মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দেশের নাগরিকদের জন্য যথেষ্ট কর্মসংস্থান তৈরি করতে এ বার পদক্ষেপ নিল কুয়েত। বিদেশি তাড়াতে প্রবাসী কোটা বিলের খসড়া তৈরি করেছে দেশটির সরকার। কুয়েতের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ইতিমধ্যে এই বিল পাশ হয়ে গিয়েছে। বিলটি আইনে পরিণত হলে, প্রায় ৮ লাখ ভারতীয়কে কুয়েত থেকে বেরিয়ে যেতে হবে।
বিলটিকে ইতিমধ্যেই সাংবিধানিক সিলমোহর দিয়েছে কুয়েত ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির আইনসভা কমিটি। তাতে বলা হয়েছে, ভারতীয়রা যেন দেশের জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ অতিক্রম করতে না পারে। তা কার্যকর করতে কী কী পদক্ষেপ করা যেতে পারে, তা ঠিক করার জন্য ওই বিলটিকে খুব শীঘ্রই সংসদে প্রবাসী জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কমিটির কাছে পাঠানো হবে। সেখানে যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে, সেই মতোই এগোবে কুয়েত সরকার।
এ বিষয়ে গালফ নিউজের প্রতিবেদনে হয়েছে, এই মুহ‚র্তে কুয়েতের মোট জনসংখ্যা প্রায় ৪৩ লাখ। এর মধ্যে মাত্র ১৩ লাখ কুয়েতি নাগরিক। বাকি ৩০ লাখই বিভিন্ন দেশ থেকে সেখানে গিয়েছেন। এই প্রবাসী জনসংখ্যার ১৪ লাখ ৫০ হাজার আবার ভারতীয়। অর্থাৎ বর্তমানে কুয়েতে যত বিদেশি রয়েছেন, তাদের মধ্যে ভারতীয়দের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। তাই বিলটি আইনে পরিণত হলে সবার আগে সেখানে বসবাসকারী ভারতীয়দের উপরই বিপদ নেমে আসবে।
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম যে ভাবে কমছে এবং করোনা মহামারির ফলে যে ব্যাপক অর্থসঙ্কট দেখা দিয়েছে, তা সামাল দিতে বেশ কিছু দিন ধরেই বিদেশি সরানোর দাবি উঠছে কুয়েতে। মন্ত্রী আমলারা তো বটেই, গত মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ্ আল খালিদও এমনই দাবি তোলেন। দেশে প্রবাসী জনসংখ্যা ৭০ শতাংশ থেকে ৩০ শতাশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দেন তিনি।
ধাপে ধাপে তা কী ভাবে কার্যকর করা যায়, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে খুব শীঘ্র তার একটি খসড়া তারা পেশ করবেন বলে জানিয়েছেন স্পিকার মারজুক আল-ঘানেম। তবে প্রকৃত অর্থে কুয়েতি নাগরিক যারা, সেই ১৩ লাখ মানুষের একটা বড় অংশই অশিক্ষার অন্ধকারে রয়ে গিয়েছে। বিষয়টি তাদেরও ভাবাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আল ঘানেম। ভিসা দিয়ে বিদেশ থেকে ডাক্তার ও দক্ষ কর্মী নিয়োগের ফলেও এই সংখ্যাটা বাড়ছে বলে দাবি করেন তিনি।
কুয়েতে ভারতীয় দূতাবাস সূত্রে যে তথ্য সামনে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, এই মুহূর্তে কুয়েতে নার্স, ইঞ্জিনিয়ার এবং বিজ্ঞানী মিলিয়ে প্রায় ২৮ হাজার ভারতীয় সরকারি চাকরিতে নিযুক্ত রয়েছেন। বেসরকারি সংস্থায় নিযুক্ত প্রায় ৫ লাখ ২৩ হাজার মানুষ। তাদের পরিবার-পরিজন মিলিয়ে আরও ১ লাখ ১৬ হাজার ভারতীয় রয়েছেন সেখানে। কুয়েতের ২৩টি ভারতীয় স্কুলে প্রায় ৬০ হাজার ভারতীয় শিক্ষার্থী পাঠরত। এ ছাড়াও ব্যবসা-বাণিজ্যে যুক্ত রয়েছেন বহু মানুষ।
একদিকে, আমেরিকা এইচ১ই ভিসা বন্ধ করে দেয়ার ফলে নতুন করে ভারতীয়রা আর সেখানে গিয়ে কাজ করতে পারবেন না। এ বার যদি কুয়েত থেকে বিতাড়িত হতে হয়, তাহলে ভারতে এসে পড়বে আরও শ্রমশক্তি। তাদের চাকরি কোথায় হবে? সেটাই এখন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সূত্র : গালফ নিউজ, টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।