Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এনআরসি নিয়ে আসামে আবার বিক্ষোভ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ আগস্ট, ২০২০, ১২:০০ এএম

ব্যবধান পাঁচ মাসের। এরপরই আবার ভারতের আসাম রাজ্যের ডিব্রুগড়ে শুরু হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ। আবারও অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়নের (আসু) কয়েকশ নেতাকর্মী রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন। করোনাভাইরাসের কারণে মার্চের শুরুতে রাজ্যজুড়ে স্থগিত করা হয় বিক্ষোভ। এখন আবার নতুন করে শুরু হয়েছে। আসুর সদস্যরা চৌকিডিঙ্গি থেকে র‌্যালি শুরু করেন এবং তা শহরের বড় বড় সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর তারা অগ্রসর হয় ডিব্রুগড়ে মানকোটা সড়কের পাশে লক্ষীনগর এলাকায় মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালের বাসভবনের দিকে।

কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে সামান্য দূরে সব মোটরসাইকেল আরোহীকে থামিয়ে দেয়া হয়। এ সময় নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়া শুরু করেন আসুর সদস্যরা। ঘটনার আকস্মিকতায় বিহ্বল হয়ে পড়েন নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা। তারা দ্রুত মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির চারপাশে ‘প্রোটেকটিভ রিং’ বা সুরক্ষা বলয় গড়ে তোলেন। আসুর সদস্যরা স্লোগান দিতে থাকেন ‘আমি নামানু’ (অর্থাৎ আমরা সিএএ মানব না), ‘সর্বানন্দ সনোয়াল মুর্দাবাদ’ ‘নরেন্দ্র মোদি মুর্দাবাদ’ ‘বিজেপি গো ব্যাক’ এবং ‘জয় আই আসাম’। প্রায় ২০ মিনিট এভাবে স্লোগান দিতে থাকেন তারা। এরপর বিক্ষোভকারীরা টিংখোংয়ের দিকে ফিরে যান।

আসু’র ডিব্রুগড় জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর জ্যোতি বড়ুয়া বলেছেন, নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে আমাদের বিক্ষোভ আবার শুরু হয়েছে। করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে আমরা বিক্ষোভ স্থগিত রেখেছিলাম মার্চের শুরু থেকে। এখন পূর্ণ শক্তি নিয়ে আমরা বিক্ষোভ করবো। যেমনটা আমরা আগেও বলেছি, ১৯৭১ সালের পরে আসামে প্রবেশ করা একজন বাংলাদেশি প্রবেশের দায়ও আসাম নেবে না। তাতে তিনি হিন্দু হোন বা মুসলিম হোন।

স¤প্রতি রিপোর্ট প্রকাশিত হয় যে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিএএ আইন তৈরিতে আর তিনমাস যুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে। এ রিপোর্টের প্রেক্ষিতে সিএএ বিরোধী ক্ষোভ আবার শুরু হয়েছে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।



 

Show all comments
  • প্রিয়সী ৫ আগস্ট, ২০২০, ১:২১ এএম says : 0
    সিএএর বিরুদ্ধে সারা ভারতবাসীর প্রতিবাদ করা উচিত
    Total Reply(0) Reply
  • রোমেল ৫ আগস্ট, ২০২০, ৮:৪৭ এএম says : 0
    নাগরিকত্ব সংশোধন আইন মূলত মুসলমানদেরকে ভারত থেকে বিতাড়িত করা আইন
    Total Reply(0) Reply
  • সোহেল ৫ আগস্ট, ২০২০, ৮:৪৯ এএম says : 0
    মোদি সরকারের এই স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত ভারতের জাতীয় ঐক্যকে বিনষ্ট করছে
    Total Reply(0) Reply
  • সাব্বির ৫ আগস্ট, ২০২০, ৮:৫০ এএম says : 0
    প্রতিবাদ অব্যাহত রাখতে হবে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ