মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সীমান্ত সঙ্ঘাতের প্রতিবাদে ভারতে বিভিন্নমহল থেকে চীনা পণ্য ও চীনা অ্যাপ বয়কটের ডাক দেয়ার বিপরীত ফল দেখা গেছে। ভারতীয়দের তীব্র ক্ষোভের সামনেও ঝোড়ো ব্যাটিং করে নিচ্ছে নামজাদা দুই চীনা ব্র্যান্ড শাওমি এবং ওয়ানপ্লাস। চীনের আক্রমণে ভারতের জওয়ান শহিদ হলেও সে দেশে এই দুই চীনা ব্র্যান্ডের বিক্রিতে কোনও প্রভাব পড়েনি, তা প্রমাণ করে দিল শাওমি এবং ওয়ানপ্লাস। এদিকে ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরির চীনা কাঁচামালের ওপর নির্ভরশীল ভারত। অনেক ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে কাঁচা মালে টান পড়ায় বেড়ে গেছে ওষুধের দামও। অনেক কারখানা কাঁচা মাল সঙ্কটে বন্ধের আশঙ্কায় পড়ে গেছে বলে গণমাধ্যমে জানা গেছে।
গত ১৫ জুন ওয়ানপ্লাস তাদের নতুন ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন ওয়ানপ্লাস৮ এবং ওয়ানপ্লাস৮ প্রো লঞ্চ করেছিল। সেল শুরু হওয়ার মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই এ দুই স্মার্টফোনেরই স্টক সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়ে যায়। ১৫ জুনই ওয়ানপ্লাস৮-এর প্রথম ব্যাচের বিক্রি শুরু হয়েছিল। কয়েক মুহ‚র্তেই সব লাপাত্তা। আর তারপরে ১৮ জুন এই স্মার্টফোনের দ্বিতীয় সেল শুরু হয়। দ্বিতীয় বারও সেই একই কান্ড। নিমেষে শেষ সমস্ত স্টক। সচরাচর কম দামের স্মার্টফোন অন্তত ওয়ানপ্লাস-এর মেলে না। এই দুটো স্মার্টফোনেরই দাম প্রায় ৫০ হাজারের কাছাকাছি এবং তারও একটু বেশি। কিন্তু তাতেও সেই ভারতবাসীর চীনা ওয়ানপ্লাস কেনারই হিড়িক আর একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, চীনা পণ্য বয়কট সহজ নয়!
একই অবস্থা হয়েছে শাওমির ক্ষেত্রেও। ১৮ জুনেই ভারতের বাজারে প্রথম বিক্রি শুরু হয় শাওমির মি নোটবুক ১৪ সিরিজের। অ্যামাজনের পণ্য তালিকায় দেখা যাচ্ছে ১৯ জুনেই এটি সোল্ডআউট হয়ে গেছে।
শুধু এ দুটি ডিভাইসই নয়, গালওয়ান উপত্যকার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের জেরে ভারতজুড়ে যখন চীনা পণ্য বর্জনের ডাক উঠেছে, তখন তার কোনো প্রভাবই পড়ছে চীনা মোবাইল ডিভাইসের ব্র্যান্ডগুলোতে। বরং কিছু ডিভাইসের বিক্রি বেড়ে গেছে। ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভারতের ই-কমার্স মার্কেটপ্লেসগুলোর একাধিক জ্যেষ্ঠ নির্বাহী জানিয়েছেন, চীনা স্মার্টফোন বা ইলেক্ট্রনিক পণ্য বিক্রিতে বয়কট উত্তেজনার কোনো প্রভাব পড়েনি।
যেই পশ্চিমবঙ্গে উত্তেজনার বশে চীনা প্রেসিডেন্ট ভেবে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়েছিল সেখানেও কিন্তু চীনা স্মার্টফোনের বিক্রি বাড়ছে হু হু করে। অপো, ভিভো, রিয়েলমি, শাওমি, ওয়ান প্লাসের বিক্রিতে কোনো কমতি নেই। লকডাউনের আগে যেমন বিক্রি হতো, এখনও তেমনই। দেশটিতে দু’আড়াই মাস লকডাউনে সব বন্ধ ছিল। লকডাউন খুলতেই সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তাছাড়া স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ফোনের চাহিদাও এখন বেশি। কারণ ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনাও এখন প্রায় পুরোটাই স্মার্টফোনে চলছে। সূত্র : ফার্টপোস্ট ও আনন্দবাজার পত্রিকা অবলম্বনে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।