নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কিছুটা কমতে থাকায় ধীরে ধীরে সচল হয়ে উঠছে বিশ্ব ক্রিকেট অঙ্গন। বাংলাদেশে এরমধ্যেই ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন অনেক ক্রিকেটারই। এবার হাই পারফরম্যান্স ইউনিট (এইচপি) চালু করার চিন্তা-ভাবনা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এইচপি দলকে শ্রীলঙ্কা সফরে পাঠানোর আলোচনা চলছে। আর এ কারণেই খেলোয়াড়দের অনুশীলনে ফেরানোর চিন্তায় আছেন বিসিবি কর্তারা। দেশে অনুশীলনের পাশাপাশি প্রয়োজনে শ্রীলঙ্কায় এইচপি দলের ক্যাম্প করার চিন্তাও করছেন তারা। শুধু তাই নয়, জাতীয় দলের খেলোয়াড় তৈরির বড় প্লাটফর্ম এই ইউনিটের প্রধান কোচ নিয়োগের কথাও মাথায় রেখেছে বিসিবি। গুরুত্বপূর্ণ এই ইউনিটের প্রধান কোচের পদটি প্রায় আট মাস ধরে শূন্য পড়ে আছে। গত বছর ডিসেম্বরে এইচপির প্রধান কোচ সাইমন হেলমট পারিবারিক কারণ দেখিয়ে বিসিবির সঙ্গে সাড়ে তিন বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করেন। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত কোচ নিয়োগ দিতে পারেনি দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি। অবশ্য করোনার আগ থেকেই এ বিষয়ে কাজ শুরু হলেও এখনও কোচ নিয়োগের ব্যাপারটি চূড়ান্ত হয়নি বলেই জানান হাইপারফরম্যান্স ইউনিটের চেয়ারম্যান নাঈমুর রহমান। বুধবার এইচপি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দুর্জয়ের সঙ্গে ছিলেন জাতীয় দলের দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন ও হাবিবুল বাশার এবং বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। সভা শেষে দুর্জয় বলেন, ‘আজ (বুধবার) মূলত কো-অর্ডিনেশন মিটিং হয়েছে। উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের এইচপি প্রোগ্রাম কিভাবে শুরু করা যায়। প্রধান কোচ নিয়োগের ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে। যদি আমরা শ্রীলঙ্কা যাই সেখানে ম্যাচ খেলবো, ট্রেনিং করবো। তার আগে তো আমাদের একটা প্রস্তুতির দরকার। সেটা তো এখান থেকেই শুরু করতে হবে। এটার সঙ্গে অভ্যস্থ হওয়ারও ব্যাপার আছে। সেটাও মাথায় আছে।’ তিনি যোগ করেন,‘দেশেও হতে পারে শ্রীলঙ্কাতেও হতে পারে এইচপি দলের ক্যাম্প। এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করব, তারা কিভাবে আয়োজন করতে পারে।’
করোনাকালে কিভাবে কাজ করলে ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত হবে, সে ব্যাপারেও সভায় আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন এইচপি কমিটির চেয়ারম্যান দুর্জয়। তার কথায়,‘কোনো কিছুই আগের মতো নেই। তারপরও আমাদের প্রোগ্রাম কিভাবে শুরু করা যায় সে ব্যাপারে ভাবতে হবে। কারণ একাডেমির ওখানে যদি ট্রেনিং ক্যাম্প শুরু করি সেখানে খেলোয়াড়দের থাকা (অ্যাকোমোডেশন), তাদের খাওয়া (ক্যাটারিং), স্বাস্থ্যবিধি এসব ব্যাপার জড়িত। কিভাবে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা করা যায়, সে ব্যাপারে আমরা চিন্তাভাবনা করছি।’ দুর্জয় আরো বলেন,‘ করোনাকাল শুরু হওয়ার আগে এইচপির প্রধান কোচ নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন থাকলেও করোনার কারণে তা থেমে আছে। এই মুহূর্তে বিসিবি করোনার আগে তৈরি করা সংক্ষিপ্ত তালিকা যাচাই-বাছাই করে দ্রæততম সময়ের মধ্যে প্রধান কোচ নিয়োগ করতে চাইছে।’
প্রধান কোচ হিসেবে চম্পকা রামানায়েকের নাম শোনা যাচ্ছে অনেকদিন ধরেই। করোনার ঠিক আগে আগে এই পদটা তার জন্য অনেকটাই নিশ্চিত ছিল। কিন্তু করোনা মহামারির পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কান কোচ আগের অবস্থানে আছেন কি না সে ব্যাপারে সন্দিহান বিসিবি। তাই খুব শিগগিরই রমানায়েকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে বলে বিসিবি সূত্রে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।