেলে।



 

Show all comments
  • AK aman ২০ আগস্ট, ২০২০, ২:০৬ এএম says : 0
    this is fact
    Total Reply(0) Reply
  • Md Rejaul Karim ২০ আগস্ট, ২০২০, ৮:৪৭ এএম says : 0
    আর কত নির্যাতিত হবে সংখ্যালঘু মুসলমানেরা??? পৃথিবীর কোন কিছুই আল্লাহর নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয়।।। অত্যাচারী জুলুমকারী নির্যাতনকারী চিরকাল বেচে ও থাকে না।।। সারাটিজীবন মানুষের অভিশাপ নিয়ে মৃত্যুবরণ করতে হয়।। বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর সকল দেশেই আতংকিত ।। এটি কি সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কৃতকর্মের ফলাফল নয়।।।। ভেবে দেখা দরকার আমরা কতটা সংশোধিত হয়েছি!!!
    Total Reply(0) Reply
  • Md Shihab uddin ২০ আগস্ট, ২০২০, ৮:৫৯ এএম says : 0
    এমন নিরপেক্ষ কথা বলার মানুষ এখন পাওয়া কঠিন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ