নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আইসিসির সক্ষমতা নিয়ে ইনজামামের প্রশ্ন
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সম্ভাবনা দেখছিলেন না কেউই। তবে চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত আসতেও চলছিল দোলাচল। এবার তাও আর থাকছে না। আনুষ্ঠানিকভাবে চলতি সপ্তাহেই বিশ্বকাপ স্থগিতের ঘোষণা আসতে পারে বলে খবর দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যম দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ। এক প্রতিবেদনে পত্রিকাটি জানিয়েছে শুক্রবারে অস্ট্রেলিয়ার বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন আইসিসি কর্তারা। সেদিনই হয়ে যাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। আর সেই সিদ্ধান্ত যে বিশ্বকাপ স্থগিতের তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বিশ্বকাপ স্থগিতই নয়, বিশ্বকাপের এই সময়টাতে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) হতে পারে বলেও জানিয়েছে তারা। ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হওয়ায় মিলিয়ন ডলার ফ্রাঞ্চাইজি আসরটি শ্রীলঙ্কা বা সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজিত হতে পারে। ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া আরেক খবরে বলেছে, আইপিএলের সূচি ঠিক করতে ইতোমধ্যে নাকি আলোচনাও শুরু করে দিয়েছে বিসিসিআই।
আইসিসির সময়ক্ষেপনে যার পর নাই বিরক্ত প্রভাবশালী এই বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধামাল বলেছেন, ‘বছরটি বাজে এক সয়বাদ দিয়ে শুরু হয়েছে, যার শেষ করে তা আমরা কেউই জানি না। তবে সময়ে সাথে সাথে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করার সবরকম চেষ্টাই আমাদের করতে হবে। ক্রিকেটও এর বাইরে নয়।’ এরই মধ্যে বিশ্বে খেলাধূলা শুরু হয়েছে। জার্মান বুন্দেস লিগার দেখানো পথে হাঁটছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, স্প্যানিশ লা লিগা আর ইতালিয়ান সিরি ‘আ’র মতো জনপ্রিয় লিগগুলো। ইংল্যান্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে ক্রিকেটও ফিরছে এ সপ্তাহেই। তাদের উদাহরণ টেনে এখনই দেশে ক্রিকেট ফেরাতে চান ভারতীয় বোর্ডের এই মুখপাত্র, ‘আমেরিকার মতো সর্বোচ্চ আক্রান্তের দেশে এনবিএ শুরু হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থাপনায়। অন্যান্য দেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফুটবলও চলছে দেদারসে। এমনকি অস্ট্রেলিয়াতেও ঘরোয়া রাগবি লিগ মাঠে গড়ানোর প্রস্তুতি চলছে। তবে টি-২০ বিশ্বকাপ নিয়ে এই কালক্ষেপণের মানে কী? বিসিসিআই তাই চাইছে অন্তত একটি পরিকল্পনা করে এগুতে, যাতে করে আইপিএল মাঠে গড়াতে পারে।’
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে এ বছর অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন সম্ভব হবে কিনা, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ধারণা করা হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়া নিজেই জানিয়ে দিতে পারে যে অক্টোবরে তাদের পক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন সম্ভব নয়। কারণ অতিমারির এই সময় ১৮টি দলকে জৈব সুরক্ষা দেওয়া কিংবা তাদের পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যবিধির অধীনে রাখা কঠিন এক ব্যাপার।
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও ব্যাটিং তারকা ইনজামাম-উল-হক মনে করেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করা না করা অস্ট্রেলিয়ার ব্যাপার। তারা সেটি করোনার কারণে আয়োজন না-ও করতে পারে। কিন্তু সেই জায়গায় যদি আইপিএল আয়োজিত হয়, তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে। তিনি এ ব্যাপারে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আইসিসিকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন, ‘অনেকেই অনেক কথা বলছেন। কেউ কেউ বলছেন, এ বছর আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়তো না-ও অনুষ্ঠিত হতে পারে। অস্ট্রেলিয়া বলতে পারে বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ১৮টি দেশের দেখভাল করা এ পরিস্থিতিতে যথেষ্ট কঠিন। গুজব আছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সঙ্গে আইপিএল ও ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের সূচি সাংঘর্ষিক হওয়ায় সেটি হয়তো অনুষ্ঠিত হবে না।’
আইসিসিতে ভারতের প্রভাবের কারণেই সন্দেহটা প্রকাশ করেছেন ইনজামাম, ‘ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড খুবই শক্তিশালী এবং আইসিসিতে তাদের নিয়ন্ত্রণ আছে। অস্ট্রেলিয়া যদি বলে দেয় তাদের পক্ষে এ মুহূর্তে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন সম্ভব নয়, তাহলে সেটি খুব সহজেই গ্রহণ করে নেওয়া হবে। কিন্তু একই সময়ে ঘরোয়া কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজিত হলে প্রশ্ন উঠবে। ভারতীয় বোর্ড যদি ৮ দলের টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারে তাহলে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কেন প্রায় একইরকম টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারবে না?’
করোনা মহামারির এ সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বেশি গুরুত্ব দিতে বললেন ইনজামাম। আইসিসি ও অন্যান্য দেশের ক্রিকেট বোর্ডের প্রতি তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি লিগ বাদ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। নইলে তরুণেরা আন্তর্জাতিক ম্যাচ নয় ঘরোয়া লিগগুলোয় বেশি মনোযোগী হয়ে পড়বে। আরও শুনেছি এশিয়া কাপের সূচিও নাকি কোন এক ইভেন্টের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আইসিসি, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ও অন্যান্য বোর্ডের সবাই মিলে একসঙ্গে বসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে অগ্রাধিকারের বার্তা দেওয়া উচিত।’
স্থগিত হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এই আসর আবার কবে আয়োজিত হবে তাও নিশ্চিত নয়। কারণ আগামী বছরেই ভারতে আছে আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেকারণে আইসিসি ইভেন্টের জন্য অস্ট্রেলিয়াকে অপেক্ষা করতে হবে আরও অন্তত দুই বছর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।