Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিতর্কের মধ্যেই মোদি যাচ্ছেন অযোধ্যায়

ভোট জেতাই লক্ষ্য

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ আগস্ট, ২০২০, ১২:০০ এএম

ভারতে করোনা মহামারি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিজেপির অনেক নেতাকর্মীর মতোই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। নিয়ম অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও আইসোলেশনে থাকার কথা। কিন্তু কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বিতর্কিত রামমন্দিরের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করতে আজ বুধবার অযোধ্যায় যাচ্ছেন তিনি।

সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন রাম জন্মভ‚মি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের মহাসচিব চম্পত রায়। করোনাসহ বিভিন্ন সঙ্কটে দিশেহারা ভারতে রামমন্দির নিয়ে এই তড়িঘড়ির পেছনে ভোটের রাজনীতিই কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতে প্রতিদিন যেখানে গড়ে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, সেখানে এমন নির্মাণ কাজের রাজকীয় উদ্বোধন কতটা যুক্তিসঙ্গত, তা নিয়ে বিতর্ক থামছে না। অযোধ্যা যে রাজ্যে অবস্থিত, সেই উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের মন্ত্রিসভার এক সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, আর এক সদস্যও আক্রান্ত। রামমন্দিরের এক পুরোহিত এবং সেখানে নিযুক্ত একাধিক পুলিশকর্মীর করোনা ধরা পড়েছে, তারপরও সংক্রমণের আশঙ্কাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গতকাল অযোধ্যায় ভ‚মিপূজনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছেন যোগী। শুধু তাই নয়, সেখানে দাঁড়িয়েই সমালোচনা করেছেন বিরোধীদের।

করোনা সঙ্কটের মধ্যে রামমন্দিরের ভ‚মিপূজা নিয়ে প্রশ্ন অবশ্য আগেও উঠেছে, কিন্তু যোগী বারবারই দাবি করেছেন, ভ‚মিপূজার এটাই মাহেন্দ্রক্ষণ। এ দিন সিপিএম অবশ্য ভূমি পূজাকেই আদালত ও সংবিধানবিরোধী বলে সমালোচনা করেছে। তাদের বক্তব্য, রামমন্দির নির্মাণের দায়িত্ব একটি ট্রাস্টকে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেখানে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন ও কেন্দ্রীয় সরকারের এ অতি-সক্রিয়তা আদালতের রায় ও সংবিধান বিরোধী। কেন্দ্র যেখানে করোনা সংক্রমণের সময়ে ধর্মীয় সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেখানে এমন রাজকীয় আয়োজন মানুষের স্বাস্থ্যকেই প্রশ্নের মুখে ফেলবে বলে আশঙ্কা বাম দলের।

ইতিমধ্যে চারমাস পিছিয়ে গিয়েছে এ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন। ভারত যখন করোনা, চীনের সাথে সংঘর্ষ আর প্রবল অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে এবং মন্ত্রিসভার দু’নম্বর অমিত শাহ করোনায় আক্রান্ত, সে ক্ষেত্রে আরও কিছুদিন পেছালেও তেমন কোন ক্ষতি হতো না। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ মন্দিরের সঙ্গে হিন্দুত্বের আবেগ এবং বিজেপির উত্থান গভীরভাবে জড়িত। সঙ্ঘ পরিবার এবং বিজেপি ভালো মতোই জানে যে, এখন থেকে মন্দির তৈরির কাজ শুরু হলে তিন থেকে সাড়ে তিন বছর পরে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগেই তা শেষ করা সম্ভব হবে। তখন নির্বাচন ঘোষণার আগে ধূমধাম করে মন্দিরের উদ্বোধন করলে ভোটের মুখে দেশজুড়ে হিন্দুত্বের জিগির তোলা সম্ভব হবে। এ মন্দিরের সঙ্গে জড়িত সঙ্ঘের নাড়িও। এ সমীকরণ জানেন বলেই বিজেপি ও মোদি যে কোন মূল্যে এ অনুষ্ঠান আয়োজনে মরিয়া হয়ে পড়েছে। সূত্র : টিওআই, এবিপি।



 

Show all comments
  • রিমন ৫ আগস্ট, ২০২০, ৮:৪০ এএম says : 0
    এটা আমাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে
    Total Reply(0) Reply
  • সুফিয়ান ৫ আগস্ট, ২০২০, ৮:৪০ এএম says : 0
    ধর্ম আর মুসলিম বিদ্বেষ কে পুঁজি করে মোদি আবারও ক্ষমতায় আসতে চায়
    Total Reply(0) Reply
  • খলিল ৫ আগস্ট, ২০২০, ৮:৪১ এএম says : 0
    ভারতের জনগণ যে কবেই মোদিকে বুঝতে পারবে সেটাই দেখার অপেক্ষায় রইলাম
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ