মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনা প্রতিরোধে সম্ভাব্য দুই ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে ভারতে। প্রায় এক হাজার স্বেচ্ছাসেবীর উপরে এই পরীক্ষা চালানো হবে। মঙ্গলবার ভারতের আইসিএমআর এই তথ্য জানিয়েছে। এদিকে, রাশিয়ার গামালেই ইন্সটিটিউট অফ এপিডেমোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজির পর এবার নিজেদের ‘করোনা ভ্যাকসিন’ সফল বলে ঘোষণা দিল মার্কিন গবেষণা সংস্থা মডার্না। প্রথম পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে এই সফলতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে তারা।
ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া ডিসিজিআই দু’টি মেডিসিনের মানবিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে। ভারত মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের সহযোগিতায় ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড একটি এবং অন্যটি জাইদাস ক্যাডিলা হেলথ কেয়ার লিমিটেডের তৈরি। প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়ালে যাওয়ার জন্য তাদেরকে অনুমতি দিয়া হয়েছে। দুই ভারতীয় ভ্যাকসিনেই ইঁদুর এবং খরগোশের ক্ষেত্রে সফল পরীক্ষা হয়েছে। এই তথ্যগুলি ডিসিজিআই-তে জমাও দেয়া হয়েছে। তারপরে জুলাইয়ের শুরুতে প্রাথমিক পর্যায়ে মানবিক পরীক্ষা শুরু করার বিষয়ে ছাড়পত্র দেয়া হয় দুটি ভ্যাকসিনকেই।
এ বিষয়ে আইসিএমআরের মহাপরিচালক বলরাম ভার্গব জানিয়েছেন, ‘ভারত বিশ্বের অন্যতম ভ্যাকসিন উৎপাদক দেশ। সেইমতোই তারা এগোচ্ছে। করোনভাইরাস সংক্রমণ রুখতে দ্রুত ভ্যাকসিন বিকাশের প্রক্রিয়া শুরু করা দেশ ‘নৈতিক দায়িত্ব’ বলে মনে করে। সেই কারণেই যে দুটি ভ্যাকসিনের বিকাশ হয়েছে, তা দ্রুত মানব দেহে পরীক্ষ করা শুরু হয়েছে। ভারত চায় যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকিসন আনতে। সেজন্য কোনও প্রচেষ্টাই বাদ রাখা হচ্ছে না।’ প্রসঙ্গত, আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে একটি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন চালু করার ব্যাপারে জানিয়েছিল মোদি সরকার। যার ফলে ভারতে ভ্যাকসিন পরীক্ষার তোড়জোড় শুরু হয়। তবে, অনেক বিশেষজ্ঞের বক্তব্য, এই ধরনের সময়রেখা বাস্তবসম্মত নয়।
এদিকে, আগামী ২৭ জুলাই মডার্নার ‘ভ্যাকসিনটি’র চ‚ড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা শুরু হবে। এই পরীক্ষায় সফল হলেই সেটিকে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। গত ১৬ মার্চ বিশ্বের প্রথম সংস্থা হিসেবে করোনা ভাইরাসের ‘ভ্যাকসিন’ মানুষের শরীরে প্রয়োগ করে মডার্না। মার্কিন সংস্থাটির দাবি, প্রথম পর্যায়ের সেই ট্রায়াল সফল হয়েছে। যাদের শরীরে এই ‘ভ্যাকসিন’ প্রয়োগ করা হয়েছিল, তাদের করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা আগের তুলনায় বেড়েছে। তাছাড়া যাদের উপর পরীক্ষা হয়েছিল, তাদের কারও শরীরেই তেমন গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। সামান্য মাথাযন্ত্রণা, বমিভাব, খিঁচুনি এবং ব্যাথা ছাড়া আর কোনও সমস্যাই দেখা যায়নি।
মডার্না’র আগেই অবশ্য রাশিয়ার গবেষকরা করোনার ‘ভ্যাকসিনের’ প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালের সাফল্য দাবি করেছেন। গত সপ্তাহেই মস্কোর সেচেনভ বিশ্ববিদ্যালয় দাবি করেছে, মানব শরীরে করোনার ‘ভ্যাকসিনের’ প্রয়োগ সফল হয়েছে। রাশিয়ার গামালেই ইন্সটিটিউট অফ এপিডেমোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি করোনার এই ‘ভ্যাকসিন’টি তৈরি করেছে। সূত্র : টিওআই, আনাদুলু এজেন্সি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।