পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনী গণহত্যা চালাচ্ছে বলে দাবি করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। মুসলমানদের বিরুদ্ধে এ ধরনের গণহত্যার পরিণতির বিষয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেন তিনি। পাকিস্তানের ডন পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার কাশ্মীর ইস্যুতে ইমরান খান বলেন, কাশ্মীরের পরিস্থিতি ক্রমেই বিপর্যয়কর হয়ে উঠছে। সেখানে ভারতীয় সামরিক বাহিনী গণহারে মুসলমানদের হত্যা করছে। তিনি আরও বলেন, বসনিয়া-হার্জেগোভিনার সেব্রেনিৎসায় যেভাবে মুসলমানদের গণহারে হত্যা করেছিল সার্ব বাহিনী, ঠিক একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে কাশ্মীরি জনগণ। তিনি বলেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী কোনও ধরনের আইনের তোয়াক্কা না করে মানুষ হত্যা অব্যাহত রেখেছে। কাশ্মীরের মুসলমানদের হত্যার ক্ষেত্রে তাদেরকে কোনও ধরণের আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হচ্ছে না। ইমরান খান বলেন, কাশ্মীরে বর্তমানে ৮০ লাখ মানুষের জন্য ৮ লাখ সেনা মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। ৮০ লাখ মানুষকে তারা অবরুদ্ধ করে রেখেছে। এ কারণে গত প্রায় এক বছর ধরে কাশ্মীরিরা তাদের নিত্য দিনের মৌলিক চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। কাশ্মীরের জনগণ দীর্ঘদিন যাবৎ জনগণ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ইশতেহার বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসছে। নিরাপত্তা পরিষদের ইশতেহারে গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীর অঞ্চলের ভবিষ্যত নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ভারত সরকার জাতিসংঘের ইশতেহার বাস্তবায়ন করতে অসম্মতি জানিয়ে আসছে। এ কারণে ভারত সরকার এখন পর্যন্ত সেখানে গণভোট আয়োজন করেনি। প্রসঙ্গত, গত বছর ৫ আগস্ট দেশটির সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করে ভারতের নরেন্দ্র মোদির সরকার। এ নিয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিল ওই অঞ্চলটিতে। এই ঘোষণার আগে সেখানে ১৪৪ ধরা জারি করা হয়। একইসঙ্গে কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতাদের বন্দি করা হয়। দীর্ঘ ১৪৪ ধারা বজায় থাকার কারণে কাশ্মীরে মানবিক বিপর্যয় দেখা দেয়। এমনকি সেখানকার সাধারণ জনগণকে নির্যাতন করার অভিযোগও উঠেছে দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। ডন, পার্সটুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।