নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অনেকটা অনুমিতই ছিল- এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হচ্ছে না। করোনা মহামারির বৈশ্বিক পরিস্থিতি এখন যে অবস্থায় আছে, তাতে এমন একটা বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করা অবাস্তব, এমন শঙ্কা ছিল খোদ স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডেরই। শেষ পর্যন্ত হলো-ও তাই। গতকাল আইসিসির এক সভা শেষে চূড়ান্তভাবে জানানো হয়েছে, এ বছর আর হচ্ছে না টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
এ বছর ১৮ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা অস্ট্রেলিয়ায়। এরপর আগামী বছর আরও একটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ভারতে। তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এ বছরের টুর্নামেন্টটা শেষ পর্যন্ত হবে কি না, এই প্রশ্নটা বড় হয়ে উঠেছিল গত কয়েক মাসে। আইসিসির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে কিছুদিন সময় চেয়েছিল। সেই সিদ্ধান্তটাই অবশেষে এসেছে কাল।
করোনা পরিস্থিতিতে স্থগিত হয়ে যাওয়া এই টুর্নামেন্টের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আইসিসির বড় ইভেন্টগুলোর সূচি নতুন করে ঠিক করা হয়েছে এদিনের সভায়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা হবে আগামী বছর অক্টোবর-নভেম্বরে, ১৪ নভেম্বর ২০২১ ধরা হয়েছে ফাইনালের সম্ভাব্য তারিখ। এরপর পরের বছর (২০২২) একই সময় হবে আরও একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, যেটির ফাইনাল হতে পারে ১৩ নভেম্বর। আর ভারতে হতে যাওয়া ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফেব্রুয়ারি-মার্চ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ওই বছর অক্টোবর নভেম্বরে। ওই টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে ২৬ নভেম্বর।
সম্প্রতি মেলবোর্নে পরিস্থিতি একটু অবনতি হওয়ায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে, তবে সামগ্রিকভাবে অস্ট্রেলিয়ার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বেশ নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু এত বড় টুর্নামেন্টকে ঘিরে যে প্রস্তুতি ও বিশাল কর্মযজ্ঞ, সেটি ক্রমশ হয়ে উঠছিল কঠিন। অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার অবস্থা বেশ নাজুক। বৈশ্বিক ভ্রমণ পরিস্থিতিও সহসাই স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ১৬ টি দলকে অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে যাওয়া, ‘জীবাণুমুক্ত’ পরিবেশ তৈরি করা ও আনুষঙ্গিক আরও অনেক কিছু সময়ের বাস্তবতায় প্রায় অসম্ভব।
তবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় মেয়েদের বিশ্বকাপ আপাতত সূচি অনুযায়ী আয়োজনের প্রস্তুতি চলতে থাকবে বলে জানিয়েছে আইসিসি। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তীতে নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।