মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাজস্থানে বিজেপির ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে অশোক গেহলটের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার। ক্ষমতাসীন দল ছেড়ে যাচ্ছেন ৩০ জন বিধায়ক- উপ-মুখ্যমন্ত্রী শচিন পাইলটের এমন দাবির কারণে কংগ্রেসে যেমন শঙ্কার মেঘ উঁকি দিয়েছিল তেমনি মোছে তা দিচ্ছিল বিরোধী বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী অশেক গেহলটের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন কংগ্রেসের তরুণ তুর্কি উপ-মুখ্যমন্ত্রী শচিন পাইলট। শুধু বিদ্রোহই নয়, তার বশংবদ বিধায়কদের নিয়ে রওনা করেন দিল্লি। বলা হয়, কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সাথে এ বিষয়ে একটা রফাদফা করবেন তারা। ওদিকে বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করার কথা চাউর হলে সম্ভাবনার কথা অস্বীকার করেননি পাইলট ঘনিষ্ঠরাও। সব মিলিয়ে এক গুমোট অবস্থার সৃষ্টি হয়।
গত মার্চেই কংগ্রেস ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেন মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের একদা মুখ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তার সঙ্গে দলত্যাগ করেন আরও ২২ কংগ্রেস বিধায়ক। এ দল বদলে সংখ্যালঘু কমল নাথ সরকারের পতন হয় সে রাজ্যে। এ রকম অবস্থা কি রাজস্থানেও আসন্ন?
ঘটনার ভয়াবহতা আঁচ করে অশোক গেহলট বিধায়কদের বৈঠকে ডাকেন। রোববার গভীর রাতে হওয়া ওই বৈঠকের পরেই কংগ্রেসের তরফে জানিয়ে দেয়া হয় যে, রাজস্থান সরকারের উপর কোনও সঙ্কটই ঘনীভ‚ত হয়নি। কমপক্ষে ১০০ জন কংগ্রেস বিধায়ক গেহলট সরকারকে সমর্থন দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। গতকাল সকালের বৈঠকে আরো নিশ্চিত হওয়া গেছে, অন্তত ১১০ জন বিধায়কের সমর্থন আছে কংগ্রেস সরকারের ওপর। ফলে অবস্থান বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
যদিও ঘরের ছেলে ঘরে থাকুক এমনটাই চায় কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাই কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালাও শচীন পাইলটের উদ্দেশে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে এই বার্তাও দেন যে, প্রয়োজনে একসঙ্গে বসে সব সমস্যা মেটানো হবে।
‘আমরা শচীন জি (শচীন পাইলট)সহ কংগ্রেসের প্রত্যেক বিধায়ককেই সম্মান করি। আর উনি তো আমার ঘরের ছেলে। একটি পরিবারের কোনও সদস্য যদি কোনওভাবে ক্ষুণœ হন তবে তিনি অবশ্যই তার মা, বাবা, কাকাদের সঙ্গেও এনিয়ে কথা বলবেন’ -বলেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা। রাজস্থানে কংগ্রেস শিবিরে সঙ্কট তৈরি হওয়ার খবর পেয়েই তা সামাল দিতে সুরজেওয়ালাকে জয়পুরে পাঠায় কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব।
এদিকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহে ঘোষণাকারী রাজস্থানের উপ-মুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট এনডিটিভি-কে জানিয়েছেন, তিনি ‘বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন না’। রোববার থেকেই জল্পনা জোরদার হয় যে, তিনি কংগ্রেস শিবির ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যাচ্ছেন। এমনকি সোমবার বিজেপি (বিজেপি) সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন কংগ্রেসের ওই তরুণ তুর্কী, এই খবরও ছড়ায়।
এদিকে শচীন পাইলটের বিদ্রোহে দল গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে রাজস্থান কংগ্রেস। জয়পুরে অশোক গেহলটের বাসভবনে এক বৈঠকের পর গভীর রাতে রাজস্থানের কংগ্রেস মুখপাত্র অবিনাশ পান্ডে জানান, ‘সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীকে উদ্দেশ করে লেখা একটি চিঠিতে দলের মোট ১০৯ বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের নেতৃত্বে রাজস্থান সরকারের প্রতি তাদের আস্থা ও সমর্থনের কথা জানিয়ে স্বাক্ষর করেছেন। পাশাপাশি আরও কয়েকজন বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন এবং তারা একথাও জানিয়েছেন যে তারাও সমর্থন জানিয়ে ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করবেন’।
২০০ আসন বিশিষ্ট রাজস্থান বিধানসভায় নির্বাচনের পর কংগ্রেসের ঝুলিতে আসে ১০৭টি আসন, সরকার গড়ার সময় ১২ জন নির্দল বিধায়কের সমর্থনও যায় কংগ্রেসের পক্ষেই। এছাড়াও রাষ্ট্রীয় লোকদল, সিপিএম এবং ভারতীয় ট্রাইব্যাল পার্টি অশোক গেহলটকে সমর্থন জানায়। ওদিকে রাজস্থান মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, দলের বিধায়কদের নাকি শিবির বদলের জন্য মাথা পিছু ১৫ কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়েছে বিজেপি।
অপরদিকে ভারতীয় জনতা পার্টির তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, রাজস্থানের পরিস্থিতির দিকে খুব কাছ থেকে নজর রাখছে তারা। গুঞ্জন উঠেছে, শচীন পাইলট নাকি বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করবেন। এই বৈঠকের সম্ভাবনার কথা অস্বীকার করেননি পাইলট ঘনিষ্ঠরাও। সূত্র : এনডিটিভি ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।