Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নোয়াখালীতে যুবতীকে গলাটিপে ছুরিকাঘাতে হত্যা

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৮ আগস্ট, ২০২০, ৫:৫৬ পিএম

হাতিয়ায় উপজেলায় কুলছুমা বেগম (২২) নামের এক যুবতীকে গলাটিপে ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় আব্দুল্যা আল নোমান হৃদয় (২৪) নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। যুবক হত্যার ঘটনায় ৮জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার দুপুরে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। নিহত কুলছুমা বেগম হাতিয়ার ছানন্দী ইউনিয়নের রুসুলপুর গ্রামের জিয়াউল হকের মেয়ে এবং আব্দুল্যা আল নোমান হৃদয় চৌমুহনী পৌরসভার মিয়ারপুল এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, মিয়ারপুল এলাকার সোহাগ, নাঈম, জাহাঙ্গীর আলম, জাবেদ হোসেন, বেলাল হোসেন, জাহিদ হাসান জীবন, জহির উদ্দিন ও ইমরান হোসেন।

হাতিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, পারিবারিক বিষয় নিয়ে শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে বড় ভাই সফি আলম (২৫) এর সাথে বাকবির্তকে জড়িয়ে পড়েন কুলছুমা বেগম। এর একপর্যায়ে কুলছুমাকে কিল-ঘুষি মেরে গলা চেপে ধরে সফি আলম। এতে শ^াসরোধ হয়ে মারা যায় কুলছুমা। পরে সফি আলম কুলছুমার লাশ পাশ^বর্তী পুকুরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার মিয়ার পোল এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আব্দুল্যা আল নোমান হৃদয় নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে পাশ^বর্তী একটি পুকুরে গোসল করতে যায় নোমান। এসময় তাকে ওই পুকুরে গোসল করতে বাঁধা দেয় সোহাগ নামের এক যুবক। এনিয়ে তাদের মধ্যে বাকবির্তক ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে দুপুর ২টার দিকে সোহগসহ কয়েকজন যুবক নোমানের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে মারধর ও পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। আশংকাজনক অবস্থায় পরিবারের লোকজন নোমানকে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে শনিবার ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়ছে। ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুল্যা আল মামুন রাজু বাদী হয়ে ১০জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। রাতে অভিযান চালিয়ে ৬জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুই আসামী পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হত্যা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ