মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
লেবাননে সরকারবিরোধী তীব্র বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। ক্রমেই বাড়ছে বিক্ষোভের উত্তাপ। সোমবারও ফের রাজপথে নামে বিক্ষুব্ধ লেবানিজরা। রাস্তায় রাস্তায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘাতে জড়াচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে খোদ পার্লামেন্ট ভবনের সামনে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেছে একদল বিক্ষোভকারী। দেশের ভেতর থেকেই প্রকাশ্যে বিদেশি হস্তক্ষেপের আহবান জানানো হচ্ছে। এমন আহবানে সমর্থন দিচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকারের ভেতরেই অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন ৯ জন এমপি এবং দুই জন প্রভাবশালী মন্ত্রী। আগাম নির্বাচনের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব। তারপরও বিক্ষোভকারীদের নিবৃত্ত করা যাচ্ছে না। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে-র খবরে বলা হয়েছে, কার্যত বিদ্রোহ শুরু হয়ে গিয়েছে বৈরুতে। গত শুক্রবার থেকে লেবাননের রাজধানী শহরে রাজপথের দখল নিয়েছে সাধারণ মানুষ। তাদের মুখে একটাই স্লােগান, বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে। কারণ, লেবাননের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে তারা। মানুষের নিরাপত্তা দিতেও তারা ব্যর্থ হয়েছে। শুক্রবারের পর শনি ও রবিবারও বৈরুতে দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে জনতার খন্ডযুদ্ধ হয়েছে। সরকারবিরোধী আন্দোলন বেশ কিছুদিন আগেই শুরু হয়েছিল বৈরুতে। দেশের সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত, এই অভিযোগে গত বছর আন্দোলনে নামে তরুণরা। করোনা-কালে প্রাথমিকভাবে আন্দোলন কিছুটা স্তিমিত হয়েছিল। কিন্তু অনেকের চাকরি চলে যাওয়ায় করোনাকে উপেক্ষা করেই ফের রাস্তায় নামে সাধারণ মানুষ। তবে গত মঙ্গলবার যে ঘটনা ঘটেছে তারপর কার্যত ছোটখাট বিচ্ছিন্ন আন্দোলনগুলো বড় আকারে রূপ নিয়েছে। মঙ্গলবার বৈরুত বন্দরের একটি গুদামে বিস্ফোরণ হয়। ওই গুদামে বিপুল পরিমাণ অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট রাখা ছিল। তার থেকেই বিস্ফোরণ হয়। কার্যত গোটা বৈরুত শহর কেঁপে ওঠে। দিকে দিকে বাড়িঘর ধসে পড়তে শুরু করে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ছয় হাজার। গৃহহীন হয়ে পড়েছে তিন লাখ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে ফের সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেমে পড়েছে সাধারণ মানুষ। মুখে লেবাননের পতাকা রঙের মাস্ক পরে তারা দিকে দিকে সরকারবিরোধী স্লােগান দিচ্ছে। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ছে। আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে বিভিন্ন সরকারি অফিসে। রবিবার পার্লামেন্টের সামনে তৈরি পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশও বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে পাল্টা কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। তবে আন্দোলনকারীদের কোনওভাবেই থামাতে পারছে না পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, সরকারকে এখনই গদি ছাড়তে হবে। নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে বিপ্লব করতে হবে। ডয়চে ভেলে, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।