Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজস্থানে আস্থাভোটের দাবি থেকে ইউটার্ন বিজেপির

সচিন পাইলট ষড়যন্ত্র ব্যর্থ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম

রাজস্থানে সচিন পাইলটের বিদ্রোহ নিয়ে বিজেপির ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়ে গেছে, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এসেছে নাটকীয় পরিবর্তন। আর ঠিক সেই কারণেই আস্থাভোটের দাবি থেকে পিছিয়ে এল বিজেপি শিবির। গতকাল সকালে রাজস্থানের রাজনৈতিক নাটকে বড়োসড়ো মোড় আসে। যাকে নিয়ে যাবতীয় হট্টগোল, সেই সচিন পায়লট জানিয়ে দেন, তিনি বিজেপিতে যাচ্ছেন না। এমনকি তিনি এখনও পুরোপুরি কংগ্রেসেই রয়েছেন বলে জানিয়ে দেন সচিন। ঠিক তখন থেকে বরফ গলা শুরু।

সূত্রের খবর, সচিনের পক্ষে কোনো বিধায়কই আর প্রায় নেই। আর অন্য দিকে গেহলত শিবির ১০৬ জন বিধায়ককে নিজেদের দিকে টেনে আনতে পেরেছে। অর্থাৎ, আস্থাভোট হলে গেহলতের জিতে যাওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। এর পরেই বিজেপি জানিয়ে দেয়, তারা এখনও অপেক্ষা করারই পক্ষপাতী। এ বিজেপিই মঙ্গলবার পর্যন্ত আস্থাভোটের দাবিতে সরব হয়েছিল।

রাজস্থানের বিরোধী দলনেতা গুলাব চন্দ কাটারিয়া বলেন, ‘আমরা মনে করছি যে, এখনই এর (আস্থা ভোট) কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাব’।
মঙ্গলবার পর্যন্ত ঠিক ছিল বুধবার সকাল দশটায় সাংবাদিক সম্মেলনে আসবেন সচিন পাইলট। সেই সম্মেলনে বড়োসড়ো কোনো ঘোষণারও ইঙ্গিত ছিল স্পষ্ট। সেই আন্দাজে রাজস্থানের ঢোলপুর জয়পুরে ডেকে পাঠানো হয় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়াকেও। কিন্তু সাংবাদিক সম্মেলনটি বাতিল হয়ে যাওয়ায় বসুন্ধরার জয়পুর আসাও বাতিল হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, রাজস্থান আর মধ্যপ্রদেশের মধ্যে একটি বিস্তর ফারাক হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস বিজেপির থেকে মাত্র দু’টি আসনে এগিয়ে ছিল। ফলে সেখানে বিধায়ক ভাগিয়ে সরকার গঠন কোনো সমস্যারই ছিল না বিজেপির কাছে।

কিন্তু রাজস্থানে এই ফারাকটি ৩৫টা আসনের। সূত্রের খবর, পাইলট যদি এত সংখ্যক বিধায়ককে বিজেপির দিকে ভাগিয়ে নিয়ে না আসতে পারেন, তা হলে গেরুয়া শিবিরে তিনি স্বাগত নন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিল বিজেপি।
সূত্রের খবর, পর্যাপ্ত সংখ্যক বিধায়ক সচিনের পক্ষে নেই, এটা তিনি বুঝতে পেরেছেন। পাশাপাশি গত কয়েক দিন ধরেই তার সঙ্গে একাধিক কংগ্রেস নেতা কথা বলে চলেছেন। এর পরেই বিজেপিতে যোগ দেয়ার যাবতীয় জল্পনা উড়িয়ে দেন সচিন। সূত্র : খবর অনলাইন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ