Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দিল্লির দাঙ্গায় মুসলমানদের রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে সরকার : ডিএমসি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০২০, ১:০২ পিএম

ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) পাস নিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভের পাশাপাশি রাজধানী দিল্লিতে যে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছিল তাতে ভারতের ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিশেষ করে মুসলমানদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে দেশটির পুলিশ। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় ভারত সরকারের নিয়োজিত কমিশন জানিয়েছে, কয়েক দশকের মধ্যে দিল্লিতে এ নজিরবিহীন ধর্মীয় দাঙ্গায় অন্তত ৫৩ জন নিহত হয়েছে, যার অধিকাংশই মুসলিম ধর্মাবলম্বী। এছাড়া আহত হয়েছে আরো দুই শতাধিক মানুষ। খবর রয়টার্স।

দ্য দিল্লি মাইনরিটিজ কমিশন (ডিএমসি) প্রতিবেদনে বলেছে, দাঙ্গায় মুসলিমদের বাড়িঘর, দোকান ও যানবাহন চিহ্নিত করে ধ্বংস করা হয়েছে। বিশেষ করে রাজধানীর উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মুসলিমরা ধর্মীয় দাঙ্গাবাজদের শিকার হন। সব মিলিয়ে ১১টি মসজিদ, পাঁচটি মাদ্রাসা কিংবা ধর্মীয় বিদ্যালয়, একটি মাজার এবং একটি কবরস্থান হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। গত বৃহস্পতিবার কমিশনের একটি দলের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। একই সঙ্গে প্রতিবেদনে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষায় বেশকিছু সুপারিশও করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সব দিক বিবেচনায় মনে হয়েছে যে প্রতিবাদকারীদের থামিয়ে দিতে প্রশাসন ও পুলিশের সহযোগিতায় সিএএ-পন্থীরা প্রতিশোধমূলক পরিকল্পনা করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল মূলত ব্যাপক মাত্রায় সহিংসতা ছড়িয়ে দেয়া। দেখা গেছে, মুসলমানরা সহিংসতায় সব থেকে বেশি আক্রান্ত হলেও পুলিশ তাদেরই অভিযুক্ত ও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।
তবে দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র অনিল মিত্তাল এ অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, পুলিশ সর্বতোভাবে নিরপেক্ষ অবস্থানে ছিল। তিনি জানান, দিল্লি পুলিশ সব মিলিয়ে ৭৫২টি প্রাথমিক তথ্য প্রতিবেদন ও দুই শতাধিক অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। এছাড়া দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি। পাশাপাশি তিনটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে, যেগুলো এখন পর্যন্ত অভিযোগ গ্রহণ করছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ