Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিএসএফ’র অভিযোগ প্রত্যাখ্যান, বিজিবির কড়া প্রতিবাদ

প্রসঙ্গ সীমান্তে গরু পাচার

| প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম

ভারতীয় পত্রিকায় বিএসএফ-এর বরাত দিয়ে গরু পাচারে বিজিবির সমর্থনের অভিযোগ সংক্রান্ত খবর প্রত্যাখান করেছে বিজিবি সদর দফতর। গতকাল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়।

গণমাধ্যমে পাঠানো বিজিবির প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়, গত ১৩ জুলাই দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রস পত্রিকায় ‘বিএসএফ : বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সাপোর্ট ক্যল স্মাগলিং’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদে গত ৬ জুলাই বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি এস এস গুলেরিয়া স্বাক্ষরিত হিন্দি ভাষায় লিখিত বিবৃতির কথা উল্লেখ করে বলা হয়, বিএসএফ দাবি করছে ভারত থেকে গরু পাচারে বিজিবি সম্পূর্ণভাবে সমর্থন জানাচ্ছে।
বিজিবির কথা, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ ও বিবৃতিটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। প্রকৃতপক্ষে ভারতীয় চোরাকারবারীদের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকায় ভারতের মাটিতে গরু সমাগম ও নদীপথে গরু পাচারে বিএসএফ এর নিষ্ক্রিয়তা/তৎপরতার অভাব নিঃসন্দেহে বিভিন্ন প্রশ্নের অবতারণা করে। ভারতীয় গরু পাচারকারীরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় বাংলাদেশে এভাবে গরু পাচার করার কাজে অতি উৎসাহী হয়।

ভারতীয় পাচারকারীদের কারনে বাংলাদেশের খামারিরা প্রায়ই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ প্রেক্ষিতে গরু চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি অত্যন্ত কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। মূলত গরু চোরাচালান প্রতিরোধে বিএসএফ তাদের ব্যর্থতা আড়াল করতেই ভারতীয় গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশ হতে পারে। আর এমন মন্তব্য করে বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হয়, ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টে আরও বলা হয়- চলতি জুলাই মাসের শেষে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গরু চোরাচালান বেড়েছে। অর্থাৎ গরু পাচারের পিছনে ধর্মীয় কারণের উপস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে কোরবানির ঈদে পশুর চাহিদার কথা উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্য মতে জানা গেছে, বিগত বছরে ১ কোটির সামান্য কিছু বেশি পশু কোরবানির জন্য সারাদেশে ব্যবহৃত হয়েছে। এবছর বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে ধারণা করা হচ্ছে এ সংখ্যা ১ কোটির কিছু কম হবে। আসন্ন কোরবানির ঈদের জন্য দেশে ১ কোটি ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০টি পশু মজুদ রয়েছে যা প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত। তাই দেশীয় খামারীরা যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সে জন্য বিদেশী গরু হতে নির্ভরশীলতা কমিয়ে দেশীয় খামার থেকেই কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণ করা হবে। এ প্রেক্ষিতে বিজিবি দেশের সীমান্তে গবাদি পশু চোরাচালানরোধে কঠোর নজরদারী বৃদ্ধি করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, সংবাদে বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার এর ডিআইজি এস এস গুলেরিয়ার বিবৃতির উদ্বৃতি দিয়ে প্রাণীগুলোকে পরম যত্মের সঙ্গে লালন-পালন এবং কোরবানি ঈদের নামে উৎসর্গ করে জবাই করার অর্থ হলো নির্যাতন করার কথা বলা হয়।

বিজিবি স্পষ্ট করে বলছে, ওই ধরনের মন্তব্য ও কথা ইসলাম ধর্মের বৃহত্তর ধর্মীয় উৎসব ‘ঈদ-উল-আজহা’র জন্য অবমাননাকর এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত হানার সামিল।
ঈদ-উল-আজহার দিন মুসলিম বিশ্ব পশু কোরবানির মাধ্যমে কুপ্রবৃত্তি বিসর্জন করে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে থাকে। গরীব অসহায়দের মাঝে গোশত বিলিয়ে সোহার্দ্যের উদাহরণ তৈরী করে যা ইসলাম ধর্মে আত্মত্যাগের অন্যতম নিদর্শন।- প্রেস বিজ্ঞপ্তি

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ